somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কিছু প্রশ্নচিহ্....

০৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে গরু জবাই
নিষিদ্ধ করেছিলো এবং পূজার ব্যয়
বহন করতে মুসলমানদের বাধ্য
করেছিলো। (সূত্র: বাংলা একাডেমীর
ত্রৈ মাসিক “উত্তরাধিকার”
পত্রিকায় (বৈশাখ- আষাঢ় ১৩৯৩)
প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে ডক্টর আহমদ
শরীফ বিষয়টি দালিলিক প্রমাণ সহ বিবরন
দিয়েছে।)

২) রবীন্দ্রনাথের কাছে হযরত
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের জীবন চরিত কখন ভালো
লাগতো না। এ সম্পর্কে মোতাহার
হোসেন চৌধুরী শান্তি নিকেতনে
কবি রবীন্দ্রনাথকে জিজ্ঞাসা
করেছিলেন, “আপনার লেখায় ইসলাম ও
বিশ্বনবী সম্পর্কে কোনো কথা
লেখা নেই কেন? উত্তরে কবি
বলেছিলো, 'কোরআন পড়তে শুরু
করেছিলুম কিন্তু বেশিদূর এগুতে
পারিনি আর তোমাদের রসুলের জীবন
চরিতও ভালো লাগেনি। [ তথ্যসূত্র:
বিতণ্ডা, লেখক সৈয়দ মুজিবুল্লা,
পৃ -২২৯ ]"

৩) উপন্যাস ‘গোরা’ রবীন্দ্রনাথ
বলেছিলো: ভালো মানুষী ধর্ম নয়;
তাতে দুষ্ট মানুষকে বাড়িয়ে
তোলে। তোমাদের ‘মুহম্মদ’ সে কথা
বুঝতেন, তাই তিনি ভালো মানুষ
সেজে ধর্মপ্রচার করেননি।”

৫) রবীন্দ্রনাথ মুসলমাদের গালি দিত
‘যবন’ (অসভ্য) ও ‘ম্লেচ্ছ’ (অপবিত্র)
বলে। (সূত্র: ‘রীতিমত নভেল’

‘প্রায়শ্চিত্ত’ নাটকে প্রতাপাদিত্যের
উক্তি- খুন করাটা যেখানে ধর্ম, সেখানে
না করাটাই পাপ। যে মুসলমান আমাদের ধর্ম
নষ্ট করেছে তাদের যারা মিত্র তাদের
বিনাশ না করাই অধর্ম।
এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথের
মুসলিম বিদ্বেষ এবং বিরোধিতার অবস্থান
চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়। এখানেও সে
সাম্প্রদায়িক ভূমিকায় অবতীর্ণ। তার
নাটকের এই বক্তব্য হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের
চরম অবনতি ঘটায় এবং হিন্দু-মুসলিম
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভূমি তৈরি করে
দেয়। তাই ঐতিহাসিকভাবে বলা হয়- বিশ
শতকের প্রথম দশক থেকে শুরু হওয়া হিন্দু
মুসলিম দাঙ্গার দায়ভার রবীন্দ্রনাথ
কোনো ক্রমেই এড়াতে পারে না।

মুসলমান সমাজের প্রতি রবীন্দ্রনাথের
দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায়
‘কণ্ঠরোধ’ (ভারতী, বৈশাখ-১৩০৫) নামক
প্রবন্ধে। সিডিশন বিল পাস হওয়ার
পূর্বদিনে কলকাতা টাউন হলে এই প্রবন্ধটি
সে পাঠ করে। এই প্রবন্ধে উগ্র
সাম্প্রদায়িকতাবাদী রবীন্দ্রনাথ একটি
ক্ষুদ্র দৃষ্টান্ত দিতে গিয়ে বলে-
“কিছুদিন হইল একদল ইতর শ্রেণীর অবিবেচক
মুসলমান কলিকাতার রাজপথে লোষ্ট্রন্ড
হস্তে উপদ্রবের চেষ্টা করিয়াছিল।
তাহার মধ্যে বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে-
উপদ্রবের লক্ষ্যটা বিশেষরূপে
ইংরেজদেরই প্রতি। তাহাদের শাস্তিও
যথেষ্ট হইয়াছিল। প্রবাদ আছে- ইটটি
মারিলেই পাটকেলটি খাইতে হয়; কিন্তু
মূঢ়গণ (মুসলমান) ইটটি মারিয়া পাটকেলের
অপেক্ষা অনেক শক্ত শক্ত জিনিস
খাইয়াছিল। অপরাধ করিল, দ- পাইল; কিন্তু
ব্যাপারটি কি আজ পর্যন্ত স্পষ্ট বুঝা গেল
না।
এই নিম্নশ্রেণীর মুসলমানগণ সংবাদপত্র
পড়েও না, সংবাদপত্রে লেখেও না।
একটা ছোট বড়ো কা- হইয়া গেল অথচ এই মূঢ়
(মুসলমান) নির্বাক প্রজা সম্প্রদায়ের মনের
কথা কিছুই বোঝা গেল না।

তাছাড়া তিনি এও বলেছিলেন, মুসলমানেদের উচিৎ নিজের যোগ্যতায় সাহিত্য রচনা করা!!


তিনি খুব ভালো কবি এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা কিন্তু
কথা হচ্ছে নানা ভাবে এই ব্যাক্তিটি যেভাবে ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ মুলক কথা বলেছেন তাতে আমাদের এখন কি করা উচিৎ? তিনি ছিলেন খুবই ধমর্ অনুরাগী তিনি যদি তার ধমর্ রক্ষায় নানা কথা বলে উৎসাহিত করেছেন মানুসদের, মুসলিম হিসেবে আমাদের কি করা উচিৎ? সত্যপথ নিয়েই আমাদের সামনে এগুতে হবে ইমান নিয়ে, কারন ইমান এখন জলন্ত অংগারের মতো হয়েছে যা হাতে রাখাও দুস্কর! তাছাড়া কিছু চিনহিত দেশ যে মুসলমানদের নাম কলংকময় করতে অর্থায়ন করছে এটা আমরা সবাই জানি! যেমন জার্মানিতে মুসলিম অভিবাসীদের
ওপর সন্ত্রাসী হামলার
পরিকল্পনাকারী চারজনকে
বিস্ফোরকসহ উদ্ধার করা হয়েছে, অথচ এরা কেউ মুসলমান নয়!
সব প্লানিং করা, ইসলাম এর ভাবমূর্তি নস্ট করার জন্য কিছু দেশ প্রত্তক্ষ ভুমিকা নিচ্ছে এটাই সত্যি !
প্রশ্নগুলার উত্তর আজো পাইনি..।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৫২
২৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×