আমাদের দেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে দীর্ঘকাল ধরে। কখনো তা হয়েছে প্রকাশিত, আবার কখনো বা থেকেছে অপ্রকাশিত। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে, তাতে তেমন কোন ভাটা লক্ষ্য করা যায়নি। কোথাও না কোথাও নারী নির্যাতনের ঘটনা অহরহই ঘটে চলেছে। নানাভাবে নানাপন্থায় নির্যাতন চলে নারীদের ওপর। নারীদের নির্যাতনের বিভিন্ন পন্থার মধ্যে খুন, ধর্ষণ, এ্যাসিড নিক্ষেপ, শারীরিক নির্যাতন, বখাটেদের দ্বারা যৌন হয়রানী ইত্যাদি নানা দিক রয়েছে। তবে বখাটেদের উৎপাত সাম্প্রতিককালে সমগ্র দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বখাটেদের অত্যাচারের ব্যাপারটি মাঝেমধ্যেই এমন পর্যায়ে চলে যায়, যার জন্য কিশোরী-তরুণীদের জীবন পর্যন্ত দিতে হয়। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে এমন বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে আমাদের দেশে, যা আমাদের হতবাক করেছে, করেছে ব্যথিত। এ মুহূর্তে সারা দেশে নারী উৎপীড়ক যৌন সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ড সবার মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। অতিসম্প্রতি একই কায়দায় যৌন সন্ত্রাসীদের দ্বারা খুন হয়েছেন ফরিদপুরে চাঁপা রানী ভৌমিক নামের একজন মা ও নাটোরের কলেজশিক্ষক মিজানুর রহমান। এর কয়েক মাস আগে ভিকারুননিসা নুন স্কুলের এক ছাত্রীকে স্কুল ছুটির পর বাসায় যাওয়ার পথে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। শুধু অপহরণই করেনি, পরে তার নগ্ন ছবি তুলে ভিডিও চিত্র ধারণ করে সিডি বানিয়ে তার বাসায় দিয়ে গেছে। এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে এই কারণে অনেক স্কুল-কলেজছাত্রীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়াও প্রায় বন্ধের মুখে। তবে বেশির ভাগ ঘটনায়ই অভিভাবকরা মামলা করতে চান না, বা সাহস করেন না। কেননা, মামলার পর অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উপরন্তু, সেই প্রভাবশালী যৌন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে মেয়ের অভিভাবকদের উপর চাপ সৃষ্টি করে। তবে এ ব্যাপারে শুধু আইন দিয়েই হবে না, প্রয়োজন আরও বেশি সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ। এখন অবশ্য সমাজে কিছুটা সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে তা এখনো অপ্রতুল।
বখাটেদের উৎপাতে একের পর এক তরুণীর আত্মহত্যার ঘটনা আমাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। শুধু আত্মহত্যাই নয়, আরও কয়েকটি হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। সর্বশেষ, ২৭ অক্টোবর যৌন হয়রানীর প্রতিবাদ করায় শিক্ষক মিজানুর রহমানের পর যৌন সন্ত্রাসীদের মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ দিলেন এক মা। ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা সদরে সন্ত্রাসী দেবাশীষ সাহা রনির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় চাঁপা রানী ভৌমিক মারা যান। এর আগে গত ৫ই এপ্রিল কিশোরগঞ্জে দশম শ্রেণীর ছাত্রী মরিয়ম আক্তার পিংকি'কে দৃশ্যত এক বখাটে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়, ফলে পিংকি'র মৃত্যু ঘটে৷ এপ্রিল মাসেই বিয়ের প্রস্তাবে সম্মতি না দেয়ায় গুলশানে এক তরুণীকে ও তার মা-বাবাকে হত্যা করেছে এক যুবক। এ ঘটনার প্রায় পরপর কলাবাগানেও একইভাবে বাড়িতে ঢুকে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে তরুণীকে ও তার মা-বাবাকে।
পূর্ববর্তীকালে, মেয়ের অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন পিরোজপুরের কাউখালীর এক হতভাগ্য বাবা সুধীর শিকদার। বখাটে যুবকের উৎপাত এবং হুমকিতে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে গত ১৯ জানুয়ারী শ্যামলী আইডিয়াল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী নাসফিয়া আকন্দ পিংকি (১৪) নামের এক কিশোরী; ৭ মার্চ বগুড়া জেলার শেরপুরের শালফা টেকনিক্যাল এ্যান্ড বিকম কলেজের শিক্ষার্থী এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রেশমা; ৬ মার্চ বখাটে উৎপাতের শিকার হয়ে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে শেরপুর উপজেলার গজারিয়া-বড়ইতলী গ্রামের রিকশাভ্যান চালক মো. আবদুল জলিলের কিশোরী কন্যা রেশমা আক্তার (১৮); ১৭ মার্চ বখাটেদের নির্যাতন সইতে না পেরে ভট্টাচার্য্য পাড়ার চাঁদমনি নামে এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেন; গাইবান্ধার এক মাদ্রাসার ছাত্রী নুরিনা আক্তার মাত্র ১৪ বছর বয়সে নিজের ওড়নার ফাঁস গলায় দিয়ে আত্মহত্যা করেছে; গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী উম্মে কুলসুম ইলোরা বখাটেদের উৎপাত সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে; এ প্রসঙ্গে আরো স্মরণ করা যায় সিমি, ইন্দ্রানী, তৃষাসহ আরও অনেক বালিকা-কিশোরীর কথা, যারা ঐ উৎপীড়কদের শিকার হয়ে অকালে মৃত্যুকে বরণ করে নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডগুলোতে জড়িত যৌন সন্ত্রাসী বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই থেকেছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে অর্থের জোরে, অথবা তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে।
এভাবে বখাটে যুবকদের লালসার বলি হয়ে একের পর এক প্রাণ হারাচ্ছে বহু সম্ভাবনাময় কিশোরী তরুণী। সংবাদপত্রের ভাষায় এ বখাটেদের দুর্বৃত্তপনাকে 'ইভটিজিং' বলে অভিহিত করা হয়। তবে আমার মতে, “ইভটিজিং” বলে অবস্থার ভয়াবহতাকে যেন লঘু করেই দেখা হয়। ভাবখানা এমন যে, ছেলেরা তো মেয়েদের একটু-আধটু উৎপীড়ণ করবেই!!!
কিন্তু কোন সভ্য সমাজে বিষয়টাকে এমনভাবে দেখার কোন সুযোগ নেই। এটা কোন মধ্যযুগীয় বর্বর সমাজ নয় যে, একটি মেয়ে দেখলে তার ওপর কোন যুবক ঝাঁপিয়ে পড়বে। যৌন সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডে বাধা দিলে, তাদের প্রতিরোধ করতে গেলে অভিভাবক, শিক্ষকদের হত্যা করা হবে, প্রেমে সম্মতি না দিলেই তার ওপর নির্যাতন করবে, নয়তো এসিড ছুড়ে মারবে, নয়তো কেরোসিন দিয়ে জ্বালিয়ে দেবে। এমন বর্বরতা কোন সভ্য সমাজে চলতে পারে না।
বখাটেদের অত্যাচারে রাজধানীসহ সমগ্রদেশে অনেক মেয়ের সম্ভাবনাময় জীবন শেষ হয়ে গেছে। আজকের এই যুগে মেয়েরা লেখাপড়া চাকরি ব্যবসাসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে আসছে পুরুষের পাশাপাশি। দুর্বৃত্ত বখাটেরা মেয়েদের চলার পথে বাধা সৃষ্টি করছে, তাদের পথকে কণ্টকাকীর্ণ করে তুলছে। বখাটেদের উৎপাতে স্কুলগামী বহু মেয়ের জীবন, নিরাপত্তা, সম্ভ্রম, মর্যাদা রক্ষা করা এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। এদের সমাজ থেকে উৎখাত করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
সমাজের সর্বত্র প্রবল ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে এর প্রতিবাদে এবং অপরাধীদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন হচ্ছে, যার সচিত্র প্রতিবেদন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়ে আমাদের নিজেদের কাছে নিজেদের লজ্জা ও গ্লানির বোঝা বাড়াচ্ছে। যে সমাজে নারী তার প্রকৃতি প্রদত্ত মর্যাদা, অধিকার, সম্ভ্রম, ইজ্জত রক্ষা করে চলতে পারে না, কোথাও নিরাপদ আশ্রয় পায় না, সে সমাজকে সভ্য-সংস্কৃতি সম্পন্ন মানব সমাজ বলা যায় না।
পর্যায়ক্রমে এসব ঘটনা ঘটে চললেও সমাজ, পরিবার, সরকার, আইন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেহই এ বেদনাদায়ক অবস্থার কোন প্রতিকার করতে পারছেন না। ফলে পরিস্থিতি দিন দিন আরো ঘোরালো হয়ে উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, এই অসামাজিক বখাটেপনা, যৌন সন্ত্রাস কি ভাবে রোধ করা যাবে? অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যাওয়ার পেছনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শৈথিল্য যে অনেকাংশে দায়ী তা ব্যাখ্যা করে বলার দরকার পড়ে না। তবে ঘটনাগুলোর অভ্যন্তরে রয়েছে সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও মনস্তাত্ত্বিক নানা কারণ।
রাষ্ট্রের দূষণে সৃষ্ট ভঙ্গুর সমাজের বাই-প্রডাক্ট এই যৌন উৎপীড়ণ সন্ত্রাস। সমাজ থেকে এ ধরনের অপরাধপ্রবণতা দূর করতে আমাদের অবশ্যই সমস্যার গভীরে যেতে হবে, ঐসব অপরাধ প্রবণতার উৎসমুখ চিহ্নিত করতে হবে। আর তা করতে আমাদের সমাজের পরিবর্তনশীল ক্ষেত্রগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার। প্রতি মূহুর্তে আমাদের একটি বিশাল জনগোষ্ঠি গ্রাম থেকে কাজের সন্ধানে নগরের পাণে ছুটছে। পক্ষান্তরে, নগরবাসীর সংখ্যা বাড়লেও নাগরিক সমাজ ও নাগরিক সমাজে যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিকশিত হওয়ার কথা তা হয়নি, নাগরিক সমাজের অবয়বও দাঁড়ায়নি।
উপরন্তু, ষাট বা সত্তরের দশকে এদেশের ছাত্র সমাজ বা যুব সমাজ স্বদেশপ্রেমের যে আদর্শে উজ্জীবিত হয়েছিল, বর্তমানে সেই ছাত্র সমাজে তেমন ইতিবাচক কোন নীতি খঁজে পাওয়া দুষ্কর হলেও শুধু লেজুড়বৃত্তি, দলবাজি, চাঁদাবাজী ও টেন্ডারবাজী। ক্ষমতার লোভে-লাভে আদর্শিক রাজনীতি এখন কদাচিৎ বর্তমান। রাজনীতির ব্যবসায়করণের ফলে তা এখন সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে; যা শুধু রাজনীতিকেই নয়, শিক্ষাঙ্গণকেও ক্রমশ আদর্শহীন করে চলেছে। বিদেশে গিয়ে টাকার মালিক হওয়াই এই শিক্ষার লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। আর ছাত্র রাজনীতি পরিণত হয়েছে ক্যাডারের রাজনীতিতে; সেখানে শেখানো হয় টেন্ডারবাজী, বোমাবাজী, লেজুরবৃত্তি। তারা মূলত তাদের পূর্বসুরী নেতাদেরই অনুসরণ করেন। যৌন হয়রানি সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতরা সমাজের একটি খুবই ক্ষুদ্র অংশ, কিন্তু প্রতিবাদ-প্রতিরোধ না থাকায় ক্রমশ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে এই অংশটির থাবা। আমাদের মনে রাখতে হবে, সব সন্ত্রাসের উৎসমুখ এক। তাই চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, মাস্তানী বাড়লে বখাটেপণাও বাড়বে। বর্তমানে অনেক নারী ও মানবাধিকার সংগঠনই এক একটি এনজিও-তে পরিণত হয়েছে আর এই সংগঠনগুলো ঐ ঘুণে ধরা রাষ্ট্র ব্যবস্থার ধ্বজাধারীদের পক্ষে। কোন অজানা কারণে তারা এই বিষম পরিস্থিতিতেও নীরব ভূমিকা পালন করছে। রাষ্ট্র ব্যবস্থার এহেন অব্যবস্থার মাঝে পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পরা নোংড়ামী থেকে উৎপন্য যৌন সন্ত্রাসের জন্য প্রকৃতপক্ষে দায়ী হল সেই দূষিত রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যেখানে সাধারণের অধিকার বড়ই সীমিত।
যৌন হয়রানী বন্ধের জন্য শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয়তাই সব নয়; তা আমাদের সবার, বিশেষ করে সরকারের মন্ত্রীদের বুঝতে হবে। শুধু আইন প্রয়োগ করে এ ব্যাধি সমাজ দেহ থেকে দূর করা যাবে না। এপ্রসঙ্গে প্রশ্ন করায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ উপ-পরিদর্শকের বক্তব্য প্রনিধানযোগ্য, “আমাদের অধিকাংশ অফিসার মন্ত্রী-এম.পি, আমলা, এমন কি সরকার দলীয় পাতি নেতাদের বাসায় ডউটি করে; আমরা সাধারণ মানুষকে সাহায্য করব কখন?”
এ দুর্বৃত্ত আচরণ বন্ধে অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ জরুরি। এজন্য দেশের সর্বস্তরের মানুষ, সরকার ও প্রশাসনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধারাবাহিক নিরলস প্রয়াস চালাতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা যদি তৎপর হয়, কঠোর আইনপূ্বক অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যায় এবং তাকে অপরাধের সুযোগ না দেওয়া হয় তবেই এই প্রবণতা কমে আসবে। আর তাই সামাজিক প্রতিবাদ-প্রতিরোধের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রত্যেক পরিবারে ও সমাজে মানবিক মূল্যবোধ, সুরুচি ও শুদ্ধ সংস্কৃতির চর্চা আবশ্যক। পরিবার থেকেই তৈরী হয় সামাজিক মানুষ। সমাজকে পাশে পায়নি বলেই অকালে আত্মাহুতি দিতে বাধ্য হয়েছে এইসব কিশোরীরা। লজ্জা, অপমান ও গ্লানিতে বাকহারা হয়ে পড়েছে তাদের পরিবার। রাষ্ট্র ও সমাজ এ অবস্থায় নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারে না। এর প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুবিস্তৃত প্রতিরোধের পরিকল্পনা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমগুলিতে ব্যাপক আকারে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে নারীর প্রতি সম্মানজনক দৃষ্টিকে দৃঢ়মূল করতে হবে।
প্রতিটি পাড়ায়-মহল্লায় বখাটেদের উৎপাত বন্ধে সচেতনতা কর্মসূচি এলাকার জনগণের মধ্য থেকে গ্রহণ করা উচিত। কোন মেয়ে উত্ত্যক্ত হলে এলাকার সচেতন, শিক্ষিত, দায়িত্বশীল মানুষকে মেয়েটি ও তার অভিভাবকদের পাশে এবং যৌন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। কোন কোন এলাকায় জনসাধারণ প্রতিরোধ গড়ে তুলে বখাটেদের উৎপাত বন্ধ করতে পেরেছে এমন দু-একটি সংবাদ আমরা সংবাদপত্রে দেখেছি, যা আশার সঞ্চারক। তাই মানুষের মধ্যে এমন প্রতিরোধ গড়ে তোলার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। ঘটনা ঘটলে নয়, ঘটবার আগেই সমাজের মানুষকে, বিদ্যালয়, পরিবার ও পুলিশকে তৎপর হতে হবে আর এর কোন বিকল্প নাই। সকলের সংঘবদ্ধ আন্দোলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমেই আমরা রাষ্ট্রের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারি যেন সে তার ‘যৌন সন্ত্রাস’ নামক বাই-প্রডাক্ট এর প্রডাকশন বন্ধ করে…
“রাষ্ট্রের দূষণে সৃষ্ট ইভ টিজিং সহ সকল যৌন সন্ত্রাস প্রতিরোধের আন্দোলনে সামিল হউন...
আজ শুক্রবার সকাল ১০.৩০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব এর সামনে ইভ টিজিং বিরোধী ফেসবুক ফোরামের ব্যানারে "মানববন্ধন"
আসুন হাতে হাত ধরি, যৌন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি...
আপনি আসছেন তো???”
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫১