somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৯০ জনের দল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও ১০ টাকায় চাল না পেয়ে সোনাবরুর মৃত্যু আমাদের শতকলা পূর্ণ ও নস্টালজিয়া

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সোনাবরুর মৃত্যুটাকে আত্মহত্যা বলা মহাপাপ হবে কারণ এটা পরিকল্পত হত্যাকান্ড। যারা রাজনিতী করেন বা রাজনিতী সমর্থন করেন তাদের সবার দীর্ঘ পরিকল্পিত হত্যা কান্ড। একজন বেচে মরে গেছে কিন্তু কোটি মানুষ মরে বেচে আছে এভাবে প্রায় ৩ যুগ ধরে। স্বাধীনতা নামক বস্তু খেয়ে পেট যে ভরে না হয়তো যারা রাজনিতী করেন তাদের মন ভরে ,যা কোনদিন দেখিনি শুধু শুনেছি সেই ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত। হয়তো শুনতে হবে আরও অনন্তকাল। লিখতে সত্যি খুব কষ্ট হচ্ছে বার বার ভুল হচ্ছে বানান হাত পা শীতল হয়ে যাচ্ছে। পুরুষ মানুষ কাদতে তো পারিনা কিন্তু চোখ জলে ভিজে যাচ্ছে এই ভেবে আর কতদিন ভদ্রতা দেখিয়ে এভাবে কষ্ট সহ্য করে যাব।
অপরাধটা কি সেটা জানি ভাল করেই, কিন্তু এর শাস্তির মাত্রাটা কতখানি সেটা আজনও জানলাম না শুধু ভোগ করে যাচ্ছি। অপরাধ বাংলাদেশ নামক ভুখন্ডের মাঝে জন্মানো শুধু অপরাধ নয় যেন রীতিমত ক্ষমার অযোগ্য পাপ।


এই পাপের ফল ভোগ করতে করতে ক্লান্ত। কিন্তু বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কি হবে ? আমরা তো তাও দেখেছি পদ্মা , ভোগ করতে পেরেছি অনেক কিছু কপাল গুনে কারন যারা রাজনিতী করেন তারা অতো এ্যাকটিভ ছিলেন না। কিন্তু এখনতো আর সেই সুযোগ নেই। কোথায় গিয়ে রাখবো আমাদের ছোট্ট শিশুগুলোকে এই নরকের আগুন থেকে রক্ষা করতে ? ছোট বেলায় পড়ে ছিলাম ''ভাত দে শানা নইলে মানচিত্র খাব'' সেই মানচিত্রটিও যে দখলে নিয়ে খাচ্ছে রাজনিতী বিদ রা আর খাওয়াচ্ছে তাদের পরিবার ও বন্ধুদের। কিন্তু আমরা তো খাওয়ার জন্যে মানচিত্রটুকুও পেলাম না। পদ্মায় পানি নেই, বঙ্গোপোসাগরও তাদের দখলে , কপালে পানি ডুবে মরার সুযোগটাও হবে না। এভাবে মরেই বেচে থাকতে হবে আমাদের।
ছোটবেলায় সমাজ বইতে পড়েছিলাম, গণপ্রজাতন্ত্রী দেশে সকল ক্ষমতার মূল জনগন তখন থেকে ভেবে আজ পর্যন্ত মাথায় ঢুকেনি তাহলে এই দেশটা তো সকলের তাহলে নেতা কেন লাগবে ? ম্যাডাম বুঝিয়ে বলেছিল নেতা হল জনগনের পক্ষ থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি, তাকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয় জনগনের জন্যে কাজ করবে বলে, সরকার পরিচালনা করবে বলে এজন্য তাকে বেতনও প্রদান করা হয়। বলেছিলেন আমেরিকাতে বেতন বেশী দেয়া হয় কারণ যে প্রেসিডেন্ট হয় তার কখনও নিজের ব্যবসা থাকতে পারে না ঐ দেশে কিন্তু আমাদের দেশ গরীব এখানে বেতন কম। তখন এরশান সাহেব ছিলেন প্রেসিডেন্ট।
আমি বলেছিলাম তাহলে আমাদের প্রেসিডেন্ট সাহেব রাজা নন। উনি কাজ করেন আমাদের পক্ষ থেকে একজন হয়ে। তাহলে উনি যে গাড়িতে চরেন, ঘুরে বেড়ান সেটা আমাদের টাকা ? ম্যাডাম বলেছিলেন হুমম আমাদের সবার টাকা। বলেছিলাম, আমাদের বাসার কাজের মেয়েটিরও টাকা ? ম্যাডাম বলেছিলেন হুমম। তাহলে ওখান থেকে কিছু টাকা আমাদেরকে প্রসিডেন্ট দেয় না কেন ? কিভাবে সবাই প্রেসিডেন্টকে টাকা দেয়? ম্যাডাম বললেন ট্যাক্স বা আয়কর প্রদান করে । ম্যাডাম বলেছিলেন সরকার বাজেটের মাধ্যবে সেই টাকার সুষম বন্ঠন করেন জনগনের কল্যানে আমরা সেখান থেকে সুবিধে পাই। জানতে চে্যেছিলাম কি কি সুবিধে পাই ম্যাডাম এর আর ধৈর্য থাকেনি বলেছিলেন বড় হও বুঝতে পারবে আসতে আসতে।
এরপর বড় হয়েছি, দেখেছি প্রতিদিন ঝগড়া বাজারের টাকার জন্যে, দেখেছি সব থাকার পরও একটা অভাববোধ সবার মাঝে। রিক্সাওয়ালাকে চর মেরেছি ভাড়া বেশী কেন চাইলো তাই। দুঘন্টা রাস্তায় রিক্সা নিয়ে দাড়িয়ে থেকেছি প্রধানমন্ত্রী যাবেন তাই। দেখেছি সিগন্যালে মানুষ ভিক্ষে করে, বাচ্চারা ফুল বিক্রি করে। দেখেছি হোম টিউটর আমার কাছে ৫০০০ টাকা রেখে গিয়েছিলেন যদি ছিনতাই হয়ে যায় সেই ভয়ে। দেখেছি ছোটবোনকে বখাটেরা বিরক্ত করে বলে পুলিশকে ফোক করি সেই পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যায় পরে বাবা এসে ছাড়িয়ে নিয়ে যান ৩০ মিনিট পরে। দেখেছি শত সেনা অফিসারের মৃত্যু এর পর আরও শত বিডিআর এর মৃত্যু। দেখেছি বাড়ি দখল, জমি দখল অতপর দেশ দখল। আরও বড় হয়েছি দেখেছি দুর্ণিতী কিভাবে করে, কিভাবে করতে হয়। অনেক অনেক কিছু দেখেছি কিন্তু ম্যাডামের কথাগুলো মেলাতে পারিনি। কি পেয়েছি জানতে নীচে কিছু সংযুক্তি দেখে নেবেন।
ফেলানীর লাশ দেখেছিলাম কিছুদিন আগে, এবার সোনাবরু। ব্যাপারটা এমন যে বেরও হতে পারবে না থাকতেও পারবে না মৃত্যুই অবধারিত মুক্তির পথ সকলের তা আত্মহত্যা করে হোক আর খুন বা দুর্ঘটনা ।

অনেক খবর দেখি চোর , ডাকাত, পুলিশের ঘুষ, বাসভাড়া সবকিছুর মূলে একটা অভাব।
অভাবের তাড়না থেকে করা অপরাধ। সবার অভাব, যার আছে তারও অভাব যার নেই তারও অভাব, অনিশ্চয়তার ভয়। নিজেকে ভেবেছি, পরে মনে হয়েছে অভাবটা স্বাধীনতার। কারও কোন অধিকার নেই কিছু বলার, কিছু করার, কিছু ভাবার। এভাবে অভাবে অভাবে বেচে মরে থাকরা আমরা একদিন চলে যাব। ধুকবে আমাদের ভ্যবিষ্যৎ প্রজন্ম আর হয়তো দুষবে আমাদের এই বলে, যে কেন তোমাদের পাপের ফল আমরাও ভোগ করে যাচ্ছি।

লেখাটা বড় করা যায় কিন্তু ইচ্ছে করছে না। আগেও তো অনেক লিখেছি কি লাভ হয়েছে ? সংযুক্তি গুলো দেখবেন যদি সময় হয় যদি ও মূল পোস্টের সাথে সরাসরি সংযোগ নেই।

উৎস : ১।)সোনাবরু, ছোট্ট আপু, আমি লজ্জ্বিত, হতাশ, ক্ষুদ্ধ...
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২০
Click This Link

ক্ষুধার কষ্ট অনেক বেশী তাই না আপু? অবশ্যই কষ্টের। মৃত্যুর কষ্টের চেয়েও বেশী। তাই তো তুমি ক্ষুধার কষ্ট সইতে না পেরে চলে গিয়েছ বিধাতার কাছে। কারণ কেউ যে আর এগিয়ে আসেনি তোমার কষ্ট লাগবে।

সোনাবরু, এ লিখাটি যখন লিখছি তখন শিল্পী হায়দারের গান শুনছি আর চোখ দিয়ে কেন জানি কান্নার লোনা জল নেমে আসছে।
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া
করিতে পারিনি চিৎকার
বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার
কত ব্যথা বুকে চাপালেই তাকে বলি আমি ধৈর্য
নির্মমতা কতদূর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ

আপু তুমি কি জান, পদ্মা সেতুর সমীক্ষার কথা বলে কত শত কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে? ঈদের আগে রাস্তা মেরামত করতে গিয়ে কত টাকা গায়েব করা হয়েছে? তুমি কি জান মন্ত্রী ও সচিবরা অভিজ্ঞতা অর্জনের কথা বলে বিদেশ ভ্রমনে গিয়ে কত টাকা খরচ করে? কখনো কি শুনেছ, হোটেল শেরাটনে দারিদ্রতা নির্মূলের কৌশল বিষয়ক সেমিনারে কত খরচ হয়? বলতে পার আপু, কতশত কোটি টাকা একেকবার সংসদ অধিবেশনে খরচ হয়? জান তুমি, এভাবে কতদিকে কত বিলিয়ন টাকা অযথা খরচ হয়, লুটপাট হয়? তুমি কি জান এই হাজার কোটি টাকার কিয়দংশ দিয়ে তোমার কত বেলা খাবার ব্যবস্থা করা যেত?

সোনাবরু, কেন তোমাকে আমি এ প্রশ্ন গুলো করতে গেলাম? তুমি নিজেই তো তোমার মাকে প্রশ্ন করতে, মা, আমরা এত গরিব কেন? সবার বাবা আছে, আমাদের বাবা নেই কেন? ওই প্রশ্নের উত্তর তুমি পাওনি। পাওনি খেতে। তোমার মা চেষ্ঠা করেছিল, কিন্তু অভাবের কারণে পরপর দু'দিন দিতে পারেনি তোমার মুখে আহার। তোমার ছোট্ট শরীর তাই আর পারেনি ক্ষুধার কষ্ট সহ্য করতে। পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার আনন্দ সেই কষ্টের কাছে ম্লান হয়ে গিয়েছে। তৈরি হয়েছে সমাজ ও জীবনের প্রতি এক অভিমান। সেই অভিমানের পর আত্মহত্যা করেই বুঝিয়ে দিয়েছ এই নষ্ট ও হৃদয়হীন সমাজের প্রতি তোমার ঘৃণা কতবেশী।

এভাবেই হয়তো এই সমাজকে বুঝাতে চেয়েছ কত কষ্টে ছিল তুমি। বুঝাতে চেয়েছ ক্ষুধার কষ্ট মৃত্যুর কষ্টের চেয়েও বেশী। কিন্তু এই নোংরা রাজনীতি, নিষ্টুর সমাজ কি তোমার সেই অভিমান, সেই কষ্ট বুঝার যোগ্যতা রাখে? কেউ কি বুঝার চেষ্ঠা করবে তোমার ভাইয়ের চোখে কিসের জল?

কারণ অসম্ভব নিষ্ঠুর হৃদয়হীন সমাজে জন্মেছ তুমি। এরা সবসময় ব্যস্ত থাকে শুধু নিজেকে নিয়ে, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে নিজের ক্ষমতার পথ নিষ্কন্টক রাখতে। সেই ক্ষমতার লোভ ও দম্ভ ভূলিয়ে দিয়েছে তোমার মতো লক্ষ লক্ষ অসহায় শিশুর কথা। লোপ পেয়েছে মানবতা, দায়িত্বশীলতা, আদর্শ, ন্যায়নীতি, নৈতিকতা। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, লুণ্ঠন, অবিচার।

আপুরে, বিধাতা তোমাকে এমন এক দেশে পাঠিয়েছে, যে দেশের প্রধানমন্ত্রী শান্তির জন্য নানা পুরস্কার পায়, জাতিসংঘে গিয়ে বিশ্ব শান্তির ফর্মূলা দেয়, কিন্তু তোমার মতো শিশুর ক্ষুধা লাগবের জন্য কিছু করতে পারেনা। আরেকবার ক্ষমতায় আসার জন্য কত চিন্তা, কত কিছু করা হয় কিন্তু তোমার কষ্ট নির্মূলের জন্য কিছু করেনা। তাদের লোভের কাছে, স্বার্থপরতার কাছে, নিষ্ঠুরতার কাছে তোমার মতো শিশুর কষ্ট তুচ্ছ হয়ে যায়।

তাই কবি আবদুল হাই সিকদারের মতো ঠিক একই আহবান জানাচ্ছি। আপু পারলে, বিধাতাকে বলিও, প্রভু, বাংলাদেশ আজ আর কোনো মানবিক ভূখণ্ড নয়। ওখানে ১৬ কোটি লোক আছে, কিন্তু মানুষ নেই একজনও। এমন ভুবন রাখার আর কোনো প্রয়োজন আছে কি? এ কথা বলতে না পারলে অন্ততঃ বলিও, ওই দেশটাকে প্রভু রাজনীতিবিদ এবং বুদ্ধিজীবীদের হাত থেকে রক্ষা কর। আমার মতো আরও লাখ লাখ শিশু ওখানে প্রতিদিন না খেয়ে থাকে। ঘরে ঘরে স্তূপীকৃত হয়ে আছে জমাটবাঁধা কান্না। মানুষের দুঃখের পাশে দাঁড়ানোর কেউ আজ আর নেই ওদেশে। ওখানকার আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে আছে পাপে। প্রভু একটা কিছু কর..

২।) Click This Link

৩।) Click This Link

৪।) বাঙ্গাল বলে ''হ। আমরা আর কিছু বুঝি না বুঝি, স্বাধীনতা বুঝি। অইটা নিয়া কুন কথা হইব না, এক বাক্যে স্যালুট দিতে হইবো জনক, ঘোষক, আহবায়কদের। সংসদে সব ভাষনের আগে ৫ মিনিট মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ও আহবায়কদের সালাম জানাইয়া বিবিধ-বিশেষন বর্ষন... তাআআরপরে দ্যাশের অন্যান্য বাতচিত। আর যুদ্ধাপরাধীতো ভোটের আগের খেলা, "ড়াজাকার" ডাক ছাড়তে ছাড়তে মুখের ছ্যাপ ছিটায়া বেড়াই মিছিলে স্লোগানে। ক্ষমতায় গিয়া বলি "মাসুম সরকার" "ফরেন প্রেসার" "এত কাজ!"... সময় হয় না... ধরি ধরি কইরাও ধরা হয় না। কেউ কেউ আবার যুদ্ধাপরাধীদের ঘাড়ে চইড়া ক্ষমতায় আসি—“নির্বাচনী কৌশল” বললেই দায় শেষ। কিন্তু শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা যেই দেশটা স্বাধীন কইরা রাইখা গেল... সেই দেশের স্বার্থ আপনি কতখানি দেখেন? কতটুকু বুঝেন বা বুঝতে চান? বুঝতে চান না। কারন আপনার বিবেচনার দেয়ালে মোটা দাগ টানা আছে। তেল-গ্যাস ইস্যু? কোন কিছু না জাইনাই আপনি বইলা দিবেন "ওইটা বাম দলগুলার ইস্যু, ওরা সারা বছর ওইটা নিয়া ফালাফালি করতেই থাকব, সো কান দিয়া লাভ নাই"...টিপাইমুখ বাধ? ওইটা জামাতিগো ইস্যু..."ড়াজাকারের দল নতুন ভড়ং ধরছে"। এশিয়ান হাইওয়ে? "সাবমেরিন ক্যাবলের লাইন না নিয়া কি ভূল্টাই না করছিল বিএনপি, এইবার আর সেই ভূল করা যাবে না।এইটা সুবর্ণ সুযোগ"। আপনি এক্টুও চিন্তা করলেন না, সবগুলাই আসলে আপনার ইস্যু। কারন সব গুলাই বাংলাদেশের অস্তিত্বের ইস্যু।এই ইস্যুতেই নির্ধারিত হইতে যাইতেছেঃ আজ থেকে ১০ বছর পর দেশের কি অবস্থা হবে।'' আরও বলে''বাংলদেশ দ্বিপাক্ষীক বৈঠক, তার ফলাফল আর যৌধ বিবৃতির আলোচনায় সুসপষ্ট বিপরীত দুই পক্ষ দেখা গেল। পেপার-পত্রিকা, টক শো, ব্লগ সবখানে। সমস্যাটা হইল ভারত ইস্যুতে দুই পক্ষ আগেই হয়া ছিল। একদল কোন ভাবেই ভারতের সাথে কোন কিসিমের চুক্তি করতে রাজি না। বরং দেশ উলু ধ্বনিতে ভইরা যাবে,বিক্রি হইয়া যাবে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বরবাদ হইয়া যাবে, এইরকম একটা ধারনা প্রচারে সচেষ্ট। আরে মিয়া, তোমার তিন দিকে ভারত। দরজা বন্ধ কইরা কয় দিন থাকবা? ম্যাপটা দেখো। ডানে বামে ব্যবসা বাণিজ্যের বাজারটা দেখ। আর হিন্দু ধর্মপ্রচারে ভারত সরকারের কোন আগ্রহ নাই। যার সাথে দেন দরবারে বসতেছেন...তার আগ্রহ কোথায় সেইটা জানা জরুরী। উনাদের আগ্রহ বিদ্যুত, পেট্রোলিয়াম(মানে তেল-গ্যাস), ট্রানজিট, ব্যবসায়িক প্রভাব বিস্তার, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পারমানেন্ট মেম্বারশিপ পাওয়া...এইসবে। আরেক দল আছে,৭১ এর কৃতজ্ঞতাবোধ সিন্ড্রমে আক্রান্ত। ৭১ এর কৃতজ্ঞতা আইজো তাদের ভাষণের আগা পিছায় ঝইড়া পড়ে। তাই ভারতীয় কূটনীতিকরা আমাদের দালাল, চোর, জঙ্গি যা খুশি তাই বলার এখতিয়ার রাখেন। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রি চুপ থাকেন। ৭১ এর কৃতজ্ঞতা দেখানি ভদ্রতা অনেক হইছে। আমেরিকা যেমন সোভিয়েত মারতে আফগানদের বিলিয়ন ডলারের যুদ্ধাস্ত্র দিছে, সেরম সোভিয়েতরাও ভিয়েতনামিজদের সাহায্য দিয়া আমেরিকাকে শায়েস্তা করছে। কৈ...আফগানিস্তান বা ভিয়েতনামকে এত কৃতজ্ঞতায় গদগদ করতে দেখি না। বাস্তবতা বুঝেন। ভারত কোন দিনই আমাদের সাহায্য করতো না, যদি আমাদের "কমন" শত্রু পাকিস্তান না হইত। সহজ স্ট্যাটেজিক্যাল হিসাব। ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্যে এইসব টাইনা ভারতরে আপার হ্যান্ড দেয়ার কোন মানে নাই।''



সংযুক্তি সমূহ পূরতন লেখা ও মন্তব্য সমূস সময়কাল ২০১০

কিছুদিন আগেই মন্ত্রী-এমপিদের বেতন-ভাতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা থেকেই বাংলাদেশে একশ্রেণীর মানুষের প্রাচুর্য সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করা গেছে। অথচ ব্রিটেনের মতো ধনী দেশেও বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থাটি আমলে নিয়ে সেদেশে মন্ত্রীরা তাদের বেতন পাঁচ শতাংশ কমিয়েছেন।


বাজেটে অস্ত্র কেনার জন্যে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে যদি তার দশ ভাগও যদি ফ্যায়ার ব্রিগেডের উন্নয়ণের জন্যে বরাদ্ধ করত । কবে না আবার ওরাও বিদ্রহ করে বশে আর আমরা ওদের কে গালী দেয়া শুরু করি।

রয়েল ব্যাংগল টাইগার নাকি সব ভারত চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
সরকারের আপত্তি নাই। আমাদেরও না। অবশ্য সবাই এখন তাদের ইন্ডিয়ান বাঘ বলেই যানে, শেষ কালে বাঘ ও দেশের সাথে বেঈমানি করল :-(।

পরম করূনাময় বন্ধুদেশ ভারতের বিএসএফ গতকাল বাংলাদেশের সিলেটে ঢুকে পড়েছে। আজ নাওগাতে বিএসএফ এর গুলিতে প্রাণ হারালো আরও এক বাংলাদেশী। ''বাংলাদেশী'' মানে বাংলাদেশের একজন নাগরিক !!! কিন্তু দেশের মানুষ রা আরর্জেন্টিনার খেলা নিয়েই বেশী ব্যস্ত আছেন। আর ব্রাজিল সাপোর্টার রা হটাৎ এশিয়া প্রেমী হয়ে কোরিয়ার জন্যে দোয়া চেয়ে যাচ্ছেন । এর আগেও বিএসএম ঢুকেছে আমাদের সীমানায় যেভাবে আমরা আমাদের রক্ষিতার ঘরে ঢুকি সেভাবে। মনে পড়ে সীমান্ত যুদ্ধে ১৫ জন বিএসএফ কে বিডিআর হত্যার পর বীর পদকের বদলে শাস্তি পেতে হয়েছিল গত আওয়ামী সরকারের আমলে , মরলে শহীদ আর মারলে ??।


টিপাইমুখে বাঁধ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের অবসান না হতেই ভারত এবার ব্রহ্মপুত্র নদের উপর বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে । আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের কৃষিসহ পরিবেশ নতুন করে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে । (আপনাদের ধারণা ভারত বাংলাদেশের ক্ষতি করবে ? তাহলে আপনি শিউর রাজাকার না হয় পাকিস্তানি )


''নিমতলীতে শত মানুষের মৃত্য।
বেগুন বাড়িতে ২৫ জন।
সড়ক দুর্ঘটনা।
লঞ্চ দুর্ঘটনা।
বন্যা, জলোচ্ছাস।
বিএসএফ এর গুলিতে মৃত্যু।
বখাটেদের উৎপাতে আত্মহত্যা।
রাজনৈতিক হত্যাকান্ড।
ক্রসফায়ার।
ছাত্র রাজনিতী দল গুলোর হ্ত্যাকান্ড।
পাহাড়ে মানুষ হত্যা।
সেনা হত্যা।

অবশেষে সরকার শোক দিবস ঘোষণা দিয়েছে আজ সারা দেশে।
ঢাকার বেগুনবাড়ি ও নিমতলিতে প্রায় দু'শত মানুষের মৃত্যু ঘটেছে কিন্তু ঢাকায় আরও প্রায় দু'কোটি মানুষ বসবাস করে যাদের জীবণের প্রতিটি ক্ষন কাটছে মৃত্যুর আশংকায়। ভেবে দেখুন একটা ভুমিকম্প, বন্যা হলে ঢাকার কি হবে ? কোথায় গিয়ে বাচবে এই বিশাল জনগোষ্ঠি ?'
শুধু শোক দিবস পালন করে আরও একটা দিন ছুটি কাটানো ছাড়া আমরা আর কি করছি আর সরকারকেই বা কি কাজে বাধ্য করতে পেরেছি ?
সড়ক দূর্ঘটনা, অগ্নিপাত, ব্ন্যা, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, দুর্নিতী, বাক স্বাধিণতা ?? আমাদের কোন অধিকার আমরা রক্ষা করছি শোক দিবস পালন করে ?


এই ফলাফল এর ফল আমাদের খুব শিগ্রই ভোগ করতে হবে। বিদেশে অলরেডী আমরা অনেক মূর্খ জাতি হিসেবে দিন যাপন করতেছি যাদের অধিকাংশই এস.এস.সি. বা এইচ.এস.সি পাশের সার্টিফিকেট নিয়ে ঘুরতেছে। ইউরোপে ১২ বছরের বেশি পড়াশুনা করা মানুষের সংখ্যা খুবই কম, আর সমমান পড়াশুনায় এমনকি ইন্ডিয়ান, শ্রীলন্কান, পাকিস্তানিদের থেকে আমরা অনেক অনেক অনেক পেছনে। প্রাকটিক্যাল ফিল্ডের কথা বলতেছি।এভাবে একটা জাতি সম্পূর্ণ পিছিয়ে যাচ্ছে। অনেক পিছিয়ে যাচ্ছে।
জিপিএ টা বাংলাদেশে যেভাবে এপ্লাই হচ্ছে এটা শুরু থেকেই একটা ভুল পদ্ধতি ছিল। ২০০১ সালের পরীক্ষার্তি দের খাতা আবার চেক করা উচিৎ।
২০১০ এ তো ফেইল করা জিপিএ ৫ পাওয়ার থেকে অনেক বেশী কঠিন কাজ ছিল।
কিছু একটা ঘাপলা আছে যা আমরা বুঝতে পারছি না, যখন বুঝবো অনেক দেরী হয়ে যাবে। হয়তো ৩০ বছর লাগবে এই দূর্নিতীর বিচার চাইতে।
খুব দূ্ঃখ জনক হল শিক্ষা বোর্ড এর দূর্নিতী। যেসব শিক্ষকদের কে আমি দেশে ক্লাসে শুধু ঘুমিয়ে কাটাতে দেখেছি তারা হটৎ এমন উন্নতি করে ফেলেছে বিশ্বাস হয় না।
জিপিএ ৫ পাওয়া যে কোন শিক্ষার্থিকে আমর খুব শখ একটু পরীক্ষা নিয়ে দেখতাম। আমার পরিচিত অনেকেই জিপিএ পেয়ে পাশ করেছে যারা জিপিএ ৫০ পেলেও আমি জানি কত খানি শিক্ষা এদের মাঝে আছে।
২০০১, ২০০২,২০০৩ এর ফলাফল রিভিউ করা উচিৎ।
২০১০ সালের ফলাফল স্হগিত করে তদন্ত করে দেখা উচিৎ, এর সাথে আমাদের দেশের, জাতির ভবিষ্যত জড়িত। এসব নিয়ে এমন ছেলেখেলা হতে দেখা ঠিক হবে না।


গণপ্রজাতন্ত্রী দেশে জনগণ ই সকল ক্ষমতার উৎস। যাদের দায়িত্ব দিয়ে নিজেরা ঘুমিয়ে আছেন তারা যে সুই হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে তার খবর কে রাখবে ? এভাবে পারবেন ? আর কত দিন ? কেন দূর্ঘটনার অপেক্ষায় দিন যাপন ? দু টাকা ভাড়া বেশি চাইলে যদি রিক্সা ওয়ালা থাপ্পর খায়, দু'শ টাকা চুরি করলে যদি গণপিটুনিতে পকেটমারের লাশ পড়ে তাহলে হাজার হাজার টাকা চুরি, বেঈমানি করে যারা আপনাদের ঠকাচ্ছে বার বার কেন তাদের কিচ্ছু বলেন না। কেন যারা দায়ী তারা বেচে যাচ্ছ বার বার ?

দেশে আনেক ছাত্রী বা কিশোরীরা আত্মহত্যা করেই চলেছে যেন প্রতিযোগিতা চলছে কিন্তু ভাইয়াদের প্রেম থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারছে না। ধর্ষন আর এসিড নিক্ষেপের আজ পর্যন্ত কোন ভাল বিচার হয়েছে বলে শুনিনি। হবে বলেও মনে হ্য় না। তবে মহৎ মানের মামুন হাওলাদার এর কষ্টটা এবার যোগ হল আমার বাকী কষ্ট গুলোর সাথে, নিজের বোনকে উত্তক্ত করার প্রতিবাদে যে প্রাণ দিয়েছিল। তাই আমার খুব লজ্জা লাগছে। একজন ভাই হিসেবে, পুরুষ হিসেবে, এই দেশের পরাধীন নাগরিক হিসেবে। বোনদেরও আত্মহত্যা না করে এই অযোগ্যদের সাথে প্রেম বন্ধই করে দেয়া উচিৎ পারবেনা যদিও।

অভ্র এর সাথে মোস্তফা জব্বার এর সমাধান হতে চলেছে। ভাষা আন্দলোনের দেশে ভাষা নিয়ে ব্যবসা করে এখনও টিকে আছে মোস্তফা জব্বার। যেমন টিকে আছে রাজাকার, দূর্নিতীবাজ আর ভারত প্রেমীরা।
বিজয় পেইট্যান্ট এর সময় যারা বিচারক বা আইনজীবি ছিলেন তাদের আইটি ধারণা কতটুকু ছিল সে ব্যাপারে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
এটা ছিল কিছু সুযোগ সন্ধাণী লোকের একটা দেশ , জাতি ও তার ভাষার সাথে প্রতারণা করা।

১/১১ এর পর বর্তমান সরকার আসার পর আবার দাবী ওঠল এই ঘাতকদের বিচারের। কিন্তু, এই সরকারের কাছে ঘাতকরাই প্রিয় হয়ে ওঠলেন। ক্ষমতার বাইরে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মীদের নামে মামলা হলেও, জেল জুলুম হলেও, পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া এই ঘাতকদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনা হল না। সরকার প্রধানের সাথে মিটিংরত ঘাতককে দেশের পুলিশ কোথাও খুঁজে পেলনা। গণদাবীর মুখে শুধুমাত্র লোক দেখানোর জন্য দু'দিনের জন্য জেলখানায় নিয়ে জামাই আদরে রাখা হল। পরবর্তীতে আবার মুক্ত করে দেয়া হল।


যুদ্ধাপরাধী দের বিচার হবে তাও নাকি যারা শুধু ঢাকায় ছিল শুধু তাদের। যেন ব্লেয়ার কে দায়িত্ব দেয়া বুশের বিচার করতে।

যুদ্ধাপরাধীর বিচার, ৯৬ দিনেও ১ জন অপরাধীর বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিতে পারেনি

”রাজাকারেরা...মূলত সাহায্য করবে গ্রামাঞ্চলে, যারা চিহ্নিত করতে পারবে মুক্তিযোদ্ধাদের”, একজন পাকিস্তানি আর্মি অফিসারের ভাষ্য; সরকার ইতিমধ্যে পরিকল্পনামাফিক ৩৫,০০০ এর মধ্যে ২২,০০০ রাজাকার নিয়োজিত করেছে । [নিউ ইয়র্ক টাইমস, জুলাই ৩০, ১৯৭১]

এক নজরে :৭১ –এ স্বাধীনতা বিরোধী চক্র
সাধারণ আর্মি - ৮০,০০০
র্যা ঞ্জার এবং মিলিশিয়া - ২৪,০০০
সিভিলিয়ান ফোর্স - ২৪,০০০
রাজাকার, আল-বদর এবং আল-শামস – ৫০,০০০ (প্রায়)

আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব বিদেশী অবদান রেখেছে সরকার তাদের আগামী স্বাধীনতা দিবসে সংবর্ধনা দিতে যাচ্ছে। ঐ সমস্ত বিদেশীদের পুরো পরিবার নাকি দাওয়াত করে আনা হবে। বিদেশ বলতে আসলে কোন কোন দেশ বোঝাচ্ছে? দীপু মণির পাশে বসা শাহরিয়ার কবিরকে দেখে অবশ্য স্পষ্টই বোঝা যায় এসব তথাকথিত সম্মাননা আসলে কাদের স্বার্থে? আমার প্রশ্ন, স্বাধীনতার ৪০ বছরে আমরা এমন কি সমৃদ্ধি অর্জন করেছি যে এরকম একটি শৌখিন বিষয় নিয়ে আদিখ্যেতা দেখাতে হবে? যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, আমরা কি পেরেছি আমাদের সেই আত্মত্যাগী মহান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ‌্য সম্মান দিতে? তাহলে, এসব লোক দেখানো আয়োজন করে দেশের সিকি পরিমাণ লাভের সম্ভবনা আছে কি? এই আয়োজনে যে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হবে সেটার বিনিময়ে আমরা দেশের নাগরিকরা কি পাব?

বাংলাদেশ জহাজ কাটবে, জাহাজ রফতানী করবে, কোটি কোটি টাকা আসবে দেশে। দেশের কোটি কোটি মানুষের চিন্তা না করে, দেশের পানি, বনান্চল ধ্বংস করে হাতে গোনা কজন মানুষ কোটি টাকার মালিক হবে। বন কাটলে নাকি ব্যাংক লোনও বেশী দেয় এই ব্যাবসায়ে বিনিয়োগের জন্যে। কত যে সহজ বাঙ্গালীদের বোকা বানানো

পৃথিবীতে সবচেয়ে কম গতির ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী বাংলাদেশ। তারপরও ভারতে ইন্টারনেট রপ্তানীর জন্যে টেন্ডার আহবান করা হয়েছে।
সেই সাথে ভিস্যাট ব্যাবহারে বাধা সরকারের।
কাল না বিদ্যৎ রফতাণীর টেন্ডার না দিয়ে বসে।

ভারতকে এবার টেলিকরিডোর দেয়া হচ্ছে। ভারতী এয়ারটেল ও রিলায়েন্স কমিউনিকেশন্স যৌথভাবে বিটিআরসির কাছে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কের টেলিকরিডোর স্থাপন করার অনুমতি চাওয়ায় সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি। তবে এ বিষয়ে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে।

এয়ারটেল গত বছরের শেষ দিকে টেলিকরিডোর দেয়ার আবেদন করে। জানা গেছে, এ করিডোর দিয়ে তারা ফাইবার অপটিক ক্যাবল স্থাপন করে উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭ রাজ্যের সঙ্গে টেলিযোগাযোগ সহজ ও সস্তা করতে চায়। তারা আসামে টেলিকরিডোরের জন্য দুটি রুটের প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো কলকাতা-মেহেরপুর-ঢাকা-জাফলং এবং অন্যটি কলকাতা-মেহেরপুর-ঢাকা-কুমিল্লা-আগরতলা রুট। বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলো ভিস্যাটের মাধ্যমে ভারতের কেন্দ্র ও বহির্বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত, যা খুবই ব্যয়বহুল। এবং বর্তমানের এই সাজানো টেন্ডারে এই কোরিডোরে ব্যাবন্ডউইথ দেয়া হবে অর্থাৎ ভারতে ইন্টারনেট রফতানী করা হবে। এর মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতে টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট ইত্যাদি সস্তা হবে ও বিনিময়ে বাংলাদেশ কিছু চার্জ বা ভাড়া পাবে। উল্লেখ্য টেন্ডারের ব্যান্ডউইথের স্টন্ডার্ড প্রাইস ধরা হয়েছে বর্তমানে দেশে ব্যান্ডউইথের মূল্যের তিন ভাগের এক ভাগ।




পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বলে বসেছেন, ভারতের বদৌলতে কিছু পরিমাণে হলেও পানি যে পাওয়া যাচ্ছে
সেটাই নাকি আমাদের ‘সৌভাগ্য'


এবং এতেই আমাদের খুশি থাকা উচিত! মন্ত্রী আরও বলেছেন, ভারত নাকি উজানে পানি প্রত্যাহার করছে না! এ এক অতি চমৎকার ‘আবিষ্কার' বটে! রমেশ চন্দ্র সেনকে তাই বলে দোষ দেয়া যাবে না। কারণ, তিনি তার পূর্বসুরীকে অনুসরণ করেছেন মাত্র। স্মরণ করা দরকার, ১৯৯৮ সালে ভারত ফারাক্কাসহ বিভিন্ন বাঁধের গেট খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে তলিয়ে দেয়ার পরও তখনকার পানিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেছিলেন, ‘উজান' দেশের পানিতে ‘ভাটির' দেশ বাংলাদেশকে সব সময় ‘ডুবতেই' হবে! এমনটাই ভারতের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের মনোভাব।

এমন মন্তব্যের যৌক্তিকতা বুঝতে হলে শুরুর দিকে দৃষ্টি ফেরাতে হবে। বস্তুত স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ভারতের পানি আগ্রাসন শুরু হয়েছিল। এর উপলক্ষ তৈরি করেছিল ১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি। সে বছরের ১৬ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ফারাক্কা বাঁধ চালু করার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছিলেন। কথা ছিল, ফারাক্কা বাঁধ সম্পূর্ণরূপে চালু করার আগে শুষ্ক মৌসুমে প্রাপ্ত পানির পরিমাণ নিয়ে উভয় পক্ষ যাতে সমঝোতায় আসতে পারে সেজন্য ভারত প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে ফিডার ক্যানেল চালু করবে। কিন্তু ৪১ দিনের পরও ভারত ফিডার ক্যানেল দিয়ে পানি সরানো অব্যাহত রাখে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো চুক্তি না করেই ১৯৭৬ সালের শুষ্ক মৌসুমে একতরফাভাবে গঙ্গার পানি নিয়ে যায়। এর ফলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। এর প্রধান কারণ ছিল ফিডার ক্যানেল দিয়ে ভারতের পানি সরিয়ে নেয়া।

এভাবেই শুরু হয়েছিল ভারতের পানি আগ্রাসন। এর প্রতিবাদে ভাসানীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঐতিহাসিক ‘ফারাক্কা মিছিল' (১৬ মে, ১৯৭৬)। ১৯৯৬ সালে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর। সে বছরের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গার পানিবন্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর পর, ১৯৯৭ সালের মার্চেই ভারত আগ্রাসনকে আরো প্রচন্ড করেছিল।

মানুষ পরিবর্তন দেখতে চায় কিন্তু করতে চায় না।

অপেক্ষা করতে থাকেন, তবে সেনা হত্যা, ত্রাণচুরি, বাজেট এর নামে শুল্ক ফাকি, টিপাইমুখি, এশিয়ান হাই ওয়ে, বিদেশে অর্থ পাচার, রাজনইতিক হত্যা, দেশের সাথে প্রতারণা এমন অনেক কারণেই একদিন এই আওয়ামী, বিএনপি এর বিচার আপনারা চাইবেন কিন্তু আরও ৩০ বছর লাগবে এই আর কি।

৭ কোটি মানুষের সাথে প্রতরণার থেকে ১৬ কোটি মানুষের সাথে প্রতারনা বেশী অন্যায় মনে করি। তাই ৩০ লাখ হ্ত্যার থেকে ১৫ কোটি মানুষকে জিবন্ত লাশ বানায় রাখা কি কম অন্যা্য়?

আবার ১/১১ এর আশায় থাইকেন না। সেনাবাহিনী দেশের উন্নতির থেকে নিজেদের উন্নয়ন নিয়ে বেশী ব্যাস্ত। ভারতীয় দালাল, পাকিস্তাণের দালাল, আওয়ামির দালাল, বিএনপির দালাল, তত্বাবধায়ক সরকারের দালাল, সুশীল সমাজের দালাল সব রকমের দালাল দেখলাম। বাংলাদেশের বা বাংলার মানুষের একটা দালাল খুজে পেলাম না।


জেনেটোক্যালি আমরা পরনির্ভরশীল একটা জাতি। গোলামীতে অভ্যাস্ত। আমরা বলি ''আমাদের দেশে একটা ভাল নেতা আসলো না'' তার মানে নেতা আমরাই খুজি। নাহলে গণপ্রজাতন্ত্রি দেশে নেতা দরকার হত না। আমাদের আইডল দরকার হয় কারণ আত্ম বিশ্বাস ও সঠিক শিক্ষার অভাবে। প্রকৃতশিক্ষা বিহীন সচেতনতা কোন কাজে আসে না। সমস্যাগুলো আরো প্রকোট হয় বুদ্ধিজীবি দের হত্যার পর। স্বাধীনতার পরও জহির রায়হান দের মত অনেককেই প্রাণ হারাতে হয়েছে। নিউ জেনারেশন দের মধ্যে আজকাল অনেকেই সচেতন তাও ইন্টারনেট এর কল্যানে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৫ তে যাদের জন্ম তারা কিছুটা হলেও দেশে পরিবর্তন আশা করে। দেখে থাকবেন বাংলাদেশের মানুষ কিভাবে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার সাপোর্টার, ঠিক একই কারণে তারা বিএনপি, আওয়ামিলীগ বা কোন নেতার সাপোর্টার। এটা ব্লাড প্রবলেম, অমুককে আমি চিনি, তমুক আমার কাছের লোক, আমার ভাই এটা, আমার বাপ ওটা , আমার দল জিতসে, আমার দল ক্ষমতায় এটা ভেবেই মানুষ শান্তি পায়। ঠিক যেমন রানী মুখার্জি, প্রিয়ান্কা চোপড়ার প্রেমে পড়ে ঘুম থেকে উঠে দেখে কাপড় নষ্ট। সেই একই কারনে দল সাপোর্ট করা। নিজেকে যোগ্যতর কল্পনা করা বা সেই স্হানে নিজেকে দেখা এটা আমাদের মানসিকতারই একটা অংশ। সেটা শুধু রাজনিতী না সব খানেই দেখা যায়। কাজের লোকেরা মাটিতে বসে খাবার খায়। ওদের প্লেট গ্লাস আলাদা থাকে আমাদের দেশে। ক্লাসে ছেলে মেয়েদের রোল থাকে ১,২,৩,৪,৫ । কে বেটার । শিক্ষার থেকে অন্য কিছু মাথায় বেশি ঢুকিয়ে দেয়া হয় বেশী। এদেশে পরিক্ষার রেজাল্ট মানে উৎসব করা। শিক্ষার থেকে সার্টফিকেট বেশী মূল্যবান। ইন এভারেজ মেধা সংকট। মানবিক মূল্যবোধহীন শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বেশী। আত্ম সচেতনতার অভাব । দৈনিক পত্রিকা মানুষের সাধারণ গেয়ান এর উৎস। আত্ম বিশ্বাসের অভাব। সমালোচনার ভয়ে দর্শকের ভূমিকা পালন করা। এমন হাজার সামাজিক ঘটনা থেকে আমাদের মন মানসিকতাটাই পরনির্ভলশীল ভাবে তৈরী। বন্যার সময়ও মানুষ মসজিদে দোয়ায় ব্যাস্ত থাকে। নিজেরা বন্যা প্রতিরোধ করে না। কেও করবে বা একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে এমন আশায় থাকে। যৎসামান্য কিছু রা যাও কিছু করতে চায়, সমাজ বা পরিবার সাপোর্ট করে না তাই তারাও কেও এগিয়ে আসলে আমিও করব এই আশায় সবাই বসে থেকে কেও কিছু করে না।

এক পর্যায়ে বলেছি, নিউ জেনারেশন দের মধ্যে আজকাল অনেকেই সচেতন তাও ইন্টারনেট এর কল্যানে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৫ তে যাদের জন্ম তারা কিছুটা হলেও দেশে পরিবর্তন আশা করে। এখানেও কিছু ফ্যক্ট আছে। দেশের বয়স, ৩৯। তাই যাদের বয়স ২৫ থেকে ৪৫ আর, যাদের বয়স ৪০ থেকে ৭০ এদের রাজনৈতিক ও সামাজিক মতাদর্শ ভিন্ন কারণ তারা বড় হয়েছে ভিন্ন পরিবেশে। তদুপরী ইন্টারনেট এর কথা এজন্যে আসল কারণ, আমরা আমাদের বাবা , চাচা দের জেনারেশনের কাছ থেকে কিছুই শিক্ষা পাই নাই কারন তারা সবাই ছিলেন হয় ৭২ থেকে ৭৮ না হোয় ৭৯ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত কোন না কোন সরকারের সুবিধেভোগী। তাদের যুগে দেশ টা কোন অবস্হাতেই মূখ্য ছিল না। স্বাধীণতা পরবর্তী যুগে নিজেদের সামাজিক অবস্হানের উন্নয়নের বাহিরে তাদের কোনই ভূমিকা ছিল না। ৯০ এর গণ অভ্যুথ্যান ছিল আসলে শুধুই ছাত্রদের কর্মকান্ড। ঠিক যেমন ৭১ বা ৫২ ও ছিল তাই। আমজনতা থেকে কখনই ভাল কিছু আসে নাই ইনফ্যাক্ট আমজনতারাই বার বার ভোটের মাধ্যমে দেশের ১২ টা বাজিয়েছে। যা কিছু অর্জন শুধুই প্রকৃত শিক্ষিতদের হাত ধরেই। ভাষা, দেশ সব। কিন্তু এই আমজনতাদের কারণেই ক্ষমতা চলে যায় তাদের ভাললাগা লোকগুলোর কাছে। আমার বাপ, চাচাকেই দেখেছি খালেদার রুপের প্রেমে পড়ে ভোট দিতে। না হয় আওয়ামিলীগের জন্যে রক্তদিতে। ৫০ থেকে ৭৫ বয়সের অনেকেই মনে করতেন পকিস্তানি তাদের জন্যে ভাল ছিল। দোষটা তাদের না ইতিহাস অনেক করূণ। আমজনতার ঘুম ভাংগিয়ে লাভ হবে না, হিতে বিপরীত হতে পারে। নিজেরা কজন জেগে কাজের কাজ গুলো করে ফেললেই হয়। ৭১ এও ৭ কোটি মানুষ যুদ্ধ করেনি, ৫২ তেও না। হাতে গোনা কিছু লোক লাগে। তবে নিঃস্বার্থ না। নিঃস্বার্থ হলে সমস্যা। লোক লাগবে যারা বাংলাদেশের ও বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে ভাববে।
--------------------------------------------------------------------------
ফিরে আসি বর্তমানে বা বাস্তবতায়, এত কিছুর পরেও কি প্রধানমন্ত্রী পারতেন না জাতিসংঘে বাংলাদেশের মানুষে জন্যে কিছু বলতে। ভারতের সাথে পানি সমস্যা বা বর্ডার কিলিং এর ব্যাপারে । বিশ্ব শান্তির প্রস্তাব রাখলেন তিনি জানতে ইচ্ছে হয় বাংলাদেশ কি বিশ্বের বাহিরে কোন নরক ?
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০৪
৩৯টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×