,
এ রকম অনেক শোনা গেছে একটা ছোট্ট শিশু বনে হাড়িয়ে গিয়ে সেখানকার পশুদের সাথে থেকে তার আচরনও পশুদের মত হয়ে গেছে ।কেউ একজন বনে গিয়ে সেখানকার পশুদের সাথে থেকে তার আচরনও পশুদের মত হয়ে যায় । এরকম কোনদিনও হয়নি সেই বনের পশুদের আচরন মানুষের মত হয়ে গেছে ।,
,
প্রেমিকা নামক এই আজব প্রানীদের ভালবেসে অবশেষে ছেলেটি অন্ধকারে হাড়িয়ে যায়,অথবা সুইসাইড করে । এ পর্যন্ত কোন মেয়েকে শুনলাম না প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সুইসাইড করেছে,অথবা বয় ফ্রেন্ড্বর সাথে ঝগরা লেগে সুইসাইড করেছে ।কিন্তু এ রকম অনেক অনেক আছে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ছেলেটি অন্ধকারে হাড়িয়ে যায়,নেশা করে ,সুইসাইড করে ।এমনটা কেন হবে? একটা ছেলে/ মেয়ে কিছু জানোয়ার টাইপ প্রেমিক/প্রেমিকার জন্য কেন মরবে? কেন জীবন থেকে হাড়িয়ে যাবে? এই বিশ্রি ট্রাডিশন কবে বন্ধ হবে?
,
কেউ যদি আপনাকে মাডার করতে আসেন তবে আপনি কি করবেন ?
নিজেকে বাচাতে তাকে মাডার করবেন? না নিজেই ইচ্ছে করে তার হাতে মাডার হয়ে যাবেন? আপনার কি উচিৎ নয় যে অন্যায় ভাবে আপনাকে মাডার করতে এসছে তাকে মাডার করে নিজে বেচে থাকা? তবে আপনি কেন সুইসাইড করবেন? অন্ধকারে হাড়িয়ে যাবেন? নেশায় ডুবে থাকবেন? আপনার সাথে সাথে আপনার পুরো পরিবারের স্বপ্নকে শেষ করে দিবেন?
,
আপনি তো অন্যায় করেননি ।আপনি তো তাকে সত্যিই ভালবেসেছেন।এখন সে পশু টাইপের নষ্ট ছেলে/ মেয়ের জন্য আপনি কেন মরে যাবেন? আপনার তো উচিৎ তাকে মেরে নিজেকে সেফ করা । সে তো মাডারার । ,আপনাকে মাডার করতে এসছে ।আত্নরক্ষার অধিকার সবার আছে ।এই বিশ্রি ট্রাডিশন সেদিনিই বন্ধ হবে ,যেদিন প্রেমিক/ প্রেমিকা নামক কিছু নষ্ট মানুষ আপনাকে মাডার করতে চাইলে নিজের ইচ্ছেয় মাডার না হয়ে তাকে মাডার করবেন । আপনি কেন বুঝতে চাইছেন না?পারছেন না ?সে মারা গেলে পৃথিবী থেকে একটি নষ্ট মানুষ কমে যাবে।তার সংষ্পর্শে আরো কিছু মানুষের নষ্ট হওয়ার যে সম্ভবনা ছিল তা আর থাকবেনা ।কিন্তু আপনার মত একজন ভাল মানুষ মরে গেলে পৃথিবী থেকে একজন ভাল মানুষ কমে যাবে ,খারাপের সংখ্যা বেড়ে যাবে। তাই এই বিশ্রি ট্রাডিশন চেঞ্জ করুন।মিথ্যে ভালবাসার দোহায় দিয়ে নিজে মরে যাবেন না, কোন নষ্ট মানুষের জন্য ।আপনি একবার বিদ্রোহ করুন ,দেখবেন আপনার মত অনেকেই দাঁড়িয়ে গেছে ।তখন আর কেউ এমনটা করার সাহস পাবেনা ।নয়ত এই বিশ্রি ট্রাডিশন আর বহু বছর ধরে চলবে।আপনার মত সংখ্য ভাল ছেলে মেয়ে মরে যাবে ।পৃথিবীতে এই নষ্ট মানুষ গুলো বিচরন করবে ।তারা পৃথিবীর অন্য ভাল চরিত্র গুলোকেও নষ্ট চরিত্রে পরিনত করবে ।
,
আর কিছু ছেলে বন্ধু নামক জানোয়ার আছে তাদের কাজই অন্যের গার্ল ফ্রেন্ড,প্রেমিকা নিয়ে আলোচনা করা ।নাক গলানো ।এই দু পায়া জানোয়ার গুলোকে কখনই প্রশয় দিতে নেই । এরা খুব ভয়ংকর ,খুব ভয়ংকর ।এরা দু মুখো সাপ ।দুদিকেই ভাল সাজতে যায় ।মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে ।আপনি বুঝতেই পারবেন না এই ছেলে গুলো কতটা হিংস্র পশু ।।
,
চলুন আমাদের পৃথিবী আমরা গড়ি । নষ্ট মানুষ গুলোর জন্যে মিথ্যে ভালবাসার দোহায় দিয়ে না মরে বেচে থাকি । বিদ্রোহ করি ,এই সুইসাইড নামক বিশ্রি ট্রাডিশন,অন্ধকারে হাড়িয়ে যাওয়া নামক ট্রাডিশন চেঞ্জ করি ।কাউকে না কাউকে তো শুরু করতেই হবে । আপনিই শুরু করেন । তবে আপনার পরবর্তি যারা আছে তারা বেচে যাবে ।
।
আমি এই লেখাটি একদম বাস্তব সত্যি একটা ঘটনা থেকে লিখেছি।
আমি খুবই দুঃখিত জানোয়ার শব্দটি ব্যবহার করেছি বলে ।এই শব্দ দ্বারা বুঝাতে চেয়েছি তারা কত জঘন্য। আমার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেষ্ট্রি ডিপার্ট্মেন্টের এক ভাইয়া সুইসাইড করেছে ।আমি তাকে পারসোনালি চিনি না ,কারন আমি ফরেষ্ট্রি ডিপার্টমেন্টের নয় । কিন্তু ভাইয়ার সুইসাইড নোট এবং তার পিকচার দেখলাম । এত্ত সুন্দর ,হ্যান্ডসাম একটা ভাইয়া সুইসাইড করে মারা যাবে তা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না । সে মরে গেছে ,আর আমি আমার আম্মুকে বলতে গিয়ে কেদে ফেলছি । এ রকম আর কত ভাইয়া/আপু সুইসাইড করে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে??
----
লেখক ঃ রাহাত চৌধুরী ( দুঃখ বিলসী কবি )