ক্যারাম কাহিনী...
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
ক্যারাম আবিষ্কার কিন্তু আমাদের এই উপমহাদেশে। অবশ্য এ নিয়ে বিতর্ক যে নেই তা নয়। কেউ কেউ বলেন, খেলাটা প্রথম শুরু হয় শ্রীলংকায়। অনেকে বলেন, ভারতীয়রাই এক সময় খেলাটা ছড়িয়ে দেয় শ্রীলংকায়। আবার অনেকে বলেন পর্তুগালে। আবিষ্কারের পর সারা পৃথিবীতে যখন ছড়িয়ে পড়ল খেলাটা তখনই বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন নিয়মে খেলা হতো।
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার স্কুলগুলোতে ১৯৫০ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত আমেরিকান পদ্ধতি অনুযায়ী ক্যারাম খেলা হতো। এই ক্যারাম বোর্ডে আবার ছয়টি পকেট থাকত। খেলার নিয়মটা ছিল অনেকটা বিলিয়ার্ডের মতো। ক্যারামের আরেকটা নাম ফিঙ্গার বিলিয়ার্ডস। আমেরিকায় ১৮৯০ সালে শিক্ষক হেনরি হাস্কেল এই খেলার প্রচলিত নিয়মে বদল এনেছিলেন। তিনি স্ট্রাইকারটিকে অনেক হালকা করলেন আর এর ঘুঁটিগুলো বদলে রিংয়ের আকার দিলেন। আজও এই ধরনের ক্যারাম খেলার রীতি আছে। মেক্সিকো ও জাভায় এক সময় কাঠের ক্যারাম বোর্ডের ওপর বোতলের গোল ঢাকনাকে ঘুঁটি করে খেলা হতো। আইসিএফের রুলস বুক অনুসারে ক্যারাম বোর্ডের প্রতি বাহুর দৈর্ঘ্য সর্বনিম্ন ৭৩.৫০ সেন্টিমিটার এবং সর্বোচ্চ ৭৮ সেন্টিমিটার। প্রত্যেকটি পকেটের ব্যাস ৪.৪৫ সেন্টিমিটার। ১৯টি ঘুঁটির মধ্যে ৯টি সাদা, ৯টি কালো ও একটি লাল। প্রতিটি ঘুঁটির ব্যাস ৩.০২ সেন্টিমিটার থেকে ৩.১৮ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৫ থেকে ৫.৫০ গ্রামের মধ্যে।
স্ট্রাইকারের ব্যাস ৪.১৩ সেন্টিমিটার এবং সর্বোচ্চ ওজন ১৫ গ্রাম। ক্যারামের ঘুঁটিগুলোর রঙ অনুযায়ী পয়েন্ট। লাল রঙের ঘুঁটি, যেটাকে আমরা 'রেড' বলি তার পয়েন্ট সবচেয়ে বেশি। এই ঘুঁটিকে অনেক দেশে কুইন বলা হয়। আইসিএফের নিয়ম অনুযায়ীও 'রেড'কে কুইন বলা হয়।
ভারতের চেন্নাইতে ১৯৮৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্যারাম ফেডারেশন (আইসিএফ) গঠিত হয়। এরপর থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে নির্দিষ্ট নিয়মই অনুসরণ করা হতে থাকে। আন্তর্জাতিক স্তরে প্রথম ক্যারাম প্রতিযোগিতা হয় ১৯৯৩ সালে।
১৯৯০ সালে বাংলাদেশ ক্যারাম ফেডারেশন গঠিত হয়। আমাদের দেশের সর্বত্র ক্যারাম খেলা ব্যাপক প্রচলিত ও জনপ্রিয় থাকার পরও সে অনুযায়ী আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য না পাওয়ার কারণ হয়তো, তৃণমূল পর্যায়ে ভিন্ন ভিন্ন নিয়মে খেলাটা খেলা হয়।
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !
"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমিত্ব বিসর্জন
আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।
"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?
স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?
সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী
বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন