হে জ্ঞান ফেরিওয়ালা (কিছু শিক্ষক
ও হুজুর)!
আর কতকাল আমাদের চোখে পরদা
দেয়ার ব্যারথ চেস্টায় মত্ত থাকবেন!
কর্পোরেট মনোভাবে কিছুটা
লজ্জিত হউন! আপনাদের কথা শুনলে
এখন আর কেউ আবেগপরায়ণ
হয়না,কাঁদতে চাইলেও পারেনা,
কারন আপনারাও এখন পুরোপুরিভাবে
কর্পোরেট! আপনাদের আদর্শহীন
কথাকলিতে এখন আর আলোকরশ্মি
ছড়ায় না।
হে শব্দচয়নের কারবারি!
আপনি যখন ওয়াজ করে চলে যান,পরেন
দিন সেখানেই কাওয়ালি গানের
আসর বসে, অথচ চাকুরীহীন হওয়ার ভয়ে
আপনিও কিছুই বলছেন না! বিবেকবোধ
কি নাড়া দেয়না? সেখানে
বেপর্দা নারীদের নৃত্যরত হতে
দেখেও আপনি নিরবতা পালন করছেন,
ভালো! পালন করুন! তবে সমাজের
প্রতিতো দ্বায়বদ্ধতা নেইই আপনার,
ধর্মের প্রতি ও কি নেই? একবেলা
অথবা শেষরাত পর্যন্ত গলাফাটিয়ে
শব্দ দান করার বিনিময়যোগ্যতা স্বরুপ
মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে
নিচ্ছেন নিন, কিন্ত উপরওয়ালার
কাছে কি জবাব দিবেন, চিন্তা
করেছেন একবারও? বেধে দেয়া সময়ে
আবেগময় হয়ে কথা বললেই কি
দ্বায়ীত্ত পরিপুষ্ট হয়ে গেলো!
সমাজের কুসংস্কার দুর করার ক্ষেত্রে
কতটুকু অবদান রেখেছেন? উঠতি বয়সের
ছেলেদের মাদকাসক্তির ক্ষতিকর
প্রভাব নিয়ে কতবার বক্তব্য
রেখেছেন! "আল্লাহ কি বান্দে"
সিনেমাসহ অন্যান্য ভারতীয়
সিনেমাওয়ালারা যে ইসলাম
নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করছে,দেশের
অভ্যন্তরেওতো উঠেছে কত
প্রশ্ন,সমাধানে কি এগিয়ে এসেছেন?
নিয়েছেন কোন কঠিন পদক্ষেপ?
নেননি, কারন সেখানে আপনাকে
অর্থ দেয়া হবেনা, তাই নয় কি?
হে অর্থ পুজারী! কোচিং এর নামে
আর কতকাল আস্থাশীল মানুসের
আস্থা আর বিশ্বাস নিয়ে নৃশংসতায়
মেতে থাকবেন? নিজের কাছেতো
না হয় কোন প্রশ্নচিহ্ন নেই, কিন্তু
নিজের সন্তানের কাছে কিভাবে
মুখ দেখাবেন! মানুষ তৈরির কারিগর
আজ কোথায়! আপনিও কি ভেবেছেন
একবারও,যে ছাত্রটিকে আপনি
টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র দিচ্ছেন
সে আপনাকে আদর্শ শিক্ষক হিসেবে
পরবর্তী বিশ বছর কি আপনাকে মনে
রাখবে? হ্যা তাই, মনে রাখবে ঠিকই
তবে আদর্শবান হিসেবে
নয়,ব্যাবসায়িক হিসেবে! শর্ট বা
সংক্ষিপ্ত করে জ্ঞান বন্টন কি কোন
প্রয়োগযোগ্যতা রাখে? জাতির
অংকুর ধংস করছেন, কে দিলো
আপনাকে এই অধিকার! সুশিক্ষা,
জ্ঞানকোষ আর নীতিকথা কি শুধুই
মলাটে মোড়ানোর ফ্রেমে বন্দি
করেই রাখবেন? এবার ক্ষ্যান্ত হউন।
পুনশ্চ : আপনাদের আদর্শহীন ও
আবেগমিশ্রিত কথা আর জ্ঞানহীন
বুলিতে আমরা আর প্রতারিত হবো না!
নিজেরাই নিজদের রক্ষা করবো,
আপনাদের রক্ষাতাবিজের আর
প্রয়োজন নেই!!