এই সাঈদীই একাত্তরের রাজাকার তা প্রমানিত
বাংলানিউজ টিম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ট্রাইব্যুনাল থেকে: এই দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীই একাত্তরের রাজাকার ছিলেন। বিষয়টি সফলভাবে প্রমাণে সক্ষম হয়েছেন প্রসিকিউশনের সদস্যরা।
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের মামলার রায় ঘোষণার প্রথম অংশে এ কথা জানানো হয়েছে। প্রথমাংশের রায় পড়ে শোনান ট্রাইব্যুনালের সদস্য আনোয়ার হক।
সাঈদীর বিরুদ্ধে আনা ২০টি অভিযোগের ১, ২, ৩, ৪ ও ১৩ নং অভিযোগের প্রমাণ সাপেক্ষে এ কথা জানানো হয়।
তবে তার বিরুদ্ধে আনা ৫, ৯ ও ১২ নং অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
প্রমাণিত প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৪ মে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নেতৃত্বাধীন দলের সদস্যরা পাকিস্তানি সেনাদের খবর দিয়ে পিরোজপুর সদর এলাকার মধ্য মাসিমপুর বাসস্ট্যান্ডের পেছনে নিয়ে যান। সেখানে পরিকল্পিতভাবে আগে থেকে জড়ো করা ২০ জন নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়, ৪ মে সাঈদী ও তার দল পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে নিয়ে মাসিমপুর হিন্দুপাড়ায় যান। সেখানে হিন্দু বাড়িগুলোতে লুট করেন এবং আগুন ধরিয়ে দেন। মানুষ পালাতে শুরু করলে সাঈদী ও তার দলের সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে ১৩ জন শহীদ হন।
অভিযোগ-৩ এ বলা হয়, ৪ মে সাঈদী পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে মাসিমপুর হিন্দুপাড়ায় মনীন্দ্রনাথ মিস্ত্রী ও সুরেশ চন্দ্র মণ্ডলের বাড়ি লুট এবং আগুন ধরিয়ে দেন। সাঈদী নিজে বিভিন্ন গ্রামের রাস্তার পাশের অসংখ্য বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।
অভিযোগ-৪ এ বলা হয়, ৪ মে সাঈদী তার রাজাকার বাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে ধোপাবাড়ির সামনে এবং পিরোজপুর সদর পুলিশ স্টেশনের এলজিইডি ভবনের পেছনের হিন্দুপাড়া ঘিরে ফেলেন। এ সময় গুলি চালানো হলে দেবেন্দ্রনাথ মণ্ডল, জগেন্দ্রনাথ মণ্ডল, পুলিন বিহারী ও মুকুন্দ বালা মারা যান।
অভিযোগ-১৩ এ বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার দুই-তিন মাস পর সাঈদীর নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনারা নলবুনিয়া গ্রামের আজহার আলীর বাড়িতে যায়। সেখানে আজহার আলী ও তার ছেলে সাহেব আলীকে ধরে নির্যাতন করা হয়। সাহেব আলীকে পিরোজপুরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময় ১২৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৩
জেপি/এমইএস/এমএইচপি/এমএমকে