-------------------------------------
‘আপনি কি হুমায়ুন আহমেদের অনেক ভক্ত?’
আমি মাথা তুলে লোকটার দিকে তাকালাম। বয়স ত্রিশ পেরিয়েছে। চেহারা খুব পরিপাটি। ফরমাল শার্ট-প্যান্ট পরা। শার্ট ইন করা। তার উপরে ব্লেজার। রীতিমত ভদ্রলোক।
দেখে মনে হচ্ছে অফিসে যাচ্ছেন।
আমি কোন রকম উৎসাহ না দেখিয়ে ছোট করে উত্তর দিলাম, ‘জ্বি।’
লালমনি এক্সপ্রেসে করে ঢাকা যাচ্ছি। ট্রেনে ওঠার আগে গাইবান্ধা স্টেশনের বুকস্টোর থেকে হুমায়ুন আহমেদের ‘জোস্না ও জননীর গল্প’ বইটি কিনেছি। ঢাকা পৌছতে পৌছতে যেন বই শেষ হয়ে যায় সেটাই আমার এখন আমার উদ্দেশ্য। এই ট্রেনের ঢাকা পৌছতে কমপক্ষে দশ ঘন্টা লাগবে।
লোকটি আমার মুখোমুখি বসেছেন। আমরা দুজনেই জানলার পাশে বসা। লোকটিই অতি উৎসাহী হয়ে বলতে লাগলেন, ‘আমিও হুমায়ুন আহমেদের পাগল ভক্ত। ওনার সব বই আমি পড়েছি।
‘জোস্না ও জননীর গল্প’ বইটা যেদিন বইমেলায় আসে ঐদিনই আমি কিনেছিলাম। সন্ধ্যায় পড়া শুরু করে ফজরের আযান হওয়া পর্যন্ত পড়ে বইটি শেষ করি।’
আমি সামান্য একটু বিস্ময় প্রকাশ করে লো্কটির দিকে তাকালাম। উনি সাথে সাথে হাত বাড়িয়ে দি্যে বললেন, ‘আমি জহির ইসলাম। গাইবান্ধায় একটা এনজিওতে চাকরী করি। ঢাকা এয়ারপোর্টের কাছে বাসা। পড়াশুনা করেছি ঢাকা কলেজে।’
এতোদিন জানতাম ঢাকার বাইরের লোকজন ঢাকায় যায় চাকরী করতে। আর এই ভদ্রলোক দেখি ঢাকা থেকে গাইবান্ধা এসেছেন চাকরীতে করতে? অবশ্য বাসা থেকে বিয়ের ভয়ে এখানে এসেছেন বলে কথাটা বিশ্বাসযোগ্য।আর কেউ যখন যেচে এসে পরিচিত হতে চায় তখন আর কী করা থাকে আমিও হাত বাড়িয়ে আমার পরিচয় দিলাম।
জহির সাহেব পরিচয় শুনেই প্রায় চেচিয়ে বললেন, ‘আপনি ঢাকা ভার্সিটিতে কেমিস্ট্রিতে পড়েন? হুমায়ুন আহমেদও তো আপনার ডিপার্টমেন্টেই পড়তেন। টিচারও ছিলেন। আপনি কী সৌভাগ্যবান।’
আমার সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য জানি না তবে এই মূহুর্তে এই লোকটাকে উপদ্রব মনে হলো। বইয়ের ভূমিকাটাও শুরু করতে পারিনি। উতসর্গপত্র পড়লাম মাত্র।
‘ঢাকা কলেজে যখন পড়তাম, তখন প্রায়ই টিএসসি যেতাম।অনেক রাত পর্যন্ত ফ্রেন্ডদের সাথে আড্ডা দিতাম। এখনও ছুটি ছাটা পেলে টিএসসি যাই। বইমেলা হলে তো কথাই নেই। আগে আমার পোস্টিং ঢাকাতেই ছিলো। কিন্তু ফ্যামিলি থেকে বিয়ের চাপ আসাতে, ইচ্ছে করে উত্তরবংগে পোস্টিং নিয়েছি। এখন খুব মিস করি সেই দিনগুলো।’ জহির সাহেব বলেই চললেন। আমি বইয়ের ভূমিকা পড়তে পড়তে শুধু মাথা নেড়ে বোঝাচ্ছি যে ওনার কথা আমি শুনছি।
‘আমার বইপড়া শুরুই হয় হুমায়ুন স্যারের বই দিয়ে। অসাধারণ একজন লেখক। আমি যেই বারই বইমেলায় যাই সেইবারেই স্যার বইমেলায় আসেন। কী ভাগ্য আমার। ছয়টা বইয়ে স্যারের অটোগ্রাফ আছে। কত রাত যে ভোর হয়েছে স্যারের বই পড়তে পড়তে। একবার শুরু করলে শেষ না করে ওঠা যায় না।’
আমি কথা বলছি না দেখে জহির সাহেব আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আচ্ছা, আপনার প্রিয় চরিত্র কোনটি? হিমু নাকি মিসির আলী? আমার তো হিমুকে বেশী ভালো লাগে।’
তখনি ট্রেন চলতে শুরু করলো।দুপুর এগারোটায় যে ট্রেনের ছেড়ে যাওয়ার কথা সে ট্রেন ছাড়লো কিনা দুইটায়! তিনঘন্টা লেটে লালমনিরহাট থেকে এসে এই স্টেশনে দাড়িয়েছিলো। বাংলাদেশের ট্রেন বলে কথা!সময়ের দাম বলে কিছু নেই এদেশে।
ট্রেনের হুইসেল বন্ধ হতেই ভদ্রলোক আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনার প্রিয় চরিত্র কোনটা শাহীন ভাই?’
আমি জহির সাহেবের ধৈর্যের কাছে পরাজিত হলাম। খানিকটা বিরক্তি নিয়ে উত্তর দিলাম, ‘শুভ্র।’
আর উত্তর দেয়াটাই বোধহয় ভুল হলো।জহির সাহেব হঠাত করে বিষন্ন হয়ে গেলেন। তারপর মন-খারাপ করা কন্ঠে এবার বলা শুরু করলেন, ‘শুভ্র চরিত্রটার কথা মনে পড়লেই আমার ভয়ংকর খারাপ লাগে। একধরনের অস্থিরতা কাজ করে। লাইফে একটা বড়সড় ভুল করে ফেলেছি, শাহীন ভাই।’
একটা বইয়ের চরিত্র নিয়ে ওনার কী ভুল থাকতে পারে? আমি এবার নিজে থেকে জিজ্ঞেস না করে পারলাম না, ‘কিসের ভুল ভাই?’
একটু উদাসী হয়ে বলতে লাগলেন, ‘অনার্সে থাকতে আমি ‘আরন্যক’ নাট্যদলের সদস্য হয়েছিলাম। মামুনুর রশীদকে তো চেনেন। উনিই এখানকার সব নাটকের নির্দেশনা দেন। এই নাট্যদল থেকে অনেক নামী-দামী অভিনেতা অভিনেত্রী তৈরি হয়েছে। আমি ততদিনে বেশ কয়েকটি মঞ্চনাটকে কাজ করেছি।ইচ্ছাও ছিলো সেখানেই ক্যারিয়ার গড়ে তোলার।
ঐ সময়ই অভিনেতা তৌকির আহমেদ ‘দারুচিনি দ্বীপ’ ছবির কাজ শুরু করেন। এটা কিন্তু হুমায়ুন আহমেদের একটা জনপ্রিয় উপন্যাস। পড়েছেন নিশ্চই।’
আমি বললাম, ‘জ্বি, পড়েছি।’
‘এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হল শুভ্র। এই চরিত্রে অভিনয় করবেন নায়ক রিয়াজ। আর নায়িকার জন্য তো সারা দেশব্যাপী কত খোজাখুজি হলো। আর একটা ইম্পর্ট্যান্ট চরিত্র হলো মন্টু।এই চরিত্রের জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। কারণ, উপন্যাসের বর্ণনা অনুযা্যী এই চরিত্রে যে অভিনয় করবে তাকে একটু শর্ট আর শ্যামলা হতে হবে। অভিনয়ও ভালো জানতে হবে।তখন তৌকির ভাই আরন্যকে এসে খোজাখুজি শুরু করলেন। এবং শেষ পর্যন্ত আমাকেই সিলেক্ট করলেন।’
‘তাই নাকি? কিন্তু এই চরিত্রে তো মোশাররফ করিম অভিনয় করেছিলেন।’ আমি একটু বিস্ময় আর পুরোপুরি অবিশ্বাস নিয়ে তাকালাম জহির সাহেবের দিকে। না, ভদ্রলোক শ্যামলা এবং হাইটেও শর্ট। আমার তখন ‘জোসনা ও জননী গল্প’ পড়া লাটে উঠেছে।
‘ঠিকই ধরেছেন। শেষ পর্যন্ত আমার অভিনয় করা হয় নি। মোশাররফ করিম আমাদের সাথেই কাজ করতো। তখন সে এতোটা জনপ্রিয় না। নাট্যদলেও ওর থেকে আমার অভিনয় বেশী প্রশংসিত হয়েছিলো। এইজন্যেই তৌকির ভাই আমাকেই সিলেক্ট করেছিলেন।’
‘তাহলে আপনি অভিনয় করলেন না কেনো?’
‘রানু নামের একটা মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক ছিলো ঐ সময়। আমরা একই ব্যাচে অনার্স পড়তাম। রানু আবার খুব রক্ষণশীল পরিবারের একটা মেয়ে। সে শুরু থেকেই আমার নাট্যদলের সাথে কাজ করাকে পছন্দ করতো না।এই নিয়ে অনেক ঝগড়াও হতো ওর সাথে।শেষ পর্যন্ত সে আলটিমেটাম দেয় যে, আমাকে আরণ্যক ছাড়তে হবে। না হলে সে আমাকে ছেড়ে যাবে। ঠিক যে মূহুর্তে ডিসাইড করেছি নাট্যদল ছাড়বো, সেই মূহুর্তেই মন্টু চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব পাই।’
‘তার মানে শুধুমাত্র আপনার গার্লফ্রেন্ডের কথা চিন্তা করে এতো বড় একটা প্রস্তাব আপনি ফিরিয়ে দিলেন?’
‘সেটা তো দেখতেই পারছেন।’ বলেই একটা শুষ্ক হাসি দিলেন জহির সাহেব।‘তা না হলে তো আজকে মোশাররফ করিমের জায়গায় আমাকে দেখতে পেতেন। হুমায়ুন আহমেদের নাটক-সিনেমায় অভিনয় করে জনপ্রিয় হন নাই এ রকম একজনকেও পাবেন না। আমার সারা জীবনের ঐ একটাই সাধ ছিলো রে ভাই…’
আমি একটু দ্বিধা নিয়েই জিজ্ঞেস করলাম, ‘কিছু মনে করবেন না, একটু পার্সোনাল কোশ্চেন করি। আপনার গার্লফ্রেন্ড মানে সেই রানু এখন কোথায়? যার জন্য এতো বড় একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আপনি পাস্ট টেন্স ব্যবহার করছিলেন কিনা…’
জহির সাহেব ঈষৎ হেসে বললেন, ‘নো প্রবলেম। আমি নিজে থেকেই বলতাম। এখন আর তেমন কিছু মনে হয় না। সব গল্পেরই তো ঐ একই ফিনিশিং। আমাদের অনার্স শেষ বর্ষের দিকে রানুর বিয়ে হয়ে যায়। আমেরিক্যান প্রবাসী একটা ছেলের সাথে।’
আমি ঠিক এই মূহুর্তে কী বলবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্ট-চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে বাস্তবেই হুমায়ুন আহমেদের গল্পের চরিত্র হয়ে গেছেন!
‘আপনি কিছু বলেননি তাকে? এমনি এমনি ছেড়ে দিলেন? আর বিয়েতে ওনার মত ছিলো না,
তাই না?’
‘বিয়েতে ওর মত ছিলো না ঠিক আছে। ওর ফ্যামিলিকে সে আমার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু আমাকে ওর ফ্যামিলি মানতে পারে নি। রানুও ওর ফ্যামিলির মতের বিরুদ্ধে যেতে চায় নি। আমিও জোর করতে পারিনি। তখন তো আমি একপ্রকার বেকার।’
বাইরে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ট্রেনে এই এক মজা।এক স্টেশনে কড়া রোদ তো পরের স্টেশনের এলাকায় ঝুম বৃষ্টি। অল্প সময়ের ব্যবধা্নে এই রোদ এই বৃষ্টি। আমাদের পাশে বসা
ভদ্রমহিলার পিচ্চি একটা বাচ্চা আমাদের জানলায় এসে বাইরে হাত পেতে বৃষ্টি ধরছে। সে খুব মজা পাচ্ছে এই রোদ-বৃষ্টির খেলায়।
ট্রেন বগুড়া ছেড়েছে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি পাচটা বাজে। এতোক্ষণে মাত্র বগুড়া? ঢাকা পৌছতে রাত কয়টা বাজে কে জানে?
ট্রেনের খাবার-হোটেলের বয়েরা প্লেটে করে চিকেন ফ্রাই স্যান্ডউইচ ইত্যাদি ঘুরছে। এরমধ্যেই দেখি জহির সাহেব এক বয়কে ডেকেছে।উনি আমাদের দুজনের জন্যে খাবার অর্ডার করলেন। আমি মানা করলেও উনি শুনলেন না। যারা ট্রেনে যাতায়াত করেন তারা জানেন এইসব খাবারের দাম এরা কত রাখে।
কী আর করা। জহির সাহেব খরচ করবেন আমার কী?
খাওয়া শেষে খাবারের বিল দেখে জহির সাহেব আতকে উঠলেন! আমিও মনে মনে ভাবলাম, আজ যদি উনার গল্পটা চাপাবাজি হয়ে থাকে তাহলে এটা তার শাস্তি। আমি উনাকে শান্ত করার জন্য বললাম, ‘আপনি জানতেন না এগুলোর দাম ট্রেনে বেশি রাখে এরা?’
‘জানলে কি আর অর্ডার করতাম? ট্রেনে এটা আমার সেকেন্ড টাইম ভ্রমণ। আমি সবসময় বাসে যাতায়াত করি।’
আমি একটু সহানুভূতির স্বরে শুধু বললাম, ‘ও।’
এরপরের অংশটুকু আমার জীবনের একটি ভয়াবহ অংশ। যা আমি কখনোই ভুলতে পারবো না। আর সে কারনেই আমার এই গল্প লেখা। এতোদূর যারা পড়েছেন, তা্রা বাকীটুকুও পড়বেন আশা করি।
ট্রেন যমুনা সেতু পার হবার পরেই প্রবল বৃষ্টির মুখে থামতে বাধ্য হয়। প্রায় দু’ঘন্টা সিরাজগঞ্জেই ট্রেন ঠায় দাড়িয়েছিলো। শেষে ঢাকা এয়ারপোর্ট পৌছতে পৌছতে রাত একটা বেজে যায়। জহির সাহেব আমাকে তার বাসায় যাওয়ার জন্য অনেক জোরাজুরি করেন। কারণ এতো রাতে ঢাকার রাস্তাঘাট তেমন সুবিধার না। বিপদ-আপদ কি আর বলে কয়ে আসে?
কিন্তু এতো রাতে কয়েকঘন্টা আগে পরিচিত একজনের বাসায় যাওয়াটাও সমীচীন মনে হলে না। তিনিও তো সন্দেহের উর্ধ্বে না। তারসাথে গেলেও যে বিপদ-আপদ আসবে না তার নিশ্চয়তা কী?
জহির সাহেবকে স্টেশনেই বিদায় জানিয়ে বের হয়ে এলাম। এয়ারপোর্টের সামনে এসে বাসের জন্য দাড়ালাম।তখন রাত দেড়টা বেজে গেছে।রাত যে অনেক হয়েছে তা বুঝলাম, রাস্তায় গাড়ি চলাচল কম দেখে।এর মধ্যে একটা ২২ নম্বর গাড়ি এসে দাড়ালো। ফার্মগেট পর্যন্ত যাবে।উপায় না দেখে সেটাতেই উঠে পড়লাম। আগে ফার্মগেট পর্যন্ত যাওয়া যাক। তারপর ব্যবস্থা হবে। তখন আমি হলে নতুন উঠেছি। তাই, ভার্সিটির হলে যেভাবেই হোক যেতে হবে।
বাসে উঠেই আমার সন্দেহ লাগলো।যাত্রী চার-পাচ জন।আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছেলে আমার পাশে এসে বসলো। বাস কিছুদূর যেতেই ড্রাইভার লাইট সব অফ করে দিলো। পরে যা ঘটলো তা আর বর্ণনা করতে পারছি না।
আমাকে সহ আরো দুজন যাত্রীকে ওরা বাস থামিয়ে শ্যামলীর কাছেই নামিয়ে দিলো। তারপর দ্রুত চলে গেলো বাসটি। আমার চোখ তখন জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছিল।নিজেকে এতো অসহায় আর কখনো মনে হয় নি!
নিকটেই একটা পত্রিকা-ম্যাগাজিনের দোকান খোলা দেখে এগিয়ে গেলাম।
সেখানে একটা পুলিশের ভ্যানও দাড়িয়েছিলো। আমার অবস্থা দেখে একজন পুলিশ এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন কী হয়েছিলো। আমি আমার পরিচয় দিয়ে ২২ নম্বর বাসটির কথা সব খুলে বললাম। মরিচ-পার্টির কথা বললাম। উনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী কী ছিনিয়ে নিয়েছে?’
আমি বললাম ‘টাকা-পয়সা যা ছিল সব সাথে মোবাইলটাও।’
‘ব্যাগ থেকে কিছু নেয় নি?’
আমি তখন ব্যাগটা চেক করলাম। দেখলাম, সব ঠিক আছে শুধু স্টেশনে কেনা সেই নতুন বইটা ছাড়া।‘জোসনা ও জননীর গল্প’।যার প্রথম কয়েকটা পাতা শুধু পড়া হয়েছিলো।
বাকীটুকু আর পড়া হয় নি।
…………….
শেষ পর্যন্ত পুলিশদের সহযোগিতায় অন্য এক ভদ্রলোকের মাইক্রো বাসে করে আমি হলে ফিরে আসি।