শেখ হাসিনা দেখি ভালোই ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু করছেন। প্রথমেই তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের যুদ্ধাপরাধী বানিয়ে জেলে ভরেছেন, এখন নিজের পরিবারের সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধা বানাতে তাদের সনদও আদায় করে নিয়েছেন।... কথাগুলো আমার নয়। উঠতি বুদ্ধিজীবিদের একাংশে এমনই ফিসফাস। ফেসবু্কেও আলোড়ন। নুরুজ্জামান মানিক সেদিন দেখি অফলাইনে ম্যাসেজ রেখে গেছেন, শেখ জামাল তো ১১ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন, রাইট? মানিক ও অন্যরা তাদের সাধ্যমতো জবাব দিয়েই যাচ্ছেন এসব প্রচারণার। আমার নতুন করে কিছু বলার নেই। আমি বরং কিছু যুদ্ধকালীন ছবি তুলে ধরি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের প্রামান্য দলিল এগুলোও।
প্রথমেই শেখ কামালের কথা বলি। বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর প্রথম ব্যাচের ক্যাডেট অফিসারদের একজন। ১৯৭১ সালের ৯ অক্টোবর এদের পাসিং আউট হয়। এরপর সেকেন্ড
লেফট্যানেন্ট শেখ কামাল প্রধান সেনাপতি এমএজি ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শেখ জামাল পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে গৃহবন্দী ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুজিব বাহিনীর একজন সদস্য হিসেবে যুদ্ধ করেছেন। ২ ডিসেম্বর লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের যেসব আলোকচিত্র আসে তার একটিতে সীমান্তের ১০ মাইল ভেতরে একটি রণাঙ্গনে সাবমেশিনগানধারীদের একজন হিসেবে ছবি ওঠে জামালের। শেখ কামালের ছবি আছে অজস্র, তার পাসআউটের, ওসমানীর সঙ্গে বিভিন্ন যুদ্ধাঞ্চলের। তারই কিছু শেয়ার করলাম।
ফেসবুকে মুক্তিযুদ্ধের সংবাদ নামে একটা এলবাম আছে আমার। সেখানে গুতালেও কিছু চমকপ্রদ খবর চোখে পড়বে আপনাদের।
মূল পোষ্ট
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৫