রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে গরু জবাই
নিষিদ্ধ করেছিলো এবং পূজার ব্যয়
বহন করতে মুসলমানদের বাধ্য
করেছিলো। (সূত্র: বাংলা একাডেমীর
ত্রৈ মাসিক “উত্তরাধিকার”
পত্রিকায় (বৈশাখ- আষাঢ় ১৩৯৩)
প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে ডক্টর আহমদ
শরীফ বিষয়টি দালিলিক প্রমাণ সহ বিবরন
দিয়েছে।)
২) রবীন্দ্রনাথের কাছে হযরত
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের জীবন চরিত কখন ভালো
লাগতো না। এ সম্পর্কে মোতাহার
হোসেন চৌধুরী শান্তি নিকেতনে
কবি রবীন্দ্রনাথকে জিজ্ঞাসা
করেছিলেন, “আপনার লেখায় ইসলাম ও
বিশ্বনবী সম্পর্কে কোনো কথা
লেখা নেই কেন? উত্তরে কবি
বলেছিলো, 'কোরআন পড়তে শুরু
করেছিলুম কিন্তু বেশিদূর এগুতে
পারিনি আর তোমাদের রসুলের জীবন
চরিতও ভালো লাগেনি। [ তথ্যসূত্র:
বিতণ্ডা, লেখক সৈয়দ মুজিবুল্লা,
পৃ -২২৯ ]"
৩) উপন্যাস ‘গোরা’ রবীন্দ্রনাথ
বলেছিলো: ভালো মানুষী ধর্ম নয়;
তাতে দুষ্ট মানুষকে বাড়িয়ে
তোলে। তোমাদের ‘মুহম্মদ’ সে কথা
বুঝতেন, তাই তিনি ভালো মানুষ
সেজে ধর্মপ্রচার করেননি।”
৫) রবীন্দ্রনাথ মুসলমাদের গালি দিত
‘যবন’ (অসভ্য) ও ‘ম্লেচ্ছ’ (অপবিত্র)
বলে। (সূত্র: ‘রীতিমত নভেল’
‘প্রায়শ্চিত্ত’ নাটকে প্রতাপাদিত্যের
উক্তি- খুন করাটা যেখানে ধর্ম, সেখানে
না করাটাই পাপ। যে মুসলমান আমাদের ধর্ম
নষ্ট করেছে তাদের যারা মিত্র তাদের
বিনাশ না করাই অধর্ম।
এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথের
মুসলিম বিদ্বেষ এবং বিরোধিতার অবস্থান
চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়। এখানেও সে
সাম্প্রদায়িক ভূমিকায় অবতীর্ণ। তার
নাটকের এই বক্তব্য হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের
চরম অবনতি ঘটায় এবং হিন্দু-মুসলিম
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভূমি তৈরি করে
দেয়। তাই ঐতিহাসিকভাবে বলা হয়- বিশ
শতকের প্রথম দশক থেকে শুরু হওয়া হিন্দু
মুসলিম দাঙ্গার দায়ভার রবীন্দ্রনাথ
কোনো ক্রমেই এড়াতে পারে না।
মুসলমান সমাজের প্রতি রবীন্দ্রনাথের
দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায়
‘কণ্ঠরোধ’ (ভারতী, বৈশাখ-১৩০৫) নামক
প্রবন্ধে। সিডিশন বিল পাস হওয়ার
পূর্বদিনে কলকাতা টাউন হলে এই প্রবন্ধটি
সে পাঠ করে। এই প্রবন্ধে উগ্র
সাম্প্রদায়িকতাবাদী রবীন্দ্রনাথ একটি
ক্ষুদ্র দৃষ্টান্ত দিতে গিয়ে বলে-
“কিছুদিন হইল একদল ইতর শ্রেণীর অবিবেচক
মুসলমান কলিকাতার রাজপথে লোষ্ট্রন্ড
হস্তে উপদ্রবের চেষ্টা করিয়াছিল।
তাহার মধ্যে বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে-
উপদ্রবের লক্ষ্যটা বিশেষরূপে
ইংরেজদেরই প্রতি। তাহাদের শাস্তিও
যথেষ্ট হইয়াছিল। প্রবাদ আছে- ইটটি
মারিলেই পাটকেলটি খাইতে হয়; কিন্তু
মূঢ়গণ (মুসলমান) ইটটি মারিয়া পাটকেলের
অপেক্ষা অনেক শক্ত শক্ত জিনিস
খাইয়াছিল। অপরাধ করিল, দ- পাইল; কিন্তু
ব্যাপারটি কি আজ পর্যন্ত স্পষ্ট বুঝা গেল
না।
এই নিম্নশ্রেণীর মুসলমানগণ সংবাদপত্র
পড়েও না, সংবাদপত্রে লেখেও না।
একটা ছোট বড়ো কা- হইয়া গেল অথচ এই মূঢ়
(মুসলমান) নির্বাক প্রজা সম্প্রদায়ের মনের
কথা কিছুই বোঝা গেল না।
তাছাড়া তিনি এও বলেছিলেন, মুসলমানেদের উচিৎ নিজের যোগ্যতায় সাহিত্য রচনা করা!!
তিনি খুব ভালো কবি এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা কিন্তু
কথা হচ্ছে নানা ভাবে এই ব্যাক্তিটি যেভাবে ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ মুলক কথা বলেছেন তাতে আমাদের এখন কি করা উচিৎ? তিনি ছিলেন খুবই ধমর্ অনুরাগী তিনি যদি তার ধমর্ রক্ষায় নানা কথা বলে উৎসাহিত করেছেন মানুসদের, মুসলিম হিসেবে আমাদের কি করা উচিৎ? সত্যপথ নিয়েই আমাদের সামনে এগুতে হবে ইমান নিয়ে, কারন ইমান এখন জলন্ত অংগারের মতো হয়েছে যা হাতে রাখাও দুস্কর! তাছাড়া কিছু চিনহিত দেশ যে মুসলমানদের নাম কলংকময় করতে অর্থায়ন করছে এটা আমরা সবাই জানি! যেমন জার্মানিতে মুসলিম অভিবাসীদের
ওপর সন্ত্রাসী হামলার
পরিকল্পনাকারী চারজনকে
বিস্ফোরকসহ উদ্ধার করা হয়েছে, অথচ এরা কেউ মুসলমান নয়!
সব প্লানিং করা, ইসলাম এর ভাবমূর্তি নস্ট করার জন্য কিছু দেশ প্রত্তক্ষ ভুমিকা নিচ্ছে এটাই সত্যি !
প্রশ্নগুলার উত্তর আজো পাইনি..।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৫২