Book Review: Power of Habit-Part Three -Chapter Nine: The Neurology of Free Will: Are we responsible for our habits?
মানুষ কি তার অভ্যাসের জন্য দায়ী?
এনজি ব্যাচম্যান ( Angie Bachmann) ছিলেন আর দশজন সাধারন মেয়ে কিম্বা মায়ের মত। বিয়ে আর তারপর পরিবারের ব্যস্ততা, বাচ্চাদের মানুষ করা। টিনেজ বয়সে এক বান্ধবী তাকে বলেছিল মডেলিং করতে। তবে তিনি মা হিসাবেই সন্তোষ্ট ছিলেন। তিনটা মেয়েই যখন স্কুলে থাকে, স্বামী কর্মস্থলে, তিনি দিনের এই সময়টা খুব একাকীত্ব বোধ করেন। এরকমই এক দিনে কিছু সময় কাটানোর জন্য তিনি বাড়ি থেকে ২০ মিনিটের দুরত্বে রিভারবোট ক্যাসিনোতে যান। সেখানে দুপুরের খাবার খান এবং একজন অপারেটরের কাছে নিয়ম শিখে নিয়ে এক ঘন্টা জুয়া খেলেন। তারপর ছোট মেয়েকে আনতে তার স্কুলে চলে যান। অনেক দিন পর তার মনে হলো একটা ভাল সময় কাটলো। এরপর নিয়ম করে সপ্তাহে একদিন যাওয়া শুরু করলেন, নির্দিষ্ট সময়ের বেশী খেলতেন না এবং পার্সের টাকা শেষ হয়ে গেলেই উঠে যেতেন।
২০০০ সালের দিকে এঞ্জির বাবা মা (যারা দুজনেই ধুমপায়ী ছিলেন) দুজনেরই ফুসফুসের অসুস্থতা শুরু হয়। এঞ্জি প্রতি সপ্তাহে বাবা মার কাছে যাওয়া শুরু করলেন, বাজার করে রান্না করে দিয়ে আসতেন। নিজ বাড়িতে ফিরে বাকী দিনগুলিতে আরো একাকী বোধ করা শুরু করলেন। তিনি তার বাবা মায়ের জন্য চিন্তিত ছিলেন, তার মনে হতো তার স্বামী তার দুঃখের ভাগীদার নন, মেয়েরা তার প্রতি সহানুভুতিশীল নয়। কিন্তু ক্যাসিনোতে গেলে তিনি এসব দুঃখ ব্যথা ভুলে যেতেন। মাঝে মাঝে তিনি জিততেন আবার কখনো হারতেন কিন্তু সেটা নিয়ে খুব মাথা ঘামাতেন না। ধীরে ধীরে তার নিয়ম শিথিল করতে থাকলেন, বেশী সময় ধরে খেলতেন, কাছে থাকা টাকা শেষ হয়ে গেলে জুয়া কোম্পনির কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে খেলতেন। তার ব্যাংকের টাকা শেষ হয়ে গেলে তিনি তার বাবার কাছ থেকে ধার নেয়া শুরু করলেন, সেটা বড় কোন সমস্যা ছিল না, উনার কাছে প্রচুর টাকা ছিল।
এঞ্জি বাচম্যানের এলকোহল, মাদক বা বেশী খাওয়া ইত্যাদি অন্য কোন রকম আসক্তি কখনই ছিলনা। তিনি ছিলেন একজন আদর্শ মা যিনি একদিন শুধুমাত্র কিছুটা ভালো সময় কাটানোর জন্য ক্যাসিনোতে যান, তিনি কখনই ভাবেননি এটা কোন সমস্যা কিন্তু তিনি একসময় এটার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলেন। একদিন যেটা ছিল সামান্য অবসর কাটানোর উপায়, পরবর্তীতে সেটা অনিয়ন্ত্রিত নেশায় পরিনত হয়।
২০০১ সালে তিনি প্রতিদিন ক্যাসিনোতে যাওয়া শুরু করেন । যখনই স্বামীর সাথে ঝগড়া হয় কিম্বা তার মনে হয় বাচ্চারা তার সাথে ভালো ব্যাবহার করছে না, এই দুঃখবোধ তাকে ক্যাসিনো পর্যন্ত নিয়ে যেত। জয়ের জন্য মস্তিষ্কের ক্ষুধা এত প্রবল ছিল যে ক্ষতির দুঃখবোধ বেশিক্ষণ থাকতো না। ক্যাসিনোতে ক্ষতির পরিমাণটা তিনি স্বামীর কাছে লুকিয়ে রেখেছিলেন। কুড়ি হাজার ডলার ক্ষতির পর তাকে স্বীকার করতে হয় এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবার চেষ্টা শুরু করেন।
২০০৮ সালের জুলাই এর এক সকালে ব্রিয়ান থমাস নামে এক ব্যাক্তি পুলিশকে ফোন করে জানান তিনি তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। তারা বেড়াতে গেছিলেন এবং একটা ভ্যানে রাত্রি যাপন করেন। থমাস পুলিশকে জানান তিনি দেখলেন কেউ একজন তার ভ্যানে প্রবেশ করে তার স্ত্রীকে হত্যা করার চেষ্টা করছে, তিনি বাইরের এই গুন্ডা থেকে স্ত্রীকে বাচানোর চেষ্টা করেন, বাইরে থেকে আসা এই আক্রমণকারীকে পালটা আক্রমণ করেন, তার গলা চেপে ধরে ধরেন। আক্রমণকারী যখন নিস্তেজ হয়ে তার গায়ে হেলে পড়েন তখন তিনি চিনতে পারেন নিহত ব্যক্তি কোন বহিরাগত আক্রমণকারী নয়, বরং সে হচ্ছে তার স্ত্রী। থমাস এর আগে কখনই তার স্ত্রীর সাথে দুর্ব্যবহার করেন নি। তারা দীর্ঘ বিবাহিত জীবন কাটিয়েছেন, দুই বাচ্চা বড় হয়ে গেছে, অল্প কিছুদিন পর তাদের চল্লিশতম বিবাহ বার্ষিকি পালনের প্রস্তুতি ছিল পরিবারে। তবে থমাসের ছোট বেলা থেকেই ঘুমের মধ্যে হাটবার (sleep walking) অভ্যাস ছিল। বিবাহের পর তার স্ত্রী তাকে একঘরে তালা মেরে চাবী নিয়ে অন্য ঘরে ঘুমাতেন যেন সে ঘুমের মধ্যে রাস্তায় যেয়ে দুর্ঘটনা না ঘটান। ঘুমের মধ্যে হাটবার ব্যাপারে ইউনিভার্সিটি অফ মিনেসোটার নিউরোলজির অধ্যাপক মার্ক মাহওয়াল্ড বলেন কারো মস্তিষ্ক সাধারন আচরন কিম্বা সিদ্ধান্ত গ্রহনের অংশটুকু ঘুমায়ে থাকে কিন্তু কিছু অংশ জাগ্রত হয়ে যায় যা এমন কিছু কাজ করতে পারে যা মস্তিষ্কে অভ্যাস হিসাবে প্রোগ্রাম করা আছে। আদালতের নির্দেশে থমাসকে একজন ঘুম বিশেষজ্ঞ পরী্ক্ষা করে ফলাফল দেন যে স্ত্রীকে হত্যা করবার সময় তার মস্তিষ্কের সিদ্ধান্ত নেবার অংশ অবচেতন ছিল।
ঘুমের মধ্যে হাটা নিয়ে বিজ্ঞানীদের তত্ব হচ্ছে যখন আমরা ঘুমায়ে যাই, আমাদের শরীর বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন অবস্থার মধ্যে দিয়ে যায়। যেমন কখনো মস্তিষ্ক স্নায়ু ব্যবস্থাকে অবসন্ন করে দেয় যাতে শরীরে কোন ব্যাঘাত না ঘটিয়ে মস্তিষ্ক স্বপ্ন দেখতে পারে। প্রকৃতপক্ষে ঘুমের মধ্যেই স্নায়ুকে অবসন্ন করে দেয়ার ব্যাপারটা বেশ কয়েকবার হতে পারে। এভাবে ঘুমের মধ্যেই শরীর এক অবস্থা থেকে আরেক অবস্থায় অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে কোন ভুল (Error) ছাড়াই। এটাকে নিউরোলজির ভাষায় “সুইচ” বলে। তবে কখনো কখনো এই সুইচ করতে যেয়ে ভুল হয়ে যায়, তখন কিছু অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে। যেমন তখন এমন হতে পারে যে মস্তিষ্কের এক অংশ ঘুমায়ে থাকে বা অবসন্ন অবস্থায় থাকে কিন্তু শরীর অবসন্ন না থেকে চালু অবস্থায় চলে যেতে পারে। তখন দেখা যায় মানুষ মস্তিষ্কের এক অংশ ঘুমায়ে থাকে, অন্য অংশ জাগ্রত থাকে এবং শরীরের একটা অংশ জাগ্রত হয়ে যায়। তখন মানুষ ঘুমের মধ্যে হেটে বেড়াতে পারে। এরকম অবস্থায় মানুষ বেশ জটিল কাজ করতে পারে। যেমন চা বানায়, বাড়ির পিছনে বাগান কাজ করতে পারে, গাড়ি চালাতে পারে যদিও মস্তিষ্কের যে অংশ সিদ্ধান্ত নেয় সেই প্রিফ্রন্টাল করটেক্স জেগে থাকে না। তবে বেশির ভাগই সময় নিজের বা অন্যের ক্ষতি করে না। তবে বিজ্ঞানীরা গবেষনায় দেখেন যে কোন কোন সময় মস্তিষ্কের কিছু অংশ জেগে উঠার পর স্বপ্ন বা অন্য কোন ইম্পালস এর ভিত্তিতে কাজ করা শুরু করে। নিউরোলজিস্টরা এটার নাম দিয়েছেন sleep terror কারন এ অবস্থায় মস্তিষ্ক অন্যের ক্ষতি করে ফেলতে পারে। এ অবস্থায় মস্তিষ্কের কার্যক্রম জাগ্রত, আধা জাগ্রত, এমনকি স্লিপ ওয়াকিং এর অবস্থার চেয়ে ভিন্ন থাকে, এ অবস্থায় মস্তিষ্কের একদম আদিম নিউরোলজিক্যাল অঞ্চল (primitive neurological region) ছাড়া পুরো মস্তিষ্ক ঘুমায়ে থাকে। নিউরোলজিস্টদের মতে এসময় মস্তিষ্ক অবচেতনভাবে একটি চক্র অনুসরন করার মত কাজ করে থাকে। এ সময়টা বিপদজনক কারন তখন মস্তিষ্কের প্রি-ফন্টাল করটেক্স সহ হাই কগ্নিশন এরিয়া অকার্যকর থাকে বলে সে সচেতন সিদ্ধন্ত নিতে পারে না বরং সে শুধুমাত্র আদিম কোন অভ্যাসের অনুসরন করে থাকে। যেমন যদি কেউ ভয় থেকে স্লিপ টেরর-এ যায়, দেখা যায় সে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ছে এই ভেবে যে শত্রু তাকে তাড়া করছে, কিম্বা কেউ তার সন্তানকে হত্যা করে ফেলে এটা ভেবে যে সে আসলে একটা হিংস্র বন্য জন্ত থেকে নিজকে রক্ষা করছে। এই রুটিনগুলো আমাদের মাথায় বেসিক সারভাইভার ইন্সটিংক হিসাবে রপ্ত হয়ে থাকে, সিপ্ল টেরর থেকে ট্রিগার হলে মস্তিষ্ক অটোমেটিক এটা ফলো করে। ব্রিয়ান থমাসের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তার আইনজীবিরা আদালতে যুক্তি পেশ করেন যে তিনি যখন স্ত্রীকে খুন করেন তখন তিনি জাগ্রত ছিলেন না, সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা তার ছিলনা, বরং মানুষ প্রজাতির শুরু থেকেই আমাদের মাথায় যে অভ্যাস গেড়ে দেয়া আছে তথা প্রিয়জনকে বাচানোর জন্য মস্তিষ্কে যে অভ্যাস চক্র স্থাপিত হয়ে আছে, সেটার অনুসরন করেছেন মাত্র এবং সেটা স্ত্রীকে বাচানোর জন্যই করেছেন। আদালত এই যুক্তি আমলে নেয় এবং থমাসকে খালাস দান করে।
এঞ্জি বাচম্যানের কুড়ি হাজার ডলার ক্ষতি করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবার তিন বছর পর উনার বাবা মারা যান, তার দুই মাস পর মা মারা যান। এই সময় তিনি নিয়মিত বাবা মাকে দেখতে যেতেন, তাদের বাজার করা কিম্বা সপ্তাহের রান্না করে দিয়ে আসতেন। মা বাবার মৃত্যু তার মধ্যে নতুন করে শুন্যতা তৈরি করে। কিছুদনের মধ্যে তিনি জানতে পারেন বাবা মা তাকে ১ মিলিওন ডলার দিয়ে গেছেন। তিনি বাবা মা যে এলাকায় থাকতেন সেখানে বাড়ি কিনে সেটল হন। মেয়েদের বাড়ি কিনে দিয়ে কাছাকাছি এলাকায় নিয়ে আসেন। এই রাজ্যে ক্যাসিনো নিষিদ্ধ ছিল, তাছাড়া তিনি ফোন নম্বার বদলে ফেলেছেন, তার নতুন ফোন নাম্বার কিম্বা ঠিকানা তিনি আগের ক্যাসিনোর সাথে শেয়ার করেন নি। তিনি ওই অন্ধকার জগতে আর ফিরতে চাননি।
এরকম এক সময় তিনি তার পুরাতন শহরে যান আগের বাসার সর্বশেষ আসবাব আনবার জন্য। বাবা মার শুন্যতা তিনি ভুলতে পারছিলেন না। তিনি ভাবছিলেন বাবা মাকে ছাড়া কিভাবে চলবেন ? তিনি অপরাধবোধে ভুগছিলেন যে কেন তিনি আরো ভাল মেয়ে হতে পারেন নি? তিনি মানসিক চাপ অনুভব করতে থাকেন। এই চাপ ভুলে থাকার জন্য তিনি স্বামীকে অনুরোধ করেন একবারের জন্য ক্যাসিনোতে যেতে। বেশ কয়েক বছর পর তিনি আবার ক্যাসিনোতে পা রাখেন। ক্যাসিনোর এক ম্যানেজার তাকে চিনতে পারেন, তার কাছে এঞ্জি তার সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো খুলে বলেন, এক ঘন্টা তিনি জুয়া খেলেন। তিনি মানসিক চাপ থেকে বেশ হালকা অউভব করেন। এরপর ক্যাসিনো থেকে তিনি চিঠি এবং বিভিন্ন অফার পেতে থাকেন। যেহেতু তিনি এখন অনেক দূরে থাকেন, ক্যাসিনো থেকে গাড়ি পাঠিয়ে দেয় তাকে আসবার জন্য। তাকে বিনামুল্যে বিমান টিকেট পাঠিয়ে দেয় ছুটি কাটানোর জন্য। তিনি ধীরে ধীরে আবার ক্যাসিনোতে নিয়মিত যাওয়া শুরু করেন। ক্যাসিনোতে পা দেওয়া মাত্র তার জুয়া খেলবার পুরাতন অভ্যাস চক্র চালু হয়ে যেত। তিনি নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে খেলতে থাকেন। তার জমানো টাকা শেষ হয়ে যায়, তিনি আরো হতাশায় পড়েন। আবার এই টাকা তাকে জুয়া খেলেই উঠাতে হবে এই চিন্তাও তার মাথায় কাজ করতে থাকে। ক্যাসিনোর অফারও আসতে থাকে। তিনি তার তিনি ক্যাসিনো থেকে ১২৫,০০০ ডলার ঋণ নিয়ে সেটিও হারেন। তিনি আরো ঋণ চান কিন্তু ক্যাসিনো কোম্পানি আরো ঋণ দিতে অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে ক্যাসিনো কোম্পানি তার দেয়া ঋণের টাকা উঠাবার জন্য মামলা করে, তার ব্যাপারটি আদালতে যায়।
এখানে নিউরোলজিস্টদের আরেকটি পরীক্ষার বিষয়ে আলোকপাত করা যেতে পারে। উনারা জুয়ায় আসক্ত এবং শখের বসে খেলেন এমন কিছু মানুষ নিয়ে জুয়া খেলা সিমুলেশন করেন। যেখানে জয়, পরাজয় আর একটুর জন্য জয় হয়নি (near miss) এরকম তিনটা অবস্থায় তাদের মস্তিষ্কের কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয়। তারা লক্ষ করেন যারা আসক্ত তাদের “একটুর জন্য জয় হয়নি (near miss)” এ অবস্থার মস্তিষ্কের অনুভুতি জয়ের সময়ের মত আর যারা শখের বসে খেলেন তাদের “একটুর জন্য জয় হয়নি (near miss)” এই অবস্থার মস্তষ্কের অনুভুতি পরাজয়ের মত। এটা দিয়ে আসক্তির ব্যাপারটা ব্যাখা করা যায় কেন তারা টাকা হারার পরেও খেলতে থাকে, প্রত্যেকটা near miss-এ তাদের মস্তিষ্ক জয়ের অনুভুতি পায়, তারা হারার পরও খেলতে থাকে।
এনজির মামলা আদালতে উঠলে তার আইনজীবি যুক্তি দেন তিনি এমনভাবে অভ্যাস চক্রের শিকার হয়েছিলেন যে তার সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতার ছিল না সুতরাং তিনি দোষী হতে পারেন না। তিনি ব্রিয়ান থমাসের মত কিছু মামলার উদাহরন টানেন। কিন্তু আদালত তার বিরুদ্ধে রায় দেন।
এনজির মামলা থেকে সিদ্ধান্তে আসা যায় যে মানুষ তার অভ্যাসের জন্য দায়ী। বিভিন্ন অভ্যাস আমাদের প্রতিদিনের জীবনের অংশ। অনেকগুলি আমাদের মস্তিষ্কের গভীরে প্রোথিত থাকে, সেটা এত স্বতস্ফর্ত ভাবে আমরা করি যে এর ইংগিত এবং পুরস্কার (cue & Reward) সমন্ধে আমরা সচেতন ভাবে চিন্তাও করিনা। কিন্তু নিশ্চিত ভাবেই অভ্যাস চক্র (cue-routine-reward) অনুসরন করে। তবে আমরা কোন একটা অভ্যাসে অভ্যস্ত হলে সেটা আমদের অপরবর্তনীয় ভাগ্যলিপি নয়। মানুষ তার অভ্যাস বদলাতে পারে, নতুন অভ্যাস তৈরি করতে পারে। মাদকাসক্ত ব্যক্তি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে। ক্ষতিতে থাকা কোম্পনী মূল অভ্যাস (key stone habit) বদলিয়ে পুরো কোম্পানিকে ট্রান্সফর্ম করতে পারে। সমাজে বিপ্লব সাধন হয় (সামজিক অভ্যাসকে ট্রিগার করে এটা করা যায়)। আপনাকে সচেতনভাবে বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। পরিবর্তন করা সম্ভব এই বিশ্বাস আপনাকে রাখতে হবে। এর জন্য পরিশ্রম করতে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। এই বই এর বভিন্ন অধ্যায়ে বিভিন্ন কেস স্টাডি দিয়ে এই জিনিষগুলি দেখানো হয়েছে।
আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন এবং সেটাকে অভ্যাসে পরিনত করতে পারেন তবেই এই পরিবর্তন বাস্তবায়ন হবে, এটাই হচ্ছে অভ্যাসের শক্তি।
(সমাপ্ত)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪