ছেলেটা প্রায়শই ফুলার রোডে দাড়িয়ে থাকতো
প্রখর রৌদ্রদগ্ধ হয়ে উদ্যানের মনোরম তন্বীর
গাছ ভেবে তাকিয়ে থাকতো মেয়েটির দিকে,
তাকিয়ে থাকতো মুগ্ধ হয়ে ! দাড়িয়ে থাকতো
স্কুল শেষে মেয়েটি আসবে এই অপেক্ষায়!
ছয় মাস হয়ে গেলেও চিঠিটা হাতের মুঠোই রয়ে
গেল, দেয়া হলোনা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয়ে !
এদিকে পাড়ায় জানাজানি হওয়ার ভয় আর মেয়েটির বড়
ভাইয়ের ভয়তো আছেই, এক পা এগুনো আর
ঢোক গিলে দুপা পিছিয়ে যাওয়া আর ছটফটানো
নিদ্রাহীনতায় চোখে কালি ফেলা ; এইতো
জীবন.....
এখন ঠিকানা খুঁজতেই হয়না, ফুলার রোড ও এখনো
আছে কিন্তু না, নেট নামক আগ্রাসী সাম্রাজ্যে
ক্লিক করলেই অসাধারণ সব লাস্যময়ী নারীদের
সুখী মুখোশধারী চেহারা ভেসে উঠে ফেবুর
নীল স্কিনে ! ঠিকানাববিহীন ঠিকানায় ক্ষুদে বার্তা
পাঠাতে পাঠাতে যেন হাত বোমা ছুড়ছে
অবশেষে ক্লান্ত হয়ে ঢোক গিলে ছেলেটা !
বিছানাপত্তরের পাশের টেবিলেই পরে আছে
নীল খামটি আর সাদা কাগজ,খামটি মাঠের মতই ফাঁকা,
ওখানে কালির একটি আচঁরও নেই। চোখেমুখে
মুগ্ধতা নেই একফোঁটাও, আছে নিদ্রাহীনতার কালি !
এইতো জীবন....
একাল আর সেকালের মাঝে রয়ে গেছে নিরব
সাক্ষী হয়ে সেই ফুলার রোড, আছে সেই
মেয়েটিও ! কিন্তু ছেলেটির সেই মুগ্ধতায় ঘুণে
ধরেছে, সেই বসন্ত দিনের সপ্ন কে এখন
ভীষণ খোঁড়া করে দিচ্ছে অপরিচিত
অতন্দ্রীলার ন্যাকামি চাহনী আর সঙ্কীর্ণ নীল
স্কিন !
আজ তাই আমার অত্যন্ত জেদি পদ্য খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে
হাটে গুলিবিদ্ধ বীরের ধরনে...
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০