;;
;;
;;
এই পোস্টটি পড়িলে আপনি জানিতে পারিবেন বাসর ঘরে কোন ব্লগার কি করিবেন, সহধর্মীনিদের ক্ষপ্পরে পড়িয়া তাহাদের কি দশা হইবে অথবা তাহাদের ক্ষপ্পরে পড়িয়া তাহাদের সহধর্মীনিদের কি দশা হইবে। তাহা হইলে আসুন ভাই বোনেরা যাওয়া যাক মূল পোস্টে। সাথে আছেন ব্লগেষক আলিম আল রাজি।
হাসান মাহবুবঃ
বাসর ঘরে হাসান ভাই। নতুন ভাবী লাজুক মুখে বসে আছেন। দুরু দুরু বুকে হাসান ভাই এগিয়ে যাবেন ভাবীর দিকে। থুতনীতে হাত দিয়ে ভাবীর মুখ উপরে তুলবেন। ঘরে তখন পিন ড্রপ সাইলেন্স। হঠাৎ হাসান ভাই বলে উঠবেন-
-"সন্ধ্যার সুভ্যনীরে দেখা হয়েছিলো তোমার সাথে। তারপর আমি রঙ সময় ও মৃত্যু বিষয়ক চিন্তা থেকে নেই অবসর। যন্ত্রহীনতার যন্ত্র মন্ত্র ভুলে প্রেমে পড়ে যাই তোমার। তারপর... আজকের অলংকৃত অন্ধকারে তুমি শুধু আমার হবে। আমাদের এই ফুল শয্যায় সবার প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। তোমাকে জড়িয়ে আজ আমি হবো এক ঘর্মাক্ত মানুষ।"
এইসব কঠিন কথা শুনে ভাবীর তখন আক্কেল গুড়ুম।
বলে কি এই ছেলে!
- "এই তুমি এইসব কি বলতেছো! আমি তো কিছুই বুঝতেছি না।"
হাসান ভাই জবাব দিবেন-
"হে আমার খেয়ালী প্রেমিকা! আজ নগরীর সব আলো নিভে গেছে। আজ না হয় আমরা বোঝার অনুভূতিকে পাশ কাটিয়ে গেলাম।"
ভাবী এবার পুরো আতংকিতো! ও মাই গড! এতো পুরো পাগলের পাল্লায় পড়লাম। ক্রুব্দ স্বরে ভাবী বলে উঠলেন-
-"থাকবো না তোমার সাথে। এতো কঠিন কথা কও কেনো ম্যান। আমি গেলাম বাপের বাড়ি। বাব্বাই।"
হাসান ভাই এবার বলবেন-
-"যাও। আমার আপত্তি নেই। এই শীতের শহরে অসংখ্য ক্ষুদার্থ মানুষের একজন না হয় আজও ক্ষুদার্থ থাকলো। যাও।"
ভাবী হন হন করে ছুটে যাবেন।
হাসান ভাই ও দিকে ভ্রুক্ষেপ করবেন না। তার মাথায় নতুন গল্প এসেছেঃ “একটি কাক ও কয়েকটি রাত”
************************************************
ফিউশন ফাইভঃ
ভাবী হাত পা গুটিয়ে লাজুক ভঙ্গীতে খাটে বসে আছেন। দুরু দুরু বুকে অপেক্ষা করছেন কখন আসবেন ফিউশন ভাই। “আর কতো রাত একা থাকবো” টাইপ ব্যাথা আজকের এই ফুলশয্যার মাধ্যমে শেষ হতে যাচ্ছে। ভাবী উচ্ছসিত। যদিও ভাবটা প্রকাশ করছেন না।
কিন্তু ব্যাটা ফিউশন এতো দেরী করছে কানো! বাসর রাতে এতো দেরী করার দরকার কি! জীবনে তো একটাই বাসর রাত। নাকি!
দেরী করার জন্য পরে একদিন আচ্ছামতো বকে দিবেন বলে ঠিক করলেন ভাবী।
অপেক্ষায় অপেক্ষায় ক্লান্ত হয়ে গেলেন ভাবী। ঠিক তখনই... হ্যা, ঠিক তখনই ঘরের কোনায় রাখা একটা মাইক্রোফোন কথা বলে উঠবে।
-"এই লক্ষী।"
ভয় পেয়ে গেলেন ভাবী!
-"কে বলছেন!"
- "আমি ফিউশন ফাইভ"
- "কিন্তু তুমি কই? মাইকে কথা বলছো কেনো? সামনে আসো।"
- "তুমি ভুল করছো জানটুশ। ফিউশন কখনো সামনে আসে না। সে একটি মিস্ট্রিয়াস কারেক্টার।"
মাই গড! ভাবীর কপালে ঘাম জমছে।
- "বলো কি এসব। তাহলে আমি ঘর করবো কার সাথে।"
- "কেনো! আমার মায়ার সাথে করবে। আমার অস্তিত্ব না হয় নাই পেলে। কিন্তু মনে রেখো, পেছনে একজন ঠিকই আছে। "
ভাবী এবার রাগ করে উঠলেন।
- "ক্ষ্যাতা পুড়ি তোমার মায়ার। তুমি কে সেইটা বলো।"
-"দুঃখিত। আমি কোন ব্যাক্তিগত প্রশ্নের উত্তর দেবো না। "
ব্যাটা ফিউশন! তুমি থাকো তোমার মিস্ট্রী নিয়ে। কিন্তু আমাকে স্ত্রী বানিয়ে আমার বারোটা বাজালে কেনো?!
প্রচন্ড দুঃখে ভাবী ঠিক মতো কাদতেও পারলেন না।
************************************************
রাজ সোহান
হুড়মুড় করে বাসর ঘরে প্রবেশ করলেন সোহান ভাই। দিড়িম করে বসলেন ভাবীর সামনে। ভাবে সাবে বেশ তাড়াহুড়া ভাব। তাড়াহুড়া দ্দেখে ভাবী কিঞ্চিত টেনশিতো। তার কপালে এই তাড়াহুড়াওয়ালা জুটলো!
প্রথমে সোহান ভাই-ই কথা বলবেন-
-“এই শুনো! আমি না তোমাকে যেদিন পুত্তুম বার দেখি সেদিনই প্রেমে পড়ে যাই।"
- "আমিও।"
লাজুক মুখে বললেন ভাবী।
ভাবীর মুখে এই কথা শুনে সোহান ভাই বললেন
- "তোমাকে উত্তম জাঝা!"
ভাবী অবাক।
-"এইটা কি বললা?"
-"তুমি তো দেখি হরিদাস পাল। জাঝা মানে বুঝ না?"
-"তুমি আমারে হরিদাস পাল বললা? "
- "তো কি বলবো!"
- "জানটুশ বলো। "
- "আব্বে! তুমি তো আমার বউ! জানটুশ তো ডাকতেই হয়। তুমিও আমাকে প্রানটুশ ডাকো।"
- "এই প্রানটুশ।"
-"তোমাকে কোটি কোটি প্লাস। চুম্মা সহকারে প্লাস। প্যাক প্যাক প্যাক!"
- "ভাবী আবার অবাক!"
- "প্যাক প্যাক করলা ক্যান? "
-"ও ইয়ে মানে! প্যাক প্যাক প্যাক। "
ভাবী আতংকিতো! এ কিরকম পাগলরে বাবা। তিনি দৌড়ে ঘর থেকে পালিয়ে গেলেন।
সোহান ভাই তখন প্যাক প্যাক করেই চলেছেন।
************************************************
জিকসেসঃ
জিকসেস ভাই বেশ মুড নিয়ে বাসর ঘরে প্রবেশ করলেন। বাসর ঘরে কি করবেন কি করবেন না এইটা নিয়া তিনি প্রায় ১০ বছর যাবৎ প্ল্যান করে যাচ্ছেন। আজকে সব প্ল্যান বাস্তবায়নের মাহেন্দ্রক্ষন। তিনি প্রথমেই একটা জোক্স শোনানোর প্রস্তুতি নিয়ে ভাবীর(ভাবী নাকি আপু!) কাছে বসলেন। বললেন
- “শুনো এক হাসির গফ। এক ছিলো খলিল”
তখনই ঘটলো ঘটনা। হঠাৎ মেকি রাগ নিয়ে ধমক দিয়ে উঠলেন ভাবী।
- "ঐ! তুমি আমারে জোক্স শুনাইতে আসছো? আমার গিফট কই? বিয়ের আগে তো খুব কটর পটর করলা! বাসর রাতে এই দিবা সেই দিবা। কিন্তু এখন কি!"
ভাবীর অগ্নিমূর্তি দেখে জিকো ভাই পুরা তব্দা! এ কি হলো! বাসর রাত নিয়ে তার এতোদিনের প্ল্যান কি তবে ভেস্তে গেলো।
ভাবী তখন চিৎকার করে যাচ্ছেন।
- "গিফট যখন আনো নাই। তখন আমিই তোমারে গিফট দিবো। গিফট হইলো চিমটি। আইজ পুরা রাইত চিমটা খাইবা।"
এই কথা বলে ভাবী আমাকে ফোন করবেন-
“এই রাজি। তোর দুলাভাইরে আইজ পুরা রাইত চিমটাবো রে। দোয়া করিস! সফল ভাবে যাতে চিমটাচিমটি কার্যক্রম সমাপ্ত করতে পারি।”
এই ফাকে দুলাভাই সটকে পড়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু পারবেন না। জিকো ভাইয়ের পাঞ্জাবীর কোনা ঠিকই ধরে রাখবেন ভাবী।
************************************************
তিনকোনাঃ
তিন কোনা আস্তে আস্তে শরিয়তি নিয়মে বাসর ঘরে প্রবেশ করলেন। গত তিন দিন যাবত তিনি মওদুদীর বই পড়ছেন। নাম “বাসর ঘরের আমল”।
আস্তে করে তিনি বসলেন তিনকোনির পাশে।
তারপর তিনকোনা আর তিনকোনীর যে কথোপকথন হলো তা নিম্নরুপঃ
তিনকোনাঃ معاشرے میں پہنایا جاتا ہے، انڈیا تو وہ ملک ہے ےہ سب کلچر ہے، انہوں نے تو نہےں کہا کہ آپ اپنی شادی بیاہ کی تقاریب میں ان کے گانوں کو ڈانس کرو اور اپنی بیٹیوں
তিনকোনিঃ اجداد نے عمل کیا تو انہوں نے پوری دنیا پر حکومت کی اور آج ہم نے ان کو چھوڑ
তিনকোনাঃ کہ جن پر ہمارے آباﺅ اجداد نے عمل کیا تو انہوں نے پوری دنیا پر حکومت کی اور آج ہم نے
তারপর তিনকোনি উঠে ঘরের আলো নিভিয়ে দিবেন।
************************************************
বি দ্রঃ
** এই শিরোনামে আরো কয়েকটা পোস্ট লেখার ইচ্ছা আছে। সাহস দিলে লিখে ফেলতে পারি।
** এটাকে আমার অন্যান্ন পোস্টের মতো জাস্ট একটা ফান পোস্ট হিসেবে নিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
দ্বিতীয় পর্বঃ
বাসর ঘরে কোন ব্লগার কি করিবেন-২
রিলেটেড পোস্টঃ মরার পরে কোন ব্লগার কি করিবেন!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪৯