হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় অন্ধবিশ্বাস এনেছে পুরাণ । হিন্দুদের প্রধান ধর্ম গ্রন্ত বেদ এ বলা হইছে ঈশ্বর নিরাকার । এবং মানুষ যদি ঈশ্বরকে ভক্তি করে এবং তার উপলব্ধি অনুভাব করে তবে এই সব ধর্মীয় নীতি পূজা অর্চনা আযান এর কোন দরকার হয়না । মানুষ এ গুলো ছাড়া ও আস্তিক হতে পারে তার বড় প্রমাণ জৈন ধর্ম । এখানে তারা এতো পূজা অর্চনার ধার ধারে না তারা শুধু ঈশ্বরকেই বিশ্বাস করে । আমি যদি আমার বাবা মার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকি তাদের দেওয়া সমস্ত উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করি তবে তাদের পা ধুয়ে দিয়ে বা তেল দিয়ে আশীর্বাদ বা দোয়া নেওয়া লাগে না তারা এমনি করেন । তাই সারাদিন ঈশ্বর ঈশ্বর করলাম আর পাপ করে বেড়ালাম এতে কোন লাভ হয় না । হিন্দু ধর্মে মূর্তি পুজার প্রচালন এনেছে পুরাণ । এখানে অনেক কুসঙ্কার আছে । হিন্দুদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা জাতিবেদ প্রথা । আগে মানুষের কর্ম অনুযায়ী ভাগ হতো তা কবে যে জন্ম সুত্রে হয়ে গেছে কেউ জানে না । এক বর্ণের লোকদের সাথে অন্য বর্ণের লোকদের বিয়ে হবে না তাই সে যতই যোগ্য হোক । অনেক বাড়ি আছে যেখানে নিম্ন বর্ণের কেউ গেলে তাদের বাড়ি পানি দিয়ে ধোয়া হয় । এইটা কেন এতে আমরা নিজেদের কেই ছোট করছি । মুসলমানদের ভিতরে শিয়া সুন্নি নিয়ে তো রীতিমতো যুদ্ধ লেগে আছে । একদল তো শিয়াদের মুসলিমই মনে করে না । কিভাবে কবে কখন এই ভেদাভেদ শুরু হল তা কেবল আল্লাহই ভালো জানেন । এই ভেদাভেদ দিয়ে আমরা মানব সভ্যতাকে ক্ষুদ্র থেকে আরও ক্ষুদ্র করে তুলছি । আর সাথে ছোট করছি আমাদের বিবেক বুদ্ধি মনুষ্যত্বকে । হিন্দু ধর্মে অনেক কুসঙ্কার থাকলেও এদের ভিতর মানবতা বোধ ভালবাসা অনেক । হিন্দু ধর্মের মূল কথা জীব সেবা ঈশ্বর সেবা । জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিসে ঈশ্বর । কোথাও বলা হইনি হিন্দুতে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর । বৌদ্ধ ধর্মের মূলনীতি ও অনেক তা এই রকম । ওরা বলে জীব হত্যা মহাপাপ আর পূজা শেষে এই বলে প্রার্থনা করে যেন পৃথিবীর সকল প্রাণী সুখী হোক । কোথাও বলেনা শুধু বৌদ্ধরা সুখী হোক । এই দিক দিয়ে কোরানের শুরু একটা সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিয়ে যে মুসলিম মুসলিম ভাই ভাই কেন এইটা না বলে যদি বলা হতো মানুষ মানুষ ভাই ভাই তবে পৃথিবীটা কি আরও সুন্দর করা সম্ভাব হতনা ।হিন্দু ধর্মকে মানুষ ইচ্ছা মত বিকৃতি করছে যা বেদ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা । নিজেদের গুরুকে তারা করে দেয় ভগবান যার জন্য দেব দেবতার কোন অভাব নেই । এক দল মনে করে হরিচাদ ঠাকুর ভগবান । সৎ সঙ্গের লোকেরা মনে করে অনুকুল ঠাকুর আসল ভগবান ।অনুকুল ঠাকুর এদের মানুষ জীবন দশায় দেখেছে এরা কিভাবে ভগবান হয় ? ইসলামেও আছে এখনো বেঁচে ফার্মগেট এর দেওয়ানবাগী যে নিজেকে নবী মনে করে। আর ফাতেমাকে তার স্ত্রী । এদের জন্য ধর্মের বদনাম হচ্ছে। ইসলামকে সবচেয়ে দুর্বল করছে জঙ্গি আই এস । যতই আমরা অস্বীকার করি যে ইসলামের সাথে এদের কোন সম্পর্ক নেই কিন্তু একথা তো সত্য এরা ইসলামের নাম দিয়েই মানুষ হত্যা করছে । আমরা যতই অস্বীকার করি যতই নিজেদের ধর্মের গুন গান করি কোন লাভ নেই যতক্ষণ ভিন্ন ধর্মের লোক আমাদের ভালো না বলবে । আজ ইসলাম এর লোক গুলকে অন্য ধর্মের লোকেরা ভিন্ন চোখে দেখছে । আমিরিকা ইউরোপসহ উন্নত দেশ গুলো ভিসা দিতে চায় না এর জন্য কারা দায়ী ???
এখনো আমাদের দেশের অনেক লোক এই জঙ্গি আই এসদের সমার্থন করে । তাদের উৎসাহিত করে । এখনো আমাদের দেশের অর্ধেক লোক পাকিস্থানকে সমার্থন করে । কেন মুসলিম দেশ বলে । অথচ যারা তারা যে লক্ষ লক্ষ মানুষ মেরেছে ধর্ষণ করেছে । এই পাপের শাস্তি কে নিবে । পাকিদের নিয়ে কিছু আর বলতে চাই না আগেই লিখেছি বাংলাদেশের পাকি প্রেমীরা ।।
এই যুগে এসে মানুষ যখন চাঁদে লোক পাঠাচ্ছে মঙ্গলে বাসস্থান খুজতেছে আর আমরা পরে আছি ধর্মীয় ভেদাভেদ নিয়ে । মুক্ত পবন কি সব ধর্মের লোকদের বাতাস দিচ্ছে না ? না চন্দ্র সূর্য ধর্ম বর্ন ভেদে আলাদা ভাবে আলো দিচ্ছে । মানব জীবন খুবই ছোট । এই ছোট জীবনে আমরা ধর্মীয় হানাহানি করে আনন্দ তাকে মাটি করে চাইনা । এমন একটা পৃথিবী চাই যেখানে হিন্দু মুসলিম থাকবে একই ছাদের নিচে । ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকবেনা থাকবেনা জাতিভেদ । একে অন্যের মধ্যে আবদ্ধ হবে বিবাহ বন্ধনে । বিলুপ্ত হবে সমস্ত সাম্প্রদায়িকতা। পরবর্তী পর্বে আবার দেখা হবে ........................।। জয় হোক মনুষ্যতের জয় হোক মানবতার পৃথিবী এগিয়ে যাক সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে ।।
পর্ব ১
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮