somewhere in... blog

কনের বাড়িতে পাঠানো ইফতারি নামক যৌতুকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান!

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পবিত্র রমাজান মাস মুসলিমদের জন্য রহমত মাগফিরাত এবং নাজাতের মাস; যা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। তাকওয়া অর্জনের জন্য কেবলমাত্র নামাজ ও রোজা আদায় যথেষ্ট নয়। নামায ও রোজার পাশাপাশি আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে সংশোধনের। বাকি ১১মাসে করা সকল প্রকার খারাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকার মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে তাকওয়া অর্জনের।

হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
للصائم فرحتان يفرحهما اذا افطر فرح، واذا لقى ربه فرح بصومه، وفى رواية : اذا لقى الله فجزاه فرح،
রোযাদারের জন্য দুটি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে, যখন সে আনন্দিত হবে। এক. যখন সে ইফতার করে তখন ইফতারের কারণে আনন্দ পায়। দুই. যখন সে তার রবের সাথে মিলিত হবে তখন তার রোযার কারণে আনন্দিত হবে। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, যখন সে আল্লাহর সাথে মিলিত হবে, আর তিনি তাকে পুরস্কার দিবেন, তখন সে আনন্দিত হবে।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৯০৪, ১৮৯৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১১৫১ (১৬৩, ১৬৪, ১৬৫); মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৯৪২৯, ৭১৭৪; সুনানে তিরমিযী, হাদীস : ৭৬৬

উপরোক্ত হাদিস দ্বারা স্পষ্ট হয়ে গেলো রমজানের রোজা রাখার উদ্দেশ্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার সন্তুষ্ট অর্জনের মাধ্যমে তাকওয়াবান হওয়া। কিন্তু আমাদের বর্তমান মুসলিম সমাজ কি বাস্তবে তাকওয়া অর্জনের পথে এগুচ্ছে? আমরা কি পারছি আমাদের বিগত ১১মাসের খারাপ কাজ থেকে বিরত হয়ে এক মাসের জন্য আল্লাহ মুখি হতে? না, আমরা তো বরং এই একমাসে যতটুকু সম্ভব আল্লাহকে ভুলার চেষ্টায় মত্ত হয়ে আছি।

প্রথম রমজান থেকে শুরু হওয়া বিভিন্ন রকমের কুপ্রথা চর্চার মাধ্যমে শেষ হয় আমাদের রমজান। ইফতারি তাল পাঠানো দিয়ে শুরু হয় আমাদের প্রথম রমজান। আর শেষ হয় ঈদের মার্কেটিং করতে করতে। এই হচ্ছে আমাদের মুসলমানি নমুনা। দয়া করে কেউ আবার ভুল বুঝে এখানে মন্তব্য কইরেন না যে, আমি ধর্মান্ধতার ডাক দিচ্ছি।

সরকারি মন্ত্রীর দাবী অনুযায়ী বাংলাদেশের দারিদ্রতার হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। বেসরকারি দুটি সংস্থার গবেষণা কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলে। সানেমের মতে ৪২ শতাংশ এবং সিডিপির মতে ৩৬ শতাংশই দরিদ্র। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। তারা পরবর্তী আর কোন আপডেট দেয়নি।

উপরের হিসেবানুযায়ী আপনি বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত বলতে পারবেন না। যেহেতু বাংলাদেশের ৯১% মুসলিম, সেহেতু এই মুসলিমদের বিশাল একটি অংশ্যই দারিদ্রতার ফাঁদে বন্দী। উচ্চবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে তাদের বোন-কন্যাদের বাড়িতে ইফতার পাঠাতে কোন সমস্যায় পড়তে হয় না। তাদের একটা অংশের কাছে এটা আনন্দের কারণ। আরেকটা অংশ অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ায় মেনে নিয়েছেন অনায়াসে। কিন্তু এই দুটি অংশের কারণে বাঙালি মুসলিম সমাজের দরিদ্র পরিবারগুলোকে না চাওয়া সত্বেও মেনে নিতে হচ্ছে বিভিন্ন উপরি নির্যাতন। যা একটি বাচ্চার জন্ম উৎসব থেকে নিয়ে খতনানুষ্ঠান, বিয়েশাদি এবং মৃত্যুর পরের কুলখানি পর্যন্ত। এগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে রমজান মাসের ইফতার। যা সম্পূর্ণ হারাম একটি যৌতুক প্রথা।

বিভিন্ন মৌসুমি আবরণে বিরামহীন যৌতুকের ধারাবাহিকতার একটি হচ্ছে এই ইফতারি যৌতুক প্রথা। যা আমাদের মুসলিম সমাজের একটি অংশকে তিলেতিলে শেষ করে দিচ্ছে। এই কুপ্রথার কারণে কত মাতাপিতার জীবন হয়ে যাচ্ছে বিভীষিকাময় তার কোন হিসেব নেই। অনেকে মেয়ে বাঁচিয়ে রাখতে দারস্থ হচ্ছেন সুধি মহাজনদের। নিচ্ছেন লুন ব্যাংক থেকে। সেগুলো আদায় করতে গিয়ে ছাড়তে হচ্ছে নিজেদের ভিটেমাটি। এভাবে ভিটেমাটি হাড়িয়ে পরিবারগুলো হয়ে যান শহরমুখী। শহুরে বিত্তবানেরা পান নতুন চাকর আর গ্রামের ধনীরা হয়ে উঠেন প্রকাণ্ড মহাজন।

অথচ এমন অনেক উচ্চবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারের সদস্য রয়েছেন যারা সত্যিকার অর্থেই চান এসব কুপ্রথা সমাজ থেকে দূর হোক। কুপ্রথা মুক্ত হোক মুসলিম সমাজ। কিন্তু তারাও সমাজের ভয়ে বা বিভিন্ন বাঁধাধরা নিয়মের কারণে এগুচ্ছেন না। বাস্তবিক অর্থে তাদের এই নিরবতাই কিন্তু মুসলিম সমাজের ধ্বংসের কারণ। অথচ তাঁরা নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টায় মুসলিম সমাজকে রক্ষা করতে পারেন। কুপ্রথায় শিকার পরিবারগুলোকে বুঝিয়ে মুক্তি দিতে পারেন এই কুপ্রথা থেকে। প্রত্যেকের চিন্তাভাবনা আলাদা, যেমন আপনার থেকে আমার। কিন্তু যখন সকলেরই উদ্দেশ্য হয় মুক্তি, তখন চিন্তাভাবনার ভিন্নতা হয়ে উঠে মুক্তি পথের পাথেয়। তাই আসুন, আমরা প্রত্যেকেই নিজের অবস্থান থেকে, নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে রুখে দাঁড়াই ইফতারি প্রথার খোলসে চলা যৌতুকের বিরুদ্ধে।

ছবি ও তথ্যাদি বিভিন্ন সাইট থেকে নেওয়া।

কুপ্রথার বিরুদ্ধে আমার পূর্বের লেখা দান নয়, প্রয়োজন অধর্ম রোধন!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৮
৭৯৩ বার পঠিত
১২টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

১. ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কনের বাড়িতে ইফতারি পাঠানোর এ প্রথা কবে শুরু হলো, এমন প্রথার কথা আমি জিবনে শুনিনি।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৮

লেখক বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, আপনি জানেন না দেখে খুশি হলাম। এর মানে হচ্ছে এই কুপ্রথাটি খুব বেশি বিস্তৃত নয়। কিন্তু সিলেট বিভাগের পুরোটা জুড়ে এর মারাত্মক আগ্রাসন চলমান।
জানা যায়, সিলেট বিভাগের কুলাওরা অঞ্চলে একটি প্রবাদ চালু আছে।
"বিশ পার অইলে ইস্তারি বিষ অই যায়"
আন্দাজ করতে পারছেন, সেই অঞ্চলে এর প্রভাব কতটুকু মারাত্মক আকার ধারণ করেছে!
অবশ্যই এ থেকে মুক্তি প্রয়োজন।

২. ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হুমম একেক অঞ্চলে একেক নিয়ম, দক্ষিণের একটা জেলার কথা শুনেছি সেখানে প্রতিবার ফলের মৌসুমে বরের বাড়িতে ১ মণ আম, ১ মণ কাঁঠাল আর ১ মণ লিচু পাঠাতে হয়। এগুলো না পাঠালে নাকি সম্পর্ক থাকে না।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

লেখক বলেছেন:
" ১ মণ আম, ১ মণ কাঁঠাল আর ১ মণ লিচু পাঠাতে হয়। " অবস্থাডাদেখুন! তাও প্রত্যেক বছর। এখন যাদের সামর্থ্য আছে তারা না হয় পাঠানো ও গ্রহণের মাধ্যমে সমাজে একটি কুসংস্কার রক্ষা করলো। কিন্তু তাদের দ্বারা প্রভাবিত দারিদ্র্য পরিবারগুলো কেমনে কী করবে!

সমস্যার সৃষ্টি এই ধনবান শ্রেণি যারা নিজেদের মুর্খতা ধরতে পারেন না। অবচেতনে পালন করে চলেন অন্য আরেকটি ধর্ম। অনেকে সংস্কৃতি চর্চার নামে সমাজে চালিয়ে দিতে চান! কীএকটাবস্থা!

৩. ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩

অধীতি বলেছেন: এগুলো জেলাশহর, গ্রাম অঞ্চলে বেশ চলে। বেয়াই বাড়িতে ইফতারি পাঠানোর চল। এটা এক ধরনের আনন্দের কাজই বটে তবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারনে এটা বিষ ফোড়ায় পরিনত হয়েছে।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

লেখক বলেছেন: একেবারে সত্যি কথা বলেছেন ভাইজান। কোন কোন ধনাঢ্য কিংবা মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে এটা আনন্দের; যারা তাদের নিচের মানুষদের দিকে দৃষ্টিপাত করতে চায় না। যেই মানুষগুলো তাদের কুধর্মের দ্বারাও প্রভাবিত হয়।
এখন যদি হঠাৎ করে করোনা কিংবা অন্য কোন কারণে ধনাঢ্য বা মধ্যবিত্তকে নিচে নামতে হয়, যার ধরুন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি তাকে ছুঁয়ে ফেলে তাহলে ভাবুন, দরিদ্রদের কাছে এই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি কীরকম ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিত্যদিনের খাদ্য জোগান দিতে গিয়ে যাদের প্রাণ যায় অবস্থা, তাদের উপর ধনাঢ্য ও মধ্যবিত্তের লালিত এইসব ইফতার প্রথার মত কুপ্রথাগুলো কী নির্যাতনটাই না করছে। বিষ ফোড়ার চেয়ে ভয়ংকর!

৪. ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এটা একটা ক্ষেত্র পর্যন্ত মেনে নেয়া যায় , এই সময় এটা সহ্যাতীত !!

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:২৮

লেখক বলেছেন: আপনাকে অনুরোধ করছি পুরো লেখাটি পড়ার জন্য।


এটা সবসময়ই সহ্যের বাহিরে। আর এইসকল কুপ্রথা কেবল আমরাই পারি দূর করতে। আমাদের নিজেদের অবস্থান থেকে কেবল ধৈর্যের সাথে দীর্ঘদিন এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। ধীরেধীরে তা দূর হবে নিশ্চিত।

৫. ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪২

ঢাবিয়ান বলেছেন: ফেসবুকে একটা মিম দেখেছি যেখানে এক হুজুর বলেছেন '' শশুরবাড়ী থেকে ইফতার পাবার আশা করবেন না। ইফতারীর জন্য প্রয়োজনে ইসলামি ফাউন্ডেশনে যোগাযোগ করুন '' এই ধরনের মিম খুব বেশি করে শেয়ার হওয়া প্রয়োজন।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩১

লেখক বলেছেন:

'' শশুরবাড়ী থেকে ইফতার পাবার আশা করবেন না। ইফতারীর জন্য প্রয়োজনে ইসলামি ফাউন্ডেশনে যোগাযোগ করুন ''
সুন্দর একটি আন্দোলন বলা যায় এটাকে। পাশাপাশি শিক্ষার প্রসার প্রয়োজন। সমাজ যেটাকে সংস্কৃতি বলছে, ধর্মের নামে চালিয়ে দিচ্ছে সেটা মূলত সুশিক্ষার অভাবের কারণেই। আর তাই সুশিক্ষার বিকল্প কিছু নেই।

৬. ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪৫

রানার ব্লগ বলেছেন: শুধু শুনেই গেলাম আজ পর্যন্ত ইহার দেখা পেলাম না। আগে পাই তারপর ইহার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি। হিন্দিতে কথা আছে না পেহেল ইস্তেমাল করো পার বিশ্বাস করো।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩৫

লেখক বলেছেন: বিল্কুল! ছবিতে মিষ্টির পেকেট দেখে আপনার চোখে জল আশা স্বাভাবিক। নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি মানুষের একটা টান সবসময়ই কাজ করে। তা যাই হোক, সবকিছুতে লোভ করা কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মশাই =p~

৭. ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:২০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ছোট জাতের গরীব লোকজন বরাবরই ভিক্ষুকদের মতো অন্যের কাছ থেকে পাওয়ার আশা করে। এগুলো কোন প্রথা হতে পারে না। চাবুক দিয়ে পিটিয়ে এইসব লোকজনদের পশ্চাতদেশ লাল করে দেয়া হোক।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

লেখক বলেছেন:
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন"ছোট জাতের গরীব লোকজন বরাবরই ভিক্ষুকদের মতো অন্যের কাছ থেকে পাওয়ার আশা করে। "
একেবারে সত্যি কথা। এরা যতই বিত্তশালী কিংবা সমাজে প্রতিষ্ঠিত ভাব দেখাক না কেন, প্রকৃতার্থে এরা ছোট জাতের ভিক্ষুকই। যদি ওদের একটু লজ্জা হত!

আপনি সুন্দর বলেছেন, এগুলো কোন প্রথা হতে পারে না। চাবুক দিয়ে পিটিয়ে এইসব লোকজনদের পশ্চাতদেশ লাল করে দেয়া হোক।
যদিও আমি এদের অবচেতন মনকে চেতনে নিয়ে আসার কথা বলি। যদি এরা সচেতন হয়ে উঠে, তবে আরো অনেকেই সচেতন হয়ে উঠবে।

৮. ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:৩৫

সোহানী বলেছেন: খুব প্রয়োজনীয় একটা বিষয় নিয়ে লিখেছো। এ ধরনের কুপ্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা সময়ের দাবী।

সব কষ্ট শুধু মেয়ের বাবা-মাদের। কেন রে.... মেয়েগুলা কি রাস্তা তুলে আনছে আর ছেলেগুলোকে পেটে ধরছে!! এ ধরনের প্রথা গরীব বাবাদেরকে আর্থিক ও মানসিক সমস্যার মাঝে ফেলে যা রীতিমত অমানবিক।

৯. ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০১

বিটপি বলেছেন: ইফতার পাঠাতে হবে কেন? প্রয়োজনে বাসায় এসে ইফতার করে যাবে। এটাকে যৌতুক ভাবার কারণ কি? এটাকে এক ধরণের দান সদকা মনে করুন।

১০. ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩

কিরকুট বলেছেন: আমি তো শশুর বাড়ি গিয়া জমিয়ে ইফতার খাই। আমার শালা শালী নাই। তাই তেমন খরচ নাই। শশুর বাড়ি আমি মহারাজা।

১১. ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি রমজানে মসজিদে ইফতার পাঠাই।
আত্মীয় স্বজনদের বাসায় পাঠাই।
পাড়া প্রতিবেশীকে দেই।

১২. ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০৮

করুণাধারা বলেছেন: রমজানে ইফতারি পাঠানোর প্রথা বিলোপ করা উচিত, এটা কন্যার পরিবারের জন্য কত বড় সমস্যা সেটা কেবল ভুক্তভোগী বোঝে। কিন্তু এই প্রথা এভাবে বিলোপ করা সম্ভব নয়। কারণ সমাজের অনেকের হাতে প্রচুর অর্থ, তারা মেয়ের বাড়ীতে প্রচুর ইফতার পাঠান যেন মেয়ের কদর বাড়ে। আমার পরিচিত এক মধ্যবিত্ত পরিবার অনেক কষ্ট করে ৫০০০০ টাকার ইফতার পাঠিয়েছে। কারণ সামাজিক প্রথা, মেয়ের সম্মান।

যদি বিত্তশালিরা মেয়ের বাড়িতে ইফতার পাঠানো বন্ধ করেন, তাহলেই এই প্রথা বন্ধ হতে পারে।

আচ্ছা, আপনার বাড়ি কি জগন্নাথপুরের সৈয়দপুর। কৌতুহল, হয়তো অশোভন। ইচ্ছা না হলে উত্তর দেবার দরকার নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি হয়ে উঠো প্রেমী=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৪০



ভালোবাসায় কৃপণ হতে যেয়ো না তুমি
তোমার জন্য জীবন হোক স্বপ্নীল
তুমি হও আমার নীল সমুদ্দুরের এলবেট্রস
ভুলগুলো ভালোবেসে করে দাও ফুল
ভালোবাসো আমায় নিশিদিন, হরদম।

তোমার জন্য একটি উদাস দুপুর অপেক্ষায়
আমায় নিয়ে বসো কোথাও
বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গতকাল বিকেল থেকে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমার শুরু করেছে।

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৯



গতকাল ট্রাম্পের শপথের অনুষ্ঠানে ২ লাখ মানুষকে আমন্ত্রণ করে টিকিট দেয়া হয়েছিলো; প্রচন্ড শীতের কারণে বাহিরে শপথ নেয়া সম্ভব হয়নি। পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে শপথ হয়েছিলো, সেখানে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টগণ, বিচারপতিরা,... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।।ঢাকায় বৈষম্যবিরোধীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ঢামেকে ছয়

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৫৮



রাজধানীর ডেমরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় অফিসে মানববন্ধনের সময় দুটি পক্ষের হাতাহাতি ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ছয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগ কি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:১৫


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা তা নিয়ে সর্বমহলে চলছে আলোচনা। জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীদার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামু ব্লগ কি আবারও ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানোর হাতিয়ারে পরিণত হইতেছে!

লিখেছেন নতুন নকিব, ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:২৯

সামু ব্লগ কি আবারও ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানোর হাতিয়ারে পরিণত হইতেছে!

ছবিঃ অন্তর্জাল হতে সংগৃহিত।

ইহা, উহা, ইহার, উহার, ইহাকে, উহাকে - ইত্যাকার সাধু ভাষার শ্রুতিমধুর কিছু শব্দসম্ভারের প্রয়োগ কদাচিত আমাদের প্রিয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×