অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশী মেরিন প্রকৌশলিদের সবচেয়ে বড় কমিউনিটি ডিএমইএবিএস (DMEABS) এর বার্ষিক পুনর্মিলনী ২০১৫।
সিঙ্গাপুরে বসবাসরত প্রায় ৪০০ প্রবাসি যোগ দেয় এ মিলন মেলায়। চারদিকে সাজ সাজ রব , অন্ন এক উতসবের আমেজ যা বঙ্গদেশীয় ঈদের আমেজের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। প্রকাশ করা হয় *বন্ধন* নামে একটি ম্যাগাজিন ও।
সিঙ্গাপুরের ব্যস্ত জীবনে যেখানে কয়েকজন পরিচিতকে একসাথে পাওয়া দুরুহ সেখানে প্রতি বছরের এ দিনটা সত্যি ই এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে মেরিন টেকনোলজির কমিউনিটির প্রতিটি সদ্যেশের মাঝে। এ দুরুহ কাজটি করে যাচ্ছে কার্যকরী কমিটি, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশী হাইকমিশনার সহ কমিটির সদস্যবৃন্দ ফটোবন্দি।
এতে বাড়তি আনন্দ যোগ করে বাংলা গান, কৌতুক, হাসি তামাশা বা প্রতিযোগিতা। স্মৃতিচারন, আড্ডায় মুখরিত সন্ধ্যা যেন সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে JCube (অনুষ্ঠান স্থল) থেকে নারায়াঙ্গঞ্জের মেরিন ইন্সটিটিউট এ। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের উচ্ছাস বড় দের থেকে কোন অংশে কম ছিল না। তাদের প্রান যেন বলে উঠছে - আমরা করব জয় একদিন।
প্রতি বছর বাংলাদেশী নতুন নতুন মেরিন প্রকৌশলি সিঙ্গাপুরে কর্ম জীবন শুরু করে, নবাগত এ প্রকৌশলিদের কাছে এ অনুষ্ঠান ভিন্ন বার্তা বয়ে নিয়ে আসে। নবীন প্রবীনের সম্মিলনে শুধু আনন্দ ই না কর্ম জীবনের দিকনির্দেষনা ও যে খুজে ফিরে না তা কিন্তু নয়।
বাংলা গানের সুরের মুর্ছনার রেশ কাটতে না কাটতেই পরিবেশিত হয় দেশীয় খাবার।
সন্ধায় যত এগিয়ে চলে অনুষ্ঠান যেন ততই জমতে থাকে। চলতে থাকে শত শত ক্যেমেরা , গ্রুপ ফটো, সেলফি আরো কত কি।
এর পর লাকি ড্র। লাকি ড্রকে ভিন্ন মাত্রা দিতে বদল হয় উপাস্থকও। পুরষ্কার পাক বা না পাক সবাই যেন আনন্দ পায় সেটাই থাকে যার উদ্দেশেয়।
আনন্দমুখর একটি সন্ধ্যা এক্সময় সাংগ হয় , মন না চাইলেও সবাইকে আবার সেই এক ঘেয়ে ব্যস্ত জীবনের দিকে পা বাড়াতে হয় । সাথে নিয়ে যায় কিছু মূহূর্ত যা সারা বছর এমন কি বাকি জীবনের জন্য হয়ে থাকবে স্মৃতি । পিছনে পড়ে থাকে JCube এর অডিটরিয়াম ।
এমন আর একটি সন্ধ্যা পেতে দিন গননা শুরু হয়ে যান এখান থেকেই। প্রবাসে আরোও একটি বছর পার করার অনুপ্রেরনার জন্য কিছুটা শুখ স্মৃতি, একে অপরের খোজ খবর, ভ্রাতৃত্বের বন্ধন টা কিছুটা দৃঢ় হবে এটাই হয়তো কামনা আয়োজকদের।
আরও দেখুন
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৮