একটা সময় ইসলামে হাতেগোনা কয়েকজন ছিল। এখন সেই হাতেগোনা সংখ্যা কোটিতে এসে গেছে। নবী ইব্রাহীম আঃ কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হয় তখন দুনিয়ায় শুধু তিনি একাই মুসলিম বা ইসলাম ধর্মের ছিলেন। একা একদম একা। কই বাদশাহ নমরুদ কি ইসলামের প্রচার প্রসার থামাতে পেরেছেন ? একদমই না বরং ইসলাম আরো এগিয়ে গেছে।
একই অবস্থা নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর সময়। ইসলামি আদর্শে বিশ্বাস করা যাদের মুসলিম বলি তাদের নানাবিধ পরীক্ষা দিয়ে জান্নাত পেতে হবে আর জান্নাত এক সুযোগে তারাই পাবে যারা আশরাফুল মাখলুকাত মানে সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে সেরা ! এখন অমন সৃষ্টির সেরা কয়জন আছেন দুনিয়ায়? দেখবেন ১% বা এরচেয়ে কম! বেশীরভাগ সুবিধাবাদী মুসলিম বা Fake Muslim ! আমিও এর মধ্যে আছি। ভরসা রাখছি শুধু আল্লাহর দয়ার উপর এই যা ! তাঁর সাথে কাউরে শরিক করছি না।
" যেদিন ইসলাম থাকবে না দুনিয়ায় মানে আল্লাহ কে কেউ ডাকবে না মানবে না ভুলে যাবে সবাই সেদিন কেয়ামত ! " ইহা শতভাগ সত্য।
এই যে কেয়ামত হবে এর কথা সব ধর্ম গ্রন্থে প্রায় উল্লেখ আছে। এর আলামত ইসলামে যেভাবে এসেছে অন্য ধর্মে কি সেভাবে এসেছে ?
যেমন, ইসলামে বলা আছে কেয়ামত এর আগে সবচেয়ে বড় আলামত এর মধ্যে একটি হলো সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হওয়া। যেদিন উদিত হবে সেদিন তওবা গ্রহণ করা বা আল্লাহর ক্ষমা পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
এখন এই যে সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উঠবে এতে কি হবে ?
আমার নিজস্ব মত যত স্যাটেলাইট আছে যা দুনিয়ার চারপাশে ঘুরছে এগুলি সব ধ্বংস হয়ে যাবে কারণ এগুলি তো আর দুনিয়ার উল্টো ঘুরে যাবার সাথে সাথে উল্টো ঘুরবে না। লাগবে বড়সড় ধাক্কা একটা আরেকটার উপর এসে পড়বে। পুরা সিস্টেমে একটা বিশাল পরিবর্তন !
পুরা যে অভিকর্ষ বল আছে তার উপর প্রভাব যেসব ম্যাগনেটিক ওয়েব বা ফিল্ড আছে এর উপর প্রভাব। আর সমস্ত স্যাটেলাইট ধ্বংস হওয়া মানে সমস্ত নেট ওয়ার্ক গায়েব ! মোবাইল ফেসবুক অচল! আফসোস! বাঙালীদের জন্য । এরা ফেসবুক ছাড়া বাঁচবে কেমনে? তারপর টিকটক ! আহ ! কি দিন যে আইতাছে !
এসবের ভেতর নানান মহামারী আসতে থাকবে একটার পর একটা সেটা মানুষ দ্বারা তৈরী হোক বা আল্লাহর দিক থেকে হোক। অবিরাম চলবে। যেমন এখন করোনা চলছে সাথে আরও কিছু চলবে।
এরপর পরিবেশ বিপর্যয় ! এখন যেমন সবাই চিল্লাচ্ছে গরম বেড়ে যাচ্ছে গাছ লাগাও ! অক্সিজেন ঠিক রাখো ইত্যাদি কিন্তু আখেরে কিছুই হবে না। তাই হবে যা লিপিবদ্ধ করা আছে।
তারপর তো দুনিয়ার রাজা বাদশাহ উজির নাজির দের অত্যাচার ! দেশের সম্পদ লুন্ঠনকর্মকে সবচেয়ে নেকি কাম হিসেবে ধরে নেয়া। গরীবদের আরো গরীব করে দেয়া।
যেমন আফ্রিকায় এত সম্পদ অথচ সে দেশে কি অভাব ! তাদের সম্পদে অন্য দেশ মাতব্বরি ফলায়। এদের টাকা নাই ! শিক্ষা নাই ! এদেরকে জোর করে এই অবস্থার ভেতর ফেলে রাখা হয়েছে সাথে নিজের দেশের সরকার জড়িত।
আমাদের এখানেও কম কি ! কোটি টাকার নিয়ন জ্বলে এর নীচে পতিতা ! মানুষ ঘুমায় ! পানির বোতল, ফুল নিয়ে ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে রাস্তায় দৌড়াদৌড়ি করে জোরে হাঁক দেয়
" সাব ! ও সাব! ফুল নিবেন বা পানির বোতল ! "
অথচ এদেশে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী বলে কোটি টাকার বোম ফূটে আজব ! বি পি এল চলে! মদ জুয়ার আসর জমে! এরা কি রাস্তায় চলে না ? দেখেনা এসব ? কি জানি মনে হয় আমার দৃষ্টিশক্তিতে ভেজাল আছে তাই এসব ছোটলোক ইতরদের দেখি !
আচ্ছা, ছিলাম ধর্ম কর্ম নিয়ে এর ভেতর রাজনীতি বা হাত ঢুকিয়ে দিচ্ছে । দুঃখিত !
এত সমস্যা ! এত সমস্যা ! এর ভেতর মানুষ বেকার হয়ে পড়বে বেশী । টাকা পয়সা, ক্ষমতা শুধু একটা গোষ্ঠীর কাছে থাকবে। বাকিরা গোলাম হয়ে দিন যাপন করবে। ভাবা যায় কি একটা দিন আসছে ? সেই বনী ইসরায়েল দের মতন ফারাও দের গোলাম হয়ে থাকা ।
একদিকে সমস্ত স্যাটেলাইট শেষ ! এরপর মহামারী ! মানুষের কাম কাইজ নাই ! এর উপর খরা। বৃষ্টি নাই বছর এর পর বছর। কোন ফসল নাই, ফল নাই। এত হাহাকার এর ভেতর কেউ যদি আপনারে খাবার, ঔষধ, টাকা পয়সা সব দেয় আর বিনিময়ে বলে আমারে খোদা মানো তখন কি করবেন ?
পেটের মতন হারামি কিচ্ছু নাই ! এইতো বেশী দিন আগের কথা নয় বৃটিশ আমলে আমাদের এখানে যে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল তখনই কত মুসলিম, হিন্দু খিদার জ্বালায় খ্রিস্টান হয়ে গেছে । কারণ খ্রিস্টান মিশনারীগুলি তখন খাবার দিত বিনিময়ে তাদের ধর্ম মেনে নিতে হবে।
আর সেসময় তো আরো ভয়ানক অবস্থা । ঈমান আমল গোল্লায় যাবে। সেসময় যে এসে বলবে আমায় খোদা মানো। তার কথা ইসলাম থেকে বাইবেল, তাওরাতে উল্লেখ আছে যার নাম দাজ্জাল বা মহাপ্রতারক ! সে তখন আসবে যখন তাকে গ্রহণ করার মতন পরিবেশ সৃষ্টি হবে। এখন সে পরিবেশ সৃষ্টির আয়োজন চলছে।
আশার কথা মুসলিম দের জন্য সে সময় নবী ঈসা আঃ ও আসবেন । সো নো চিন্তা ডু ফুর্তি !