এক্সপেডিশন 2
নিরাপদে পাহাড় থেকে নেমে এসে দেখি
অদূরেই প্রতীক্ষায় আছে জলধি
আমার জন্য-
ডোবাবে বলে।
আহা জল,
তুই বুঝি জানিস নে,
অবলীলায় পাহাড় চড়ার মতো
আমি জলেও চলতে পারি অক্লেশে
সেরা সাঁতারুর মতো;
ডুবতে পারি
মুক্তোভূক ডুবুরীর মতো।
অবশ্য পাহাড়ও এমনই ভেবেছিলো,
ভেবেছিলো-
পথে দু'একটা নুড়ি-পাথর
আর কাঁটা-লতা-ঝোপ রাখলেই
আমি বুঝি সাহস হারাবো।
কী বলবো জল তোকে,
এরপর বোধ করি পাহাড়েরই
গাহসের ভাণ্ড খালি পড়ে গিয়েছিলো।
কোথা থেকে কীসব শ্যাওলা-পঁচা পাতা
মেখে পিচ্ছিল করে নিলো গা
ভেবেছিলো পা ফসকাবো;
আর কতক সময় তো
মেরুদণ্ড সাঁই-সোজা হয়ে ছিলো;
অস্বীকার করবো না-
তখন একটু কষ্টই হয়েছিলো
ওর প্রতিটি কশেরুকা'কে
সিঁড়ির ধাপ বানিয়ে
একটা'র পর একটায় পা ফেলে
এক সময় ঠিকই পৌছেঁ গেছি ঘাড়ে।
পাহাড়ের শত তর্জন-গর্জন
পাথরধ্বস, ঝিরি-বর্ষণ
কিছুই ঠেকাতে পারেনি আমাকে,
তুই কী পারবি....?