somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছুটিতে দেশের পথে-শেষ পর্ব: দেরাদুনে ফিরে চলা

১১ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কলকাতার পথ-ঘাট এবং জলপথ ঘুরে সন্ধ্যায় ওয়েটিং রুমে ফিরে এলাম। ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবারের সন্ধানে ফুড প্লাজাগুলোতে ঘুরে ঘুরে অবশেষে চিকেন কারী, রাইস এবং কিছু স্ন্যাক্স কিনলাম। ট্রেন ছাড়ার ৩০ মিনিট পূর্বেই ট্রেন প্লাটফর্মে হাজির। ট্রেনের নাম দুন এক্সপ্রেস। ১৯২৫ সাল থেকে দেরাদুন-কলকাতা রুটে চলাচল করা একমাত্র দৈনিক ট্রেন এটি।



ট্রেন সঠিক সময়ে হাওড়া ছাড়ল। সারাদিনের ভ্রমনে ক্লান্ত এই আমি রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লাম। তবে কাশীতে পিন্ডদান করতে যাওয়া ছয় সহযাত্রীদের রাতভর গল্প-আড্ডায় ঘুম খুব একটা হলনা। রাতে টের পেলাম বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ট্রেন থেমে আছে এক মফস্বল স্টেশনে। বৃষ্টিস্নাত সকালের মনোরম আবহাওয়ায় সকালের নাস্তা সেরে নিলাম।



ট্রেন ছাড়তেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামল। ট্র্রেন বা বাস, বাহন যাই হোক, যাত্রাপথে বৃষ্টি দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। কাঁচ বেয়ে বৃষ্টি নামছে, দূরে দাড়িয়ে বৃষ্টিভেজা পাহাড়......আহা! প্রকৃতি কতই না সুন্দর।





চলতে চলতে ট্রেনে করে পার হলাম সোন ব্রীজ যা ভারতের দীর্ঘতম ব্রীজ। একটি সড়ক সেতু এবং দুটো রেল সেতু সোন নদী পেরোতে সাহায্য করে যানবাহনগুলোকে।





দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামল। সময় পার করতে ইনফার্নো এবং সাদা বেড়াল কালো বেড়াল বইদুটো পড়ে ফেললাম। পাশ কাটিয়ে চলা রাজধানী এক্সপ্রেসকে দেখে আগস্ট ট্যুরের কথা মনে পড়ল।



বিকেল সন্ধ্যায়, সন্ধ্যা রাত আর রাত সকালে পরিনত হল। ট্রেনের ধীরগতি, পরিচিত বন-জঙ্গল এবং পাহাড় আমাকে জানিয়ে দিল দেরাদুনে এসে পড়েছি।





যেমনটা পরিকল্পনায় ছিল তার সবকিছুই ঠিক-ঠাক হল। ২০ দিনের ট্যুর শেষে আবারও দেরাদুনে আমি। অতএব এই ধারাবাহিকেরও অন্ত এখানেই।

*আগামী মাসে রাজস্থানে অবস্থিত মাউন্ট আবুতে ৭ দিনের ট্যুরে যাচ্ছি। বলা যেতে পারে সুপারভাইজারের দেওয়া বার্থডে গিফট। ট্যুর শেষ হতেই হাজির হব মাউন্ট আবু ভ্রমন ব্লগ নিয়ে। এখন অপেক্ষা এপ্রিলের.......

**গত রবিবার দেরাদুনে অবস্থিত মালসি ডিয়ার পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেই ভ্রমনচিত্র নিয়ে আসব খুব জলদি।

পর্ব ২.২:
Click This Link

পর্ব ২.১:
Click This Link

পর্ব ১:
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইলো আইলো আইলোরে, রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৪৮


ভোরের আলোয় রঙিন হওয়ার দিন
পহেলা বৈশাখ এসেছে বাংলার দোরগোড়ায়—রাঙা চেলি কাপড়ে মোড়া এক সকাল, যার হাত ধরে ফিরে আসে প্রাণের ছন্দ। আকাশে লাল সূর্যের আভা, হাওয়ায় মিষ্টি কাঁচা আমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামী শরীয়া মোতাবেক সংক্ষেপে তালাক দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:২০

ইসলামী শরীয়া মোতাবেক সংক্ষেপে তালাক দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি

ছবি: অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

তালাক হচ্ছে সবচেয়ে ঘৃণিত হালাল কাজগুলোর একটি। পারিবারিক জীবনে বিশেষ অবস্থায় কখনও কখনও তালাকের প্রয়োজনীয়তা এড়ানো যায় না বিধায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

কবিতাঃ ঈশান কোনে ঝড়

লিখেছেন ইসিয়াক, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০৪


মেঘ গুড়গুড় মেঘ গুড়গুড়

ঈশান কোনে ঝড়।

বাতাস তোড়ে ঘূর্ণিপাকে

ধুলো মাটি খড়।

পাখপাখালি ব্যস্ত চোখে

খুঁজছে আশ্রয়।

বিপদাপন্নর চোখে মুখে

অজানা শঙ্কার ভয়।

কড়কড়াকড় বাজ পড়ছে

আলোর ঝিলিকে।

প্রলয় কান্ড ঘটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৪৩২ বয়স!

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৩৪



বাংলা নববর্ষ নিয়ে অতি উচ্ছ্বাস -
উন্মাদনা বিশেষত যারা একদিনের জন্য নিখাঁদ বাঙালি হয়ে 'মাথায় মাল' তুলে রীতিমতো উত্তেজনায় তড়পাতে থাকেন তাকে খাস বাংলায় বলে ভণ্ডামি!

বাংলা বর্ষপঞ্জিকা আমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারত-বাংলাদেশে আলাদা দিনে বাংলা নববর্ষ কেন?

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৪

ভারত-বাংলাদেশে আলাদা দিনে বাংলা নববর্ষ কেন?


বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ আসে ইংরেজি মাসের ১৪ এপ্রিল। অন্যদিকে পশ্চিম বাংলায় ১৫ এপ্রিল উদযাপন করা হয় উৎসবটি। যদিও ১৯৫২ সন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×