দুই নেত্রির ফোনালাপে (একপ্রকার ঝগড়ায়) জাতি আজ নির্বাক । তাই আসুন এই নিয়ে কিছু আষাড়ে গল্প শুনুন...
আমাদের দুই নেত্রির মধ্যে যদি সুসম্পর্ক থাকতো তবে ঈদে একে অপরের বাড়ি বেড়াতে যেতো,তারকে-কোকোর বউয়েরা শেখ হাসিনার পায়ে ধরে সালাম করতো,খালেদা জিয়ার নাতি-নাতকর শেখ হাসিনার কাছে পরবীর বায়না করতো ।
শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার কাছ থেকে রূপচর্চার টিপস নিতো । খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার কাছ থেকে রান্না-বান্না শিখতো (যাতে সেও তারেকে-কোকোর জন্মদিনে রান্না করে পাবলিসিটি বজাই রাখতো) ইশরে কি যে মজা হতো !!!
তাদের ফোন আলাপ হতো কিছু টক কিছু মিষ্টি কিছু ঝাল…
--হ্যালো ভাবি আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছি ।
--ভাবি ভাবি করছেন কেন,জানেন না আমাকে ম্যাডাম বলে ডাকতে হয় ?! আর নিজেকে এখনও প্রধানমন্ত্রী বলতে আপনার লজ্জা করলো না ?! আপনি কি জানেন না জনগণ কি চায় ?
--ছি ভাবি খেপে যাচ্ছেন কেন ? সবার কাছে ম্যাডাম হলেও আপনি তো আমার ভাবিই । আমরা কি চায় সেটাই বড় কথা জনগণের কথা পরে ভাবলেও চলবে ।
-- তা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপা । (কিছুটা নরম হয়ে)
--আচ্ছা ভাবি দেশ,জাতি,জনগণের কথা কিছুক্ষনের জন্য বাদ দিন না । আমার সোনার ছেলে তারেক,কোকো কেমন আছে ?!
--এইতো আবার ভুল করলেন । ওরা আপনার সোনার ছেলে হবে কেন,ওরা কি ছাত্রলীগ করে ?! ওরা স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সুপুত্র ।
--ধুর ভাবি আপনি ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে একইদিকে কথা নিয়ে যাচ্ছেন । বাদ দিননা এসব কথা । বৌ মায়েরা কেমন আছে ?
--জি ভাল আছে আপা ।
--আপনার বড় বউয়ের চেহারাটা যা মিষ্টি একদম আপনার মত ।
--হবেইতো আমি তো আর ছেলেদের বিদেশ পাঠিয়ে দেয়নি যাতে সাদা মেয়ে ঘরে তুলে আনবে !
--থাক ভাবি কষ্টের কথা আর বলবেন না ।
--আপা জয় রাজনীতিতে আসায় আমি খুব খুশি হয়েছি । এতে করে আমার তারেক কম্পারেটিভলি অনেক আগিয়ে যাচ্ছে । তবেও আপনার ছেলেও কম না ।
--শুনে খুশি হলাম । ভাবি আমি এখন রাখি । রান্না করতে হবে । জয় আবার কেচকি মাছের শু্টকি খেতে চেয়েছে ।
--আচ্ছা আপা । আপনাকে রান্না করতে দেখে খুব ভাল লাগে । আমাকেও কিছু শিখতে হবে । বাসায় আসবেন অনেক কথা আছে ।
--জি জি অবশ্যই…ভাল থাকবেন । জয় বাংলা ।
--আপনিও ভাল থাকবেন । বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ।