গত কয়েকদিন থেকে প্রাইভেট পড়ে আসার পথে একটা ছেলে বাইক নিয়ে আমাকে ফলো করে। আমাকে দাঁড়াতে বলে, আমার সাথে কথা বলতে চায়। আমি না থামলে আজে-বাজে মন্তব্য করে। বাইক নিয়ে আমার রিকশার পেছন পেছন যায়। আমি ভয়ে কুঁকড়ে থাকি। মাঝে দুই দিন প্রাইভেটে যাই নি। কিন্তু ভয়ে ভয়ে তৃতীয় দিন গিয়ে দেখি সেই রোমিও হাজির। আমি সব সময় আতঙ্কে থাকি। বাড়িতে বাবা অসুস্থ্য। বাবার হাই প্রেশারের সমস্যা। কিছু বললেই রেগে যান আর শরীর খারাপ করে। আমার এই কথা শুনলে বাবার কি হবে আমি জানি না। আমার মায়ের সাথে আমার সেরকম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই যে, আমি মাকে জানাব। আর আমার ভাইয়া ভীষণ রাগী। সে যদি শোনে তাহলে আমাকে মেরেই ফেলবে। সে ভাববে আমিই দোষী কারণ আমি ছেলেটাকে একসেস দিয়েছি। বলুন আমি এখন কি করব! আমি যে প্রাইভেট ছেড়ে দিব সেটিও পারছি না, তাহলে বাড়ি থেকে সন্দেহ করবে। আমি দুপুর বেলা পড়তে যাই। তখন রাস্তা-ঘাট ফাঁকা থাকে। আমার প্রচন্ড ভয় লাগে। আমি কোনো মতে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে পারছি না। এখন আমি কি করব! এভাবে চললে আমার জীবনটাই শেষ হয়ে যাবে। আমি কিছুই ভাবতে পারছি না। আসলে প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো মেয়ে এরকম ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছে কিন্তু ভয়ে কিছু প্রকাশ করতে পারছে না। কারণ অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা এসব অল্প বয়সী মেয়েগুলোরে জন্য সেরকম বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করেন নি। অথচ উল্টো টা হওয়ার কথা ছিল। মেয়েটি বাইরে থেকে যতই ঝড়ঝাপ্টা সহ্য করে আসুক বাড়িতে এসে বাবা-মা-বড় ভাই-বোনকে নির্দ্বিধায় বলতে পারবে এরকম একটা পরিবেশ গড়ে তোলা খুব জরুরী। ও যেন বাড়িতে আসলে সেই প্রশান্তি পায়। বাবা যেন মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে পারেন দূর পাগলি কিছুই হয় নি, আমি দেখছি তোর ভয়ের কিছু নেই। মা বলবেন, আমিই তোকে কাল থেকে নিয়ে যাব। বড় ভাইয়া বলবেন, আমি দেখছি তোর কোনো টেনশান নেই, তুই পড়। বড় আপা রাতে পাশে গিয়ে বসবেন আর অভয় দিবেন। এরকম হলে কিন্তু মেয়েটি সাহস পাবে লড়াই করার। ওর কাছে তখন এসব রোমিওদের ভয়-ভীতি তুচ্ছ মনে হবে। ওর কাছে দুনিয়াটা হবে অন্যরকম লড়াইয়ের এক ক্ষেত্র। কারণ ও জানে ওর চারপাশে ছায়ার মতো জড়িয়ে আছেন বাবা-মা-ভাই-বোন!
পরিবারে মেয়েদের কথা শেয়ার করার মতো বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ চাই
মত প্রকাশ মানে সহমত।
আওয়ামী লীগ আমলে সমাজের একটা অংশের অভিযোগ ছিলো, তাদের নাকি মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই। যদিও, এই কথাটাও তারা প্রকাশ্যে বলতে পারতেন, লিখে অথবা টকশো তে।
এখন রা জা কারের আমলে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আত্নমর্যাদা!
রেহমান সোবহান একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৬ কিলোমিটার। রেহমান সাহেব এমন একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন যা খুব নির্জন এলাকায় অবস্থিত এবং সেখানে যাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন
কাঁঠালের আমসত্ত্ব
কাঁঠালের কি আমসত্ত্ব হয় ? হয় ভাই এ দেশে সবই হয়। কুটিল বুদ্ধি , বাগ্মিতা আর কিছু জারি জুরি জানলে আপনি সহজেই কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানাতে পারবেন।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানানের জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। অ্যাকসিডেন্ট আরও বাড়বে
এরকম সুন্দরী বালিকাকে ট্র্যাফিক দায়িত্বে দিলে চালকদের মাথা ঘুরে আরেক গাড়ির সাথে লাগিয়ে দিয়ে পুরো রাস্তাই বন্দ হয়ে যাবে । ...বাকিটুকু পড়ুন
কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন