somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের পক্ষে বিপক্ষে বাংলাদেশিরা

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শুরু করি কিভাবে মায়ানমার দের উপর এই হামলা শুরু হইছিল সেখান থেকে । প্রথমে রহিঙ্গার সন্ত্রাসীদের আক্রমনে নিহত হয় ৭ বার্মা সেনা । তারপর থেকেই সেনাবাহিনীর অত্যাচার শুরু হয় যা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে । এই সন্ত্রাসী গুষ্টির ফল বহন করছে সাধারন রহিঙ্গা নারী পুরুষ । আর এই নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে আমাদের দেশের এক অসাধু গ্রুপ । জাদের মায়াকান্না শুধু মায়ানমারদের প্রতি কিন্তু নিজ দেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি নেই । সহানুভূতিটা কি শুধু রোহিঙ্গাদের জন্য
রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে এ কথা সত্য । কিন্তু অনেকে একে ১৯৭১ এর সাথে তুলনা করছে বলছে ভারত বাংলাদেশের ১.৫ কোটি শরণার্থীদের আশ্রায় দিয়েছিল আমরা কেন দিবনা । দেখেন ভারত অবেক বড় দেশ ওদের জনসংখ্যার ঘনত্ব ২৭৩ জন প্রতি বর্গ কিলোমিটারে সেখানে বাংলাদেশের ঘনত্ব ১২০০ জনের মত যা পৃথিবীর সব চেয়ে ঘনবসতি পূর্ণ দেশ । অন্য দিকে ভারত ভালভাবে জানত বাংলাদেশ স্বাধীন হলে এরা ফিরে যাবে । কিন্তু আমরা এ কথা জানি রোহিঙ্গাদের আশ্রায় দিলে মায়ানমার ওদের কখনো ফিরিয়ে নিবে না । কিন্তু রোহিঙ্গাদের এই অবস্থায় মায়ানমারের থাকও অসম্ভাব । ওখানে শিশুরা পর্যন্ত আক্রান্ত হচ্ছে । আমরা জোর করে ওদের মায়ানমারে ফিরিয়ে দিলে বিষয় তা অমানবিক হবে । এবং এই লোক গুলোর মৃত্যুর দায় আমাদের উপর পড়বে । আর সত্তব কথা বলতে কি রহিঙ্গারা বাঙ্গাদেশের মত দেশে এসে খাবে কি এদের জমি নেই ঘরবাড়ি নেই । জীবন বাচাতে এদের অধিকাংশই অপরাধ কাজে লিপ্ত হবে কারণ বাংলাদেশ একটি দরিদ্র দেশ এদের দায়িত্ব সারা জীবন রাষ্ট্র নিতে পারবে না । এর আগে যে সব রহিঙ্গারা এসেছে আমরা জানি এদের একটা অংশ ইয়বা ব্যাপ্সা চুরি ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধ মুলক করম কাণ্ডে জরিত ছিল ।আর এরা এসে যে আবার বৌদ্ধদের উপর অত্যাচার করবে না তার কোন গ্রান্তি নেই রামুর সময়ও অনেক রহিঙ্গা কে দেখেছি । তাই এখন উচিত বিশ্বের সব দেশের নেতাদের এক হয়ে এই সমস্যার সমাধান করা কারণ এটা শুধু মায়ানমারের সমস্যা না । আন্তর্জাতিক সমস্যা । সব দেশ এসে মায়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে । এতেই প্রকৃত সমাধান



আমরা চাই সব দেশের সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার হোক তা হিন্দু হোক বা মুসলিমদের উপর হোক । কারণ পৃথিবী থেকে হানা হানি মুক্ত নিরাপদ করার দায়িত্ব আমাদের । নিচের লেখাটুকু ব্লগার Asif Mohiuddin এর কলম থেকে নেওয়া

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চলছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। ২০১২ সালে এই নিয়ে অনেকবারই লিখেছি, কিন্তু এরপরেও বারবার বলা হয়েছে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন নিয়ে আমি নাকি 'যথেষ্ট' পরিমাণ লিখি নি। যারা বলছেন, তাদের প্রফাইলে ঢুকলেই দেখতে পাচ্ছি, হিন্দুদের মালাউন বলে গালাগালি করে তাদের দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার পরামর্শ তারা দিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ হিসেবে দেশের বৌদ্ধদের জবাই করার প্রত্যয়ও তারা ব্যক্ত করেছেন। সেই সাথে, নানা দেশের ছবি সংগ্রহ করে সেগুলোকে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ছবি বলে ফেইসবুকে প্রচার করছেন।
তাই বলে কি আমি রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণের সমর্থন করছি? না, তা তো করছি না। কিন্তু শুধুমাত্র প্যালেস্টাইনে কিংবা ভারতে কিংবা মিয়ানমারে মুসলিমের ওপর নির্যাতন হলে যেই হাহাকার শুনি, যেই কান্নাকাটি শুনি, সেই একই কান্নাকাটি হাহাকার হ্যাশট্যাগ অন্যান্য ক্ষেত্রেও দেখতে চাই। চাকমা মারমা সাওতালদের ওপর যখন বাঙালি সেটেলার মুসলমান আক্রমণ করে, বৌদ্ধ হিন্দুদের ওপর যখন পাশবিক নির্যাতন চালায়, বাঙলাদেশেই, সেসব ফেলে যখন প্যালেস্টাইনের মুসলিমদের নিয়ে দিনের পর দিন হ্যাশ ট্যাগ দেখি, তখন বিরক্ত হই। কিন্তু এই সংখ্যালঘু নির্যাতন থামাবার উপায় কী?
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় বা জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতন থামাবার একমাত্র উপায় হচ্ছে, নিজের দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন স্বীকার করে নিয়ে সেটা সংশোধনের পথ খুঁজে বের করা। ধর্ম এবং জাতিসত্ত্বার ওপর ভিত্তি করে রাষ্ট্র যেন কাউকে অবহেলা না করে, কারোর অধিকার হরণ না করে, সেটা নিশ্চিত করা। এটা না করলে আপনি মিয়ানমারের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ করার অধিকার অর্জন করেন না। আপনি যখনই বলবেন, বাঙলাদেশে হিন্দু বৌদ্ধ আদিবাসীরা খুব সুখে আছে, তখনই পৃথিবীর যেকোন দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বিষয়ে আপনার সকল বক্তব্যই আবর্জনায় পরিণত হবে। আপনি শুধু হাস্যরস সৃষ্টি করতেই পারেন। এটাকে হিপোক্রেসি বলে। আর হিপোক্রেটদের থেকে আর যাই হোক, প্রতিবাদ আশা করি না।
পৃথিবীতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নির্যাতনের ওপর ভিত্তি করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। প্রথম দেশটিতে সবচাইতে ভয়াবহ সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়, এভাবে ক্রমান্বয়ে। তালিকাটি নিম্নরূপঃ
১। সিরিয়া
২। সোমালিয়া
৩। সুদান
৪। আফগানিস্তান
৫। ইরাক
৬। ডি আর কঙ্গো
৭। পাকিস্তান
৮। মিয়ানমার
৯। বাঙলাদেশ
১০। ভারত
দশটি দেশের মধ্যে ডি আর কঙ্গো, মিয়ানমার এবং ভারত ছাড়া বাকি সাতটি দেশ মুসলমান অধ্যুষিত। অনেকগুলোর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। এই তালিকার বাইরে যেসব ইসলামিক দেশ আছে, যেমন সৌদি আরব, সেখানে আসলে সংখ্যালঘু বলেই কিছু অবশিষ্ঠ নেই। অন্য কোন ধর্মের মানুষের প্রকাশ্য ধর্ম পালনের অধিকার পর্যন্ত নেই। মন্দির বা উপাসনালয় তৈরি করা তো দুরের কথা।
এবারে অন্যদের দোষারোপ না করে ভাবুন। ভাবা প্রাকটিস করুন।






আমরা কখনো সাম্প্রদায়িক হামলা চাই না । কারণ এগুলয় ধংস ছাড়া আর কিছুই হয়না । বাংলাদেশে আজ বৌদ্ধরা অত্যাচারিত হলে কাল মায়ানমারের মুসলিমরা অত্যাচারিত হবে । এর শেষ কোথায় ? আসুন আমরা সবাই মিলে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে এগিয়ে যাই সামনের দিকে ।যেদিন আমরা চারিদিকে হিন্দু মুসলিম দেখা বাদ দিয়ে শুধু মানুষ দেখব সেদিনি ই আমরা প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে পারবো । আসুন আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশে একটা অসাম্প্রদায়িকতার চারা রোপণ করি যখনি একে উপড়ে ফেলা হবে তখনি বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে "
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯
১৬টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ট্রাম্প ভাইয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের সদস্য এর মধ্যে এই তিন জন সদস্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

লিখেছেন অতনু কুমার সেন , ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

প্রথম জন হলো: জেডি ভান্স, উনি মেবি ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। ভদ্রলোকের বউ আবার ইন্ডিয়ান হিন্দু। ওনার নাম উষা ভান্স। পেশায় তিনি একজন অ্যাডভোকেট।

দ্বিতীয় জন হলো বিবেক রামাস্বামী। এই ভদ্রলোক আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসল 'আয়না ঘর' থাকতে রেপ্লিকা 'আয়না ঘর ' তৈরির প্রয়োজন নেই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৮


স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৫ই আগস্ট সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় নেমে এসে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসন আমলে অসংখ্য মানুষ কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×