তারা চাইলেন দেশে গণতন্ত্র আসুক কিংবা সমাজতন্ত্র
দেশে আসলো গণতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র
তারা চাইলেন দাড়ি-টুপিধারী, বোরখাওয়ালি বেহেশতি জেওর ছেড়ে লালন অথবা কার্ল মার্ক্স পড়ুক
কিন্তু দলে দলে নারী-পুরুষ চিল্লায় বেরুতে লাগলো, দাড়ি-টুপি আর হিজাবিদের সংখ্যা বাড়তেই থাকলো
তারা চাইলেন একদিনেই লাখ লাখ "গরু-হত্যাকারী" মুসলমানেরা পহেলা বৈশাখ পালন করুক, রবীন্দ্র-সংগীতে বরণ করুক নতুন বর্ষকে
কিন্তু, একদল উগ্র ধর্মান্ধ বটতলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোমা হামলা করলো!
তারা চাইলেন "অলীক" পারলৌকিক বিশ্বাস পরিত্যাগ করে ইহলৌকিক আচারাদিতে অভ্যস্ত হোক
কিন্তু, ধার্মিকেরা আরো বেশি রোযা-নামাজে মগ্ন হলো!
তারা চাইলেন নবী মোহাম্মদের "ভায়োলেটেড"(জ্ঞানান্ধদের মতে) কোরান মুখস্থ করা বাদে হাফিজ-ক্বারীরা কাফকা, বার্টান্ড রাসেল পড়ুক
কিন্তু দেশে দিন দিন আশংকাজনকভাবে মাদ্রাসার সংখ্যা বাড়তেই লাগলো!
আসলে তারা চায় নি এদেশের খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন
এদেশের মুটে কুলি মজুরের ধর্মীয় বিশ্বাসই আজ তাদের কাছে সব উন্নয়নের অন্তরায়
তারা চায় নি দাড়ি-টুপিধারী আর বোরখাওয়ালিদের ব্যক্তিস্বাধীনতার মূল্য দিতে,
তারা শ্রদ্ধা করতে শেখে নি
অন্যের বিশ্বাসকে
আঘাতে আঘাতে "কুসংস্কারের" ক্ষতগুলো তারা নিজেরাই বাড়িয়ে তুলেছে
আর সেই ক্ষতগুলোই রূপান্তরিত হয়েছে উগ্র চাপাতিতে
আর এভাবে মানুষে মানুষে বিভাজনের বিষ-জাল ছড়িয়েছে মানব-ধর্মের নামে
আর এভাবে তারা নিজেরাই জবাই হচ্ছে নিজেদের চাপাতির আঘাতে...
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬