ফেসবুকের নিউজফিডে দেখা যায় বইমেলায় গিয়ে মানুষ উৎসব করে বই কিনছে। বই বিষয়ক অনেক ফেসবুক গ্রুপ থাকায় সেগুলা বইয়ের প্রচার প্রসারে ভূমিকা রাখছে। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলকেও মানুষ বইয়ের বিপণনে কাজে লাগাচ্ছে। এতে মনে হইতে পারে, মানুষের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ দিন দিন বাড়তেছে। বইয়ের ভবিষ্যৎ নিরাপদ। কিন্তু একটু খতিয়ে দেখলে শঙ্কিত হতে হয়।
একটা বিশাল কলেবরের বই পড়ার সময় এবং ধৈর্য্য মানুষের নাই। নন-ফিকশন বইয়ের জায়গা করে নিবে কয়েক পৃষ্ঠার জার্নাল আর্টক্যাল। এখন গল্পের মতো করে জার্নাল আর্টিকেল বের হয়। তাছাড়া Economist, Foreign Affairs ইত্যাদি মাধ্যমগুলো হাজার পনেরোশোর মধ্যে যে বিশ্লেষণধর্মী আর্টিকেলগুলো বের করে সেগুলা এখন একটা শ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু সামনে ব্যাপক জনপ্রিয় হবে। একটা নন-ফিকশন শেষ করতে আপনার যে সময় লাগবে, একই সময়ে ৩০ টা এরকম আর্টিকেল পড়ে শেষ করতে পারবেন।
আর বড়ো ফিকশনের জায়গা করে নিবে ছোট গল্প। ফেসবুকের গ্রুপগুলোতে একটা ছোট গল্পের পোস্টে হাজার হাজার লাইক কমেন্ট পড়ে। লেখক পাঠকের মধ্যে মতবিনিময় হয় যেটা একজন লেখকের জন্য বড় আকর্ষণ। শোনা যাচ্ছে, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের গ্রুপগুলোকে অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দিবে। ওই সময় ছোট গল্প পোস্ট করেই একজন লেখক উপার্জন করতে পারবেন।
আপনি পুরনো পথ আঁকড়ে থাকবেন নাকি সময়ের সাথে নিজেকে বদলে নিবেন সেটা আপনার উপর
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১৩