সব হিজড়া আজ কবি হয়ে গেছে ।
বেহায়া গলির চিপায়চাপায় খদ্দের-কোলে
দুলে ওঠা, কর্কশ চিৎকার আর
উদলা উরু-নিতম্ব দোলানো একপাল
বিকলাঙ্গ পতিত-পতিতার ফুঁৎকারে এ রাষ্ট্র, এ জনপদ,
এ ভাষা ও বিশ্বাস
এ বাংলার খাল-বিল হাওরবাওরের চিরায়ত ধ্বনি
দিশেহারা আজ ।
যুগোন্ধ এদের সর্বাঙ্গে দুর্গন্ধ । অপরিচ্ছন্ন নগরের নিকৃষ্ট বাঁকে
গাঁজা-গোবরের ধটধারী কুৎসিত খবিশ ।
এদের দেখলে শিশুরা কাঁদে, উচ্চারণ শুনলে জুতা হাতে ওঠে,
এদের নষ্ট দৃষ্টির খাবলায় ছারখার বাংলার মাছুম-মগজ ।
কাজলা দিদির দেশে আজ কোনো বোন নেই, কোনো মা নেই
কোনো ফুফু-দাদী-নানী-খালা নেই-
এদের মাংসাশী চোখে স্তন উরু নিতম্বের কদর্য খাব
ঠোঁটে ললিপপ-ঢেউ
ভালবাসার জায়নামাজে বসা একপাল মাংসাশী, কসাই ।
জালিমের মখমলে গুম হয় এরা, গতরে তা দেয়,
পাছা খুলে পিছে পিছে ঘুরে ।
মাজলুমের আর্তনাদ এদের উলুতোড়ে মিলিয়ে যায়
খোকাহারা মায়ের কান্না হা হা রি রি-তে তলিয়ে যায়
লাওয়ারিশ লাশ এদের গতরের গন্ধে চাঁপা পড়ে
আর প্রতিবাদ ?
দেহকুমে লেপ্টালেপ্টির এক অস্ফুট অনৈতিক আওয়াজ বৈ কিছু নয় ।
এদের পূর্বপুরুষের জবানে জন্মেছিল:
কারার ঐ লৌহ কপাট
ভেঙে ফেল, কর রে লোপাট,
বল বীর, চির-উন্নত মম শির
লাথি মার ভাঙ রে তালা...
আগুন জ্বালা আগুন জ্বালা, কাণ্ডারি হুশিয়ার
অথবা
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়....... ধ্বনিরাগসমূহ !
'কাণ্ডারি বিহীন নাও ফিরে ঘাটেঘাটে' প্রবাদের মতো
আপাতত ইতরের মাহফিলে-
মাংসের স্তুতি গায়, দাক্ষিণা খায় ।
অবশেষে আমিও ইতরের মাহফিলে এলাম ।
ইতরের প্লেট চেটে জাত্যের পোষাক পেলাম ।
ফুজ্জারমেলায় 'কুরছিনামা'-র জয়নাদ ওঠে,
জিগিরে জিগিরে জিভ ঝুকে গুপ্তাঙ্গ-সমান !
প্রশংসিত হওয়ার অমিত সম্ভাবনা আমায় দুলে ওঠলো ছিনালি !
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:০০