" গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করে, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়। "
এটা অসমাপ্ত পোস্ট। ১৮ ই জুলাই থেকে ট্রমার ভেতর আছি। কিছু লিখতে পারছি না। অনেকরাত ঘুমাতে পারিনি। যা দেখেছি সহ্য করতে পারিনি। আমি নরম মনের মানুষ , অনেক কিছুই সহ্য করতে পারি না। কালাশনিকভে গুলি করতে দেখেছি , লাশ পড়তে দেখেছি , পুলিশের সাঁজোয়া যান আন্দোলনকারী ছাত্রের মাথার উপর তুলে দিতে দেখেছি। সেই মাথা গলা লাশ পরে থাকতে দেখেছি কয়েক ঘন্টা যাবৎ। এইগুলো কিছুই সহ্য হয়নি। রাতে ঘুম ভেঙে যেত। ছেলেটা বলতো বাবা কি হয়েছে ? দুষ্টু পুলিশ গুলি করছে। তুমি আর বাইরে যাবে না।
সেদিন বাড়ি ফিরে ছিলাম। অনেকেই ফেরেনি। কারো বাবা অপেক্ষা করেছে। কারো মা শেষ নাস্তা বেড়ে দিয়েছে সকাল বেলায়।
না ! আপাতত এটুকুই।
‘গুলি করলে মরে একটা, বাকিডি যায় না স্যার!’ মাথা থেকে যাচ্ছে না।
দেয়ালে এমন একটা গ্রাফিতি দেখে ফেলবো শীঘ্র ই।
গুলির ভয়ে ওরা কোথাও যায়নি আর যায়নি বলেই নতুন ইতিহাসের জন্ম হয়ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:২৬