আজ অনেক দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে লিখতে বসলাম । বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন যে আজ চরম সীমায় পৌছিয়ে গেছে তা নিয়ে বলে কোন লাভ হবে না । আজ সাওতাল গারো থেকে শুরু করে সবার জীবন বিপদ্গ্রস্থ । জানি এগুলোর কোন সমাধান হবে না । কিন্তু কথকগুলো বিষয় আছে যা নিতান্তই হাস্যকর শুধু এইটাই অনুরধ এই গুলো বন্ধ করে দিন । নিজেকে আজ বলতে ইচ্ছে করছে আমি মালোয়ান, আমি গারো আমি চাকমা আমি সংখ্যালঘু । বিশ্বাস করেন আমরা আপনাদের দেশে থাকবনা । কেন থাকবো আমরা পরে আছি আমাদের আবেগ নিয়ে । এটা আমার বাবা মার ভুমি জায়গা দেশ । এ গুলোর কি মূল্য আছে বলেনতো? আমার বাপ দাদারা স্বাধীনতা যুদ্ধে গিয়েছিল তাতো অনেক আগে ।তারা কত বোকা ছিল না । গাধারা ভেবেছিলো দেশ স্বাধীন হলে সাম্প্রদায়ীকতা বিলুপ্ত হবে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ গড়ে উঠবে কি লাভ হল ? বিনিময় তাদের ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া হয় , বউ বাচ্চাদের ধর্ষণ করা হয় । বাংলাদেশে তারা যেন তৃতীয় শ্রেনীর নাগরিক । যারা যুদ্ধে গিয়ে তখন মারা গিছিল তারা অনেকটা ভাগ্যবান কারন এই বাংলাদেশ তাদের দেখা লাগে নাই । এ দেশে ধর্মীয় অনুভুতি শুধু একটা সম্প্রদায়েরই আছে বাকি গুলোর কি আসে যায় । ধর্মীয় অনুভূতি কি শুধু সংখ্যাগুরুদের ?
বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় জোঁক হল বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ । এই নাটকের কি দরকার কারণ সংবিধানে আছে এক সাথে ধর্ম নিরপেক্ষতা অন্য দিকে রাষ্ট্র ধর্ম । বুঝিনা একই সাথে দুই রুপ কিভাবে সম্ভাব । বাংলাদেশের সঙ্খালঘুদের সবচেয়ে বড় আস্থার নাম প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা । সবাই তার দিকে মুখ চেয়ে আছেন । কিন্তু তিনি নাসির নগর হামলা বা সাঁওতাল পল্লীতে হামলা নিয়ে মুখ খোলেননি কেন খুলবেন এ ধরনের ঘটনা ঘটলে মুসলমানদের তার উপর জনপ্রিয়তা বাড়বে । ভোটই তো সব, হিন্দুরা দেশে থাকলে ভোট পাওয়া যায় আর চলে গেলে জমি পাওয়া যায় । কি হবে পুজা দাসের মত বাচ্চারা ধর্ষণ হলে ? ও তো মালয়ানের বাচ্চা । আমার কথা না আপনাদের মন্ত্রীর কথা । যে এখন ও মন্ত্রী আছে । ও যদি লতিফ সিদ্দিকি হতো তবে এত দিন জেলে যাওয়া লাগতো ।
সংখ্যালঘুদের হয়তো ঘরবাড়ি দেওয়া হচ্ছে । কিন্তু তাদের মনের যে বিশ্বাস এ যে আঘাত লেগেছে তা কিভাবে পুরন করবেন ? আর একটা অনুরধ আওয়ামিলীগকে আর ধর্ম নিরপেক্ষ দল বলে বিব্রত করতে চাই না । আপনাদের সাধারন সম্পাদকতো বলেই দিছেন রাষ্ট্র ধর্ম পরিবর্তন করার কোন ইচ্ছা নেই । আর প্রধান মন্ত্রী ও বলেছিলেন যে দেশ চলবে নবীজীর দেখানো পথে । তবে সমস্যা কি দলের গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এনে ইসলামিক দল ঘোষণা করুন যা জামাত করেছে । ওদের এই সৎ সাহস আছে । মুখে মধু অন্তরে বিষ না । তাহলে হবে কি সঙ্খালগুরা ও নিবিচারে দেশ ছাড়তে পারবে বা ভারত যদি আশ্রায় না দেয় সবাই এক সাথে আত্মহত্যা করবে তবে তো কারও আর তিলে তিলে মরা লাগবে না । আর মানবতা মনুসত্তের কি দরকার ও দিয়ে কি ধুয়ে পানি খাবে ? হিন্দুরা যদি মরে যায় তবে তারা এই ভেবে গর্ব করতে পারবে যে তাদের মধ্যে কেউ রাজাকার ছিল না । দেশ মাতৃকাকে জীবন দিয়ে ভালবেসে ছিল । আমি সংখ্যালঘু আমাকে দেশ ছাড়া করবেন না
তবে একটা অনুরধ রইল বাংলাদেশ সিরিয়া আফগানিস্থান হওয়ার আগে সবাই দেশ ছাড়ও কারণ আবার যদি গৃহ যুদ্ধ বাদে তোমরা তো রাজাকার হতে পারবা না আবার ভুল করে যুদ্ধে যাবা যুদ্ধে জয়ের পর কয়েকদিন আনন্দে লাফালাফি করবা । পরিণতি আবার একই হবে । জানিনা কি আমাদের পরিণতি । বাংলাদেশ এগিয়ে যাক অচেনার পথ ধরে । শুধু সবার কাছে একটাই অনুরধ আমাদের মারলে রাতের অন্ধকারে পুড়িয়ে মারবেন যাতে করে আপনাদের প্রিয় মুখ গুলো আমাদের দেখা না লাগে । কারণ আপনারা কেউ ছিলেন আমাদের ভাইয়া কেউ ছিলেন চাচী কেউবা চাচা । আমরা কিন্তু বলিনা হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই । আমরা বলি জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিসে ঈশ্বর আর এটাই আমাদের গর্ব ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯