টপ ভিউ:
রাইট ভিউ:
লেফ্ট ভিউ:
সবশেষে:
নেটবুকটি লেনোভো আইডিয়া প্যাডের এস সিরিজের অন্তর্ভুক্ত। ইন্টেল এটম ডুয়াল কোর (সেকেন্ড জেনারেশন) প্রসেসরে চালিত যার ক্লক স্পীড ১.৬ গিগা হার্জ। ২ জিবি RAM এবং ৩২০ জিবি হার্ড ডিস্ক সম্বলিত নেটবুকটিতে তিনটি ইউ.এসবি ২.০ পোর্ট এবং একটি মেমরী কার্ড রিডার রয়েছে। সবমিলিয়ে আমার প্রয়োজন অনুযায়ী ঠিকই আছে।
এবার বলি আমার যা যা ভালো লেগেছে এই নেটবুকটিতে। প্রথমেই এর ব্লাক মেট ফিনিশিংটার কথা বলব এবং তারপরেই এর কম ওজন। এই দুটি গুন আমাকে নেটবুকটির ফ্যান বানিয়ে দিয়েছে এক দেখাতেই।
লেনোভোর এই নেটবুকে দুটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে। একটি হল কুইক স্টার্ট বাটন যা পাওয়ার বাটনের উপরে অবস্থিত। এটি ব্যবহার করে খুব দ্রুত নেটবুকটিকে যেকোন ডেডিকেটেড ফাংশন ব্যবহার করতে অন করা যায় পাওয়ার বাটন ব্যবহার না করেই। এছাড়া রয়েছে রিকভারী অপটন যা কিনা উইনডোজ ক্রাশ করলে রিকভারী প্রসেসে দারুনভাবে সাহায্য করে যদিও এখনও এটার ব্যবহার করা হয়নি। কুইক স্টার্ট এবং রিকভারী বাটন, দুটিই আমার বেশ লেগেছে। সেই সাথে পাওয়ার বাটন, কুইক স্টার্ট এবং রিকভারী বাটনের অবস্থান ডিসপ্লে প্যানেলের বাম পাশে। এটাও আমার কাছে ভালো লেগেছে।
ব্যাটারি ব্যাকআপ এখনও তেমন একটা চেক করিনি তবে লেনোভো পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ফাংশন ব্যবহার করে ৪ ঘন্টার মত ব্যাকআপ পেয়েছি। আমি হাই পারফর্মেন্স অপশন ব্যবহার না করে ব্যালান্সড অপশন ব্যবহার করলে আরও বেশী পেতাম বলে ধারনা করছি।
ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই দুটোই বিদ্যমান নেটবুকটিতে এবং দুটোরিই পারফর্মেন্স অসাধারন। এই মুহুর্তে নেটবুক থেকেই ওয়াই-ফাই ব্যবহার করেই লিখছি।
টাচ্ প্যাড এবং কী-বোর্ড দুটোই রেসপন্সিভ। তবে সুবিধার জন্য আমি মাউস ব্যবহার করছি। কী-বোর্ডের কীগুলো টাইপিং সহায়ক মনে হয়েছে।
সবমিলিয়ে আমি সন্তুষ্ট।" যতটুক প্রয়োজন, ততটুকুই আয়োজন" এই লক্ষ্য নিয়েই নেটবুক কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। Lenovo S110 Ideapad আমার লক্ষ্য পূরন করেছে। কোয়ালিটিতো আছেই, সেই সাথে প্রাইসের দিক দিয়েও আমার লক্ষ্য পূরন হয়েছে।
ছোট্ট একটি নেটবুক, হাল্কা, বোল্ড লুক এবং চাহিদামাফিক পারফর্মেন্স, আর কি চাই! আজকে আমি এত্তগুলো খুশী!
**দামটা এখানে উল্লেখ্য নয় কারন তাতে মার্কেট প্রাইস হিসেবে পাঠক কনফিউজড হতে পারেন তবে অনলাইন সেলের কারনেই আমি এই সুবিধাটি পেয়েছি।