বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যারা বিজ্ঞানের সাবজেক্টগুলাতে পড়ে তাদের চাইতে যারা সামাজিক বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে তারা অনেক বেশি উদার, যুক্তিবাদী এবং বিজ্ঞানমনষ্ক হয় এটা পোস্টদাতার একান্ত ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ; কোন গবেষণার ফলাফল নয়।
কিন্তু কারনটা কি?
বিজ্ঞানের উৎকর্ষের সময়গুলোতে বিজ্ঞান ছিল থিউরি-কেন্দ্রিক। মানুষ সেসময় পৃথিবীর সৃষ্টি, পদার্থের গঠন, মহাবিশ্বের বিশালত্ব, মানুষের অসুখ-বিসুখ ইত্যাদি বিষয়ে মৌলিক চিন্তাভাবনা করতো। ফলে যারা বিজ্ঞান পড়তো তাদের উপর বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ার একটা প্রভাব থাকতো।
কিন্তু এখন বিজ্ঞান হয়ে গেছে প্রযুক্তি কেন্দ্রিক। এখন সূর্য আর পৃথিবী কে কার চারিদিকে ঘুরে এটা বিতর্কের বিষয় না। কি ধরনের রোবট তৈরি করলে ব্যবসায়িক দিক থেকে লাভজনক হবে কিংবা ড্রোনের ডিজাইন কেমন হলে সেটা বেশি টেকসই হবে এখনকার ছাত্রছাত্রীরা সেসব চিন্তাভাবনা করে। ফলে তাদের চিন্তাভাবনায় বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির কোন প্রভাব পড়ছেনা।
কিন্তু সামাজিক বিজ্ঞান এখনও থিউরিকেন্দ্রিক। এখানে রুশো, হবস, ফ্রয়েড এমনকি ডারউইনও বেশ গুরুত্ব দিয়ে পড়ানো হয়। ফলাফল তো পরিষ্কার
এজন্যই দেশের উন্নতির জন্য সরকারে কোন ধর্মান্ধ দল থাকলে সেটা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়না। সে কারনেই ভারতের বিজেপিকে মানুষ ভোট দেয় উন্নয়ন এবং চাকরির আশায়
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৫৫