তখন নগরীতে নিয়মিত কবিতার হাট বসতো
সকাল-সন্ধ্যে শত শত কবিতা প্রেমীদের আসর জমতো
সবাই কবিতা প্রেমী নয়, কিছু কবি প্রেমিকা
মনের অজান্তেই ভেবে নিতাম মন সেবিকা
তারপর কত শত ভালোবাসার ছন্দে
আমরাও জড়িয়ে ছিলান দ্বন্দ্বে
মাঝে মাঝে সীমানা লঙ্ঘিয়ে
কবিতা ছেড়ে রাজনীতি, পৌরনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান
আমার আগ্রহে ছিলো তোমার জীববিজ্ঞান।
সহস্র কাপ বুলেট কফির খরচ বাড়িয়ে
অনুভুত হওয়া কয়েক ক্রোশ দুরত্ব কমিয়ে
ভরাট জমা আসরের থেকে বেরিয়ে
দুজনে মিলে ছিলাম দুজনার ঠোঁট রাঙিয়ে।
এরপর অনেক কিছু.... কবিদের পেটে দুর্ভিক্ষ, মহামারী.... ছন্দে পতন
আমাদেরও সন্ধিতে বিচ্ছেদ। ইত্যাদি ইত্যাদি।
এ রাজ্যে এখন আর কবিতার হাট বসে না,
কবিতা নাকি পণ্য নয়।
তবে কবিতাকে পণ্য করে সেবার তোমাকে একটি নোলক দিয়েছিলাম,
রেখোছো কি যত্নে? নাকি শেয়ারবাজারের শেয়ারে?
সেটাও কি লুটেছে তোমার মহাজন? শুনেছিলাম হয়ত কোন এক বিখ্যাত কবিতায়!
সংবাদ নাকি মূলত কাব্য, [১]
সেটাও আজ পণ্য।
যাক সে কথা,
এখন অনেক কিছুই বোঝা,
জীবন তো আর কবিতার মতো সহজ নয়, তোমার মতই দুর্বোধ্য।
তবুও আমি তোমাতে আসলে আবারো অবুঝ কবি হতে চাই,
ইচ্ছে করেই দু'চার লাইন আবেগের ছাপ রেখে যাই।
আমদের ছন্দ যেটুকু হারিয়েছে,
তা কি একেবারেই হারিয়েছে? [২]
যদি খুঁজে আবার মিলিয়ে নেওয়া যেত দ্বন্দ্বে!
নোটঃ
[১] এটা কবি মারজুক রাসেলের মুখে শুনেছিলাম
[২] রবীন্দ্রনাথের হঠাৎ দেখা তে অনুকরণ করে
*এটা মৌলিক কোন লেখা না। হোম কোয়ারান্টাইন এ সময় কাটাতেই। (কবিতায় কেউ কখনও এমন করছে কিনা জানিনা)