বাঙ্গালি মানেই হল ভোজনরসিক জাতি। আর “রসগোল্লা” কার না প্রিয়!! আমাদের ঈদ, পুজা বা অন্যান্য সকল অনুস্ঠানেই মিস্টান্ন মানেই আলাদা মজা। যদিও ইদানিং ডাক্তারদের যন্ত্রনায় অনেকেই এই অতি মজাদার খাদ্যটি থেকে বঞ্ছিত হয়েছেন...বা অদুর ভবিষ্যতে হতে যাচ্ছেন তাদের জন্য দুঃখ কামনা করে রসগোল্লার রেসিপি’টি দিলাম। আশা করি নিজে বানিয়ে খাবেন এবং অন্যদেরও বানিয়ে খাওয়াবেন।
রসগোল্লা বানাতে যা যা লাগবে তা হলঃ
১)ছানা ( ছানা বানানো খুব সহজ। জ্বাল দেয়া দুধে কয়েকফোটা লেবুর রস দিলেই দুধ থেকে ছানা বের হবে। তারপর ছানাগুলোকে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ভাল করে ছেঁকে নিবেন। সুতি কাপড় দিয়ে ছাঁকতে হবে। পানি থাকা যাবেনা)
২)ময়দা( অল্প পরিমানে...২-৩ চামচ হলে ভাল হয়)
৩)চিনি দেড় কাপ( আপনার রুচী অনুযায়ি)
৪)পানি (৬-৭ কাপ লাগবে)
৫)চিনি ৩ চা চামচ
৬)এলাচ গুঁড়া প্রায় ১ চা চামচ
৬)গোলাপজল (এটা ফ্লেভার এর জন্য)
কিভাবে বানাবেনঃ
১) দুধ হতে ছানা তৈরি করে খোলা জ়ায়গায় ৫-৬ ঘণ্টা ছড়িয়ে রাখুন।
২) চিনির এবং পানি একসাথে চুলায় দিয়ে ফুটাটে হবে। ভাল করে ফুটলে যে জিনিসটা পাবেন তার নাম হল “সিরা”। সিরা হবার পর চুলার আঁচ কমিয়ে দিন।
৩) এবার আপনার তৈরী ছানা হাতের তালু দিয়ে ভাল করে মথা-মথি করবেন। এরপর ময়দা, ৩ চামচ চিনি ও এলাচ গুঁড়া দিয়ে মথানো ছানার সাথে দিয়ে আরও মথতে থাকেন।
৪) এবার হাতের তালু দিয়ে মথানো ছানাকে গোল গোল করে (আপনার মন চাইলে চ্যাপ্টাও করতে পারেন) বল বানান।
৫) সবগুলো ছানার বল চুলার ওপর সিরায় ছাড়ুন। আঁচ বাড়িয়ে দিন। কিছুক্ষণ পর রসগোল্লা সিরার ওপর ভেসে উঠবে। কিন্তু আপনি এদেরকে ভাসতে দিবেননা। চামচ দিয়ে রসগোল্লা সিরায় ডুবিয়ে পাত্রটি ঢেকে দিতে হবে।
৬) ২০ মিনিট পর একটা বাটিতে পানি নিয়ে পানিতে একটি রসগোল্লা ছাড়েন। যদি পানিতে রসগোল্লা ডুবে যায় বুঝবেন আপনি ১০০% সফল!!! এরপর চুলা থেকে রসগোল্লা নামিয়ে এক কাপ পানি ছিটিয়ে দিয়ে খোলা রাখুন।
৭) ঠান্ডা হলে সিরাসহ রসগোল্লা একটি বড় বাটিতে ঢালুন। এক-দুই চা চামচ গোলাপজল ছিটিয়ে দিন, এতে ভাল খুশবু হবে।
৮) ৬-৭ ঘণ্টা পর রসগোল্লা পরিবেশন করুন আপনার নিজ হাতে তৈরী মজাদার রসালো রসগোল্লা। নিজে খান এবং অপরকে বিলান।
রেসিপিতে ভুল-ত্রুটি হইলে মাফ করে দিয়েন.........