ছোটবেলায় পাটীগণিতের সরল অঙ্ক মনে আছে ছেলে?
সেই যে অঙ্কখাতার চৌখুপী কাটা পাতার
এ মাথা থেকে ও মাথা রেললাইনের মতো মস্ত জটিল অঙ্ক!!
যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ আর প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় ব্রাকেটের
বেড়াজাল কেটে ধাপে ধাপে এগোনো…
সবশেষে খুব সহজ উত্তর!
মনে আছে ছেলে?
আমাদের সম্পর্কটাও কিন্তু ওই সরল অঙ্কের মতোই;
বড্ড জটিল কিন্তু সমাধানের পরে উত্তরটা সহজ!!
আমরা বন্ধু।
খুব একাকী দু’জন মানুষ…
খুচরো সব একঘেয়েমি সরিয়ে,
আটপৌরে জীবনের স্বপ্ন-পোড়া-ছাই ঝেড়ে ফেলে,
দিনশেষে পাশাপাশি চুপচাপ বসে থাকা।
উত্তরটা খুব সহজ, তাই না?
দুঃখকষ্ট গুলোকে ভাগ করে, ভালোলাগা গুণ করে,
অভিমানকে বিয়োগ করে আর লুকোনো ইচ্ছেগুলোকে যোগ করে…
সমাজিক সম্পর্কের সব ব্রাকেটের নিয়ম মেনে
লম্বা হিসেবনিকেশ শেষে আমরা শুধুই বন্ধু।
সরল অঙ্কের জানা উওর…আকাশ আর রিমঝিম।
আকাশের উঠোনে রিমঝিম বাজনা তুললেও
রিমঝিম আকাশকে কখনোই ছুঁতে পারে না।
স্তেফানের মুঠিবন্ধ হাতে অঙ্কের সমাধান শেষে
পড়ে থাকে তামার পান্না, ঠাকুরণের অশ্রুজল।
জানো ছেলে!! প্রতিদিন অঙ্ক কষার সময়ে হৃৎপিণ্ডের ধুকপুকুনি নিয়ে,
নিঃশ্বাস চেপে অপেক্ষা করি।
প্রতীক্ষায় থাকি কোন একদিন হয়তো হিসেবে ভুল হবে …
হয়তো রিমঝিম নামবে আকাশের বুকে…
হয়তো স্তেফানের হাতে মুঠিবন্ধ থাকবে ঠাকুরণের চঞ্চল আঙ্গুল।
এইইই শোন...চলো না কোন একদিন দুজনে মিলে অঙ্ক ভুল করি?
© শিখা (২২শে অক্টোবর, ২০১৭)
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪