এতে ১৮ বছরের নিচে প্রত্যেককে শিশু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৪ বছরের নিচে কাউকে কোনো সার্বক্ষণিক কাজে নিয়োগ না করার বিধান রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জনমত গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য খসড়াটি বুধবার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং এ সংক্রান্ত প্রকল্পের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ বিষয়ে মতামত দেওয়া যাবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমীন চৌধুরী দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ খসড়া নীতি প্রকাশের ঘোষণা দেন।
যেসব ওয়েবসাইটে খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- িি.িসড়পিধ.মড়া.নফ ও িি.িসংঢ়াধ.িড়ৎম.নফ।
খসড়া শিশু নীতি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমীন বলেন, শিশু শ্রম আইন অনুসরণ করে এতে ১৮ বছর পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তিকে শিশু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এতে বলা হয়েছে, ১৪ বছরের নিচে কাউকে কোনো সার্বক্ষণিক কাজে নিয়োগ করা যাবে না। এতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শিশুদের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নতুন নীতিতে শিশু অবস্থাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে শিশু অবস্থা এবং বয়ঃসন্ধিকাল।
পিতা-মাতা, আইনগত অভিভাবকের লিঙ্গগত, ধর্মীয়, জাতিগত, পেশাগত, সামাজিক, আঞ্চলিক ও নৃতাত্ত্বিক পরিচয় নির্বিশেষে ১৮ বছরের নিচে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের ক্ষেত্রে এ নীতি বৈষম্যহীনভাবে প্রযোজ্য হবে। বর্তমান নীতিতে এটা ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য প্রজোয্য।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামী ১৫ দিন ওয়েবসাইট বা লিখিতভাবে এ খসড়ার ব্যাপারে মতামত নেওয়া হবে। এরপরই এটি চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে তা চূড়ান্ত হবে।
তিনি বলেন, "বিভিন্ন আইনে শিশুর বয়স একেক রকম রয়েছে। নতুন নীতি প্রণয়ন হলে অন্য আইনের বয়সও ঠিক করা হবে। এজন্য আইনি প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হবে।"
নতুন করে শিশু অধিদপ্তর গঠন প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। এতে আর্থিকসহ নানা বিষয় জড়িত। সেসব দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সূত্র-- বিডিনিউজ২৪.কম
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৫