.........................ফটো: AFP
আজ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা ছিল কিন্তু সেটা না হওয়াতে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ তীব্র হতাশ মনে হচ্ছে। অনেকে আশঙ্কা করতেছে, রোহিঙ্গারা আর কখনো মিয়ানমার ফিরে যাবেনা, এ দেশের বোঝা হয়ে থাকবে। কিন্তু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বক্তব্য কি?
তাদের পোস্টার-প্ল্যাকার্ডে যে দাবি দাওয়াগুলো চোখে পড়তেছে, সেগুলা আসলে বাংলাদেশের স্বার্থের অনুকূলে। তাদের প্রধান দাবি সম্ভবত, আগে তাদের মিয়ানমারের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
অতীতে রোহিঙ্গাদেরকে কয়েক পর্যায়ে জোরপূর্বক মিয়ানমার ফিরায়ে দেওয়া হইসিল। শর্টটার্ম রাজনৈতিক সুবিধা হয়তো হইছে, কিন্তু কয়দিন বাদে তারা আবার ফেরত আসছে। তাই যতক্ষণ না সমস্যার গোড়ায় কাজ না করা হচ্ছে, এটা আমাদের জন্য সমস্যা হিসাবে থেকে যাবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যতের কথা যেমন মাথায় রাখা দরকার, তেমনি মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে রোহিঙ্গাদের কল্যাণে লংটার্ম চিন্তা করা উচিত।
তাই এবার যেহেতু রোহিঙ্গা ইস্যুটা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করছে এবং রোহিঙ্গাদের পক্ষে প্রবল জনমত তৈরি হইছে, এটাকে কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এখুনি নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব না হলে সেটা অর্জনের একটা পরিষ্কার ধারাবাহিক রূপরেখা দাড় করাতে হবে।
দেশের অনেকের মধ্যে অহেতুক আশঙ্কা কাজ করে, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি, তাদেরকে জঙ্গি হিসেবে রিক্রুট করা হবে। বাংলাদেশে অর্থনীতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু এগুলার কোন এভিডেন্স নাই। স্থানীয় পর্যায়ে সাধারন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সার্বিকভাবে বাংলাদেশের উপর প্রভাব পড়েনাই।
মানবিক দিক বিবেচনা করে কিছু ক্ষতি তো আমরা মানতেই পারি যখন ৪৭ বছর আগে একই রকম পরিস্থিতিতে আমাদের এক কোটি মানুষ পাশের দেশে আশ্রয় নিয়েছিল।
আজ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা ছিল কিন্তু সেটা না হওয়াতে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ তীব্র হতাশ মনে হচ্ছে। অনেকে আশঙ্কা করতেছে, রোহিঙ্গারা আর কখনো মিয়ানমার ফিরে যাবেনা, এ দেশের বোঝা হয়ে থাকবে। কিন্তু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বক্তব্য কি?
তাদের পোস্টার-প্ল্যাকার্ডে যে দাবি দাওয়াগুলো চোখে পড়তেছে, সেগুলা আসলে বাংলাদেশের স্বার্থের অনুকূলে। তাদের প্রধান দাবি সম্ভবত, আগে তাদের মিয়ানমারের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
অতীতে রোহিঙ্গাদেরকে কয়েক পর্যায়ে জোরপূর্বক মিয়ানমার ফিরায়ে দেওয়া হইসিল। শর্টটার্ম রাজনৈতিক সুবিধা হয়তো হইছে, কিন্তু কয়দিন বাদে তারা আবার ফেরত আসছে। তাই যতক্ষণ না সমস্যার গোড়ায় কাজ না করা হচ্ছে, এটা আমাদের জন্য সমস্যা হিসাবে থেকে যাবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যতের কথা যেমন মাথায় রাখা দরকার, তেমনি মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে রোহিঙ্গাদের কল্যাণে লংটার্ম চিন্তা করা উচিত।
তাই এবার যেহেতু রোহিঙ্গা ইস্যুটা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করছে এবং রোহিঙ্গাদের পক্ষে প্রবল জনমত তৈরি হইছে, এটাকে কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এখুনি নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব না হলে সেটা অর্জনের একটা পরিষ্কার ধারাবাহিক রূপরেখা দাড় করাতে হবে।
দেশের অনেকের মধ্যে অহেতুক আশঙ্কা কাজ করে, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি, তাদেরকে জঙ্গি হিসেবে রিক্রুট করা হবে। বাংলাদেশে অর্থনীতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু এগুলার কোন এভিডেন্স নাই। স্থানীয় পর্যায়ে সাধারন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সার্বিকভাবে বাংলাদেশের উপর প্রভাব পড়েনাই।
মানবিক দিক বিবেচনা করে কিছু ক্ষতি তো আমরা মানতেই পারি যখন ৪৭ বছর আগে একই রকম পরিস্থিতিতে আমাদের এক কোটি মানুষ পাশের দেশে আশ্রয় নিয়েছিল।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৫১