ছ্যাকুলারিজ্যামে আটকে পড়া ছানা যখন অবমুক্ত হয় তখন তার কোনো পরিচয় থাকে না। বেওয়ারিশ এসকল পোনার ঔরসেই জন্ম নেয় আই.এস.এস, দায়ুশ, জেম্বি অথবা লাওয়ারিশ জঙ্গিপাল ।
এরা গতরের পড়া শিখে, কাপড়ের পড়া শিখে, ভোগের তছবি টিপে। এরা রূহের খবরে বেখবর, ত্যাগের মহিমায় শূন্য; এরা অশ্রুবিন্দু চিনে না, উপবাসী উদরের পরিচয় পায় না, ভাবের পাঠ পড়ে না।
হাটতে এরা হাত নাড়ায়, এদিকওদিক টিপ মারে, চামড়ায় কুত্তা-কুত্তির চিত্র আঁকে, চলতে চলতে হাবিজাবি আওয়াজ করে, বন্য গোটাগোটা গায়ে বাঁধে আর ভাবে 'স্মার্ট হলুম' !
হৃদয়ের সাথে সম্পর্কহীন এরা ভোগের পণ্যে ঘাটতি পেলে মা-বাবার গলায় চাক্কু বিঁধে, নেশায় বুঁদ এরা নিরপরাধের উপর গ্রেনেড ছুঁড়ে ছুঁড়ে জীবনের খেলাঘর থেকে হারিয়ে যায় !
'নারী' এদের কাছে কেবলি এক মাংসখণ্ড; একখণ্ডের পরে আরেকখণ্ডে খাবলা মারে, মজলিশি আয়োজনে হৃৎপিণ্ডে দাঁত বসায় খিলখিল হাসে, উৎসব শেষে নালা-নর্দমায় ছুঁড়ে ফেলে, সেঞ্চুরিয়ানি আনন্দে আকাশ-বাতাস নাড়ায়, জিভে জিভে হালুয়া বিলায় ।
গুরু-শিষ্যের প্রাচীন ধারণার থুতে লাথি মেরে 'বিপ্লবী' ভাবে । নির্দেশনার খেলাফ পথে কেউ তাকালে চোখ খুলে নেয়, হাতে 'পা' ধরিয়ে দেয়, গুরুপাছায় ফ্লাইং-কিক মেরে বৃষ্টিস্নান করায়।
এদের মর্জিমাফিক চলতে শেখার প্রচেষ্টা আম-জনতার নিত্যদনের ধ্যান। এদের খুশিখুশি ভাব দেখতে পারা আম-পালের জীবনের একমাত্র খাব, একটু এদিকওদিক হলে ওরা পেটের-ধন গ্যান্থিরাঘাতে খুলে আনে, অসহায় মায়ের চোখ পীচপথে হাবুডুবু খায় ।
এরা পিপাসী,
সমুদ্রবক্ষে ওরা ভুল-জল ভুল ভাবে খুঁজে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০