লোকাল বাসের পিছে বসে রমিজ সিগারেট টানছে । সামনের সিটে বসে দুই মহিলা , কোলে বাচ্চা। খক করে এক দলা থুথু ফেললো জানলা দিয়ে.... শালা , কুত্তা ! কাকে গালি দিল কে জানে। বাচ্চা তার দিকে চেয়ে হাসে , মায়ের কাঁধে ভর দিয়ে তাকায় । কথা বলা শিখেনি। রমিজ সিগারেটের ধোঁয়া ফুস করে ছেড়ে দিল বাচ্চাটির মুখে।বাচ্চাটি চোখ পিটপিট করে। চোখে কাজল , কপালে বড় কাজলের টিপ। বাচ্চাটি হা করে আছে , জিহ্বা সামনে বেরোনো। রমিজের ইচ্ছে হচ্ছে জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে জিহ্বায় ছেকা দিতে । আরেক দলা থুথু ফেললো রাস্তায় , লুঙ্গিতে নাক মুছলো । তাড়াহুড়া করে বাস থেকে নামলো সূত্রাপুরের আগে। বাচ্চাটা কাঁদছে , চিৎকার করে কাঁদছে। বাচ্চাটির জিহ্বায় দগদগে পোড়া দাগ।
রাস্তার পাশে ড্রেনের ভেতর লুঙ্গি তুলে প্রস্রাব করতে বসলো রমিজ । ছরছর করে শব্দে হচ্ছে। ড্রেনের ভেতরের কীট পোকামাকড় গুলো কিলবিল করছে। প্রস্রাবের গতি বাড়িয়ে দিল রমিজ । শেষ ফোঁটাটা লুঙ্গিতে মুছে উঠে দাঁড়াল। কোমড়টা ব্যাথা করছে। এই কয়দিন ধকল গেছে খুব। আরেক দলা থুথু ফেললো রমিজ। মুখ বাঁকা করে অশ্লীল একটা গালি দিল --- ।
ময়নার মা খুব দেমাগী মা** ।রাস্তার ওষুধে আর কাজ হয় না। ডবল ডোজ নিয়েই আকাম হল। গলা চেপে ধরতেই মা* বেহুঁশ । আর কোন সারা শব্দ নেই , নড়াচড়া নেই। শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ। রমিজ বুঝলো মারা গেছে। লুঙ্গি পড়েই দৌড় দিয়েছে সে।
কয়েকদিন পর একটা লাশ পাওয়া গেল পরিত্যক্ত বাড়ির খুপরি ঘরে। মহিলার লাশ। নাম শরীফা। বিবাহিত , ময়না নাম একটা বাচ্চা আছে তার। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় ধর্ষণের পর দমবন্ধ করে হত্যা করা হয়েছে ।
এইসবে রমিজের কোন অনুশোচনা নাই। বরং আনন্দ আছে , মজা আছে।
----------------------------------------------------
''অন্ধকারের আর আলোর গল্প'' শিরোনাম এই অংশটুকু পোস্ট করা হয়েছিল। "অন্ধকারের গল্প" শিরোনামে নতুন করে সিরিজ শুরু করছি। এই গল্প শুধু অন্ধকারের কথা বলবে।