জার্মানিতে দুই সপ্তাহের একটা সফরে এসে দেখলাম এখানে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই সাইকেল চালায়। মেদহীন ঝরঝরে মানুষগুলাকে দেখলে আপনি নিজেও সুস্হ অনুভব করবেন। অফিসগামী ভদ্রলোক, ভার্সিটি ফেরত তরুনী, স্কুলগামী বালক, পরিত্যক্তা বৃদ্ধা কেউ বাদ নাই। সাইকেল কাস্টোমাইজ করে বহুবিধ ব্যবহারের উপযোগী করা হয়।আলগা জিনিসপত্র জোড়া লাগিয়ে মা তার শিশুকে সাইকেলে বহন করার জন্য প্রস্তুত করেন। বাসের পেছনে সাইকেল জোড়া লাগানোর সুব্যবস্হা। তার মানে আপনি সাইকেল সাথে করে যেখানে ইচ্ছে যেতে পারবেন।
কিন্তু জার্মানিতে মোটর সাইকেল চোখে পড়েনা কেন? সম্ভবত পরিবেশের কথা বিবেচনা করে এখানকার সরকার ইন্সুরেন্স ইত্যাদি প্রতিবন্ধকতা দিয়ে নিরুৎসাহিত করে রেখেছে।
মিউনিখ থেকে রিজেন্সবার্গ যাওয়ার পথে রাস্তার দুই ধারে লাখে লাখে সোলার প্যানেল নজরে আসে। মাঝেমধ্যে আছে বায়ুচালিত ওয়াইন্ডমিল। ইউরোপের আবহাওয়ার তুলনায় নিরক্ষীয় বাংলাদেশের আবহাওয়া অনেক বেশি সূর্যস্নাত হওয়ার কথা। আমরা কেন কাজে লাগাচ্ছিনা?
ডাচরা হচ্ছে পৃথিবীর লম্বা জাতি। নৃতাত্ত্বিক দিক থেকে জার্মানরা এবং ডাচ খুবই কাছাকাছি। জার্মানির জার্মান নাম ডয়েচল্যান্ড সম্ভবত তারই দিকে ইঙ্গিত করে। তাই জার্মানিতে অনেক লম্বা মানুষ চোখে পড়ে। জার্মানরা স্কটিশ বা আইরিশদের মত হেলেদুলে চলেনা। ক্ষীপ্র এবং চৌকস। জার্মান কিন্তু বোকা এটা বিরল ঘটনা।
জার্মান খাবার ইউরোপের কেউ পসন্দ করেনা। আমার কাছে ভালোই মনে হলো। একটু লবণাক্ত এই যা।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫