বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারষ্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের ১৮০০ সরকারি কর্মকর্তাকে ভারতে ট্রেনিং দেওয়া হবে এমন একটা চুক্তি হইসে।
কিন্তু ক্রমবর্ধমান এই সম্পর্ক নিয়ে বাংলাদেশের অনেকে ক্ষুব্ধ। আগে থেকেই আওয়ামী লীগে বিরুদ্ধে ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ছিলো, সেটা এখন আরো জোরদার হলো।
কিন্তু ভারতের সাথে এই সহযোগিতার কৌশল থেকে সরে এসে যদি সংঘাতের কৌশল অনুসরণ করে যেটা পাকিস্তান করতেসে, তাহলে সেটা কি বেটার হবে?
এক্ষেত্রে ইউরোপের সহযোগিতার উদাহরণ টানা হয়। ফ্রান্স এবং জার্মানি বাংলাদেশে একই ভবনে তাদের কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এখন তারা যৌথ সামরিক বাহিনী গড়ার চিন্তাভাবনা করছে। কয়েক দশক আগেই অথচ জার্মানরা পুরা ফ্রান্স দখল করেছিলো। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে শক্তির যে ফারাক তাতে এই উদাহরণ আমাদের জন্য কতটা প্রযোজ্য হবে সেই সংশয় থেকে যায়। কিন্তু সেই একই কারনে সংঘাতের কৌশলও নেওয়া যায়না।
ভবিষ্যত বিশ্বে ভারত যে একটা major power হতে যাচ্ছে তাতে সংশয় নাই। এই কারনে ভারতকে এখন পুরো বিশ্বেই সমীহ করা হয়। এই সেমিস্টারে আমার তিনটা কোর্সের মধ্যে একটা হচ্ছে- India: The Politics of an Emerging Power। যারা এনরোল করেছে অর্ধেকের বেশি ইউরোপিয়ান। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, ভারত নিয়ে আগ্রহ এবং গবেষণা তুঙ্গে।
ভারতের ভবিষ্যত শক্তি বিবেচনায় সহযোগিতার কৌশল অধিক বাস্তবসম্মত মনে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২২