ভক্ত এবং দালাল- দুইটা দুই জিনিস।
রবীন্দ্র ভক্ত এবং রবীন্দ্র দালাল এক নয়।
বঙ্গবন্ধুকে দিয়েই ব্যাপারটা পরিষ্কার করি।
তাজউদ্দিন ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভক্ত আর মোশতাক ছিলেন দালাল।
শেখ মুজিব তাজউদ্দিনকে সরিয়ে দিয়ে মোশতাককে কাছে টেনে নিয়েছিলেন।
মোশতাক সেই ঋণ শোধ করতে দ্বিধা করেনি।
অনলাইনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিও দুইভাগে বিভক্ত। ভক্ত এবং দালাল।
কাদের মোল্লার রায়ে মুক্তিযুদ্ধের ভক্তরা ক্ষুদ্ধ।
দালালরা তুলনামূলকভাবে মাথা ঠান্ডা রাখছে। তাদের বক্তব্য, আহা মাথা গরম করবেন না। এখানে সরকারের কি করার আছে বলুন? তারা এখন হাতে লাঠি দিয়ে অনলাইন দাবড়ে বেড়াচ্ছে। এই রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে যেই স্ট্যাটাস দিচ্ছে, সরকারের সমালোচনা করছে, তাদেরকে ছাগু উপাধি বিলিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাহলে যুক্তি পরিষ্কার, জামাত আওয়ামীলীগের সমালোচনা করে অতএব যারাই আওয়ামীলীগের সমালোচনা করে, তারাই জামাত।
তাহলে কি করণীয়? আমাদের বলতে হবে এই রায়ে আমরা ব্যথিত, তবে আওয়ামীলীগের কোনো ভুল নেই, যত দোষ ট্রাইবুনালের। ( ট্রাইবুনাল গঠন করেছে কে? এই প্রশ্ন করাও মহাপাপ।) ওদিকে আইনেই আছে, ট্রাইবুনালের সমালোচনা করা দন্ডনীয় অপরাধ।
অতএব আওয়ামীলীগের অনলাইন দালালদের প্রেসক্রিপশন হচ্ছে, আমি এই রায়ে ব্যথিত, ব্যাস এই পর্যন্ত লিখেই একটা স্টাটাস দিন। খবরদার এক লাইন বেশিও লেখা যাবে না, এমনকি একটা দীর্ঘশ্বাসও ফেলাও হারাম।
একজন দালাল শেষ পর্যন্ত একজন দালালই থেকে যান। গরুর দালাল, মেয়ে মানুষের দালাল, আওয়ামী দালাল, জামাত দালাল, পাকিস্তানের দালাল কিংবা ভারতীয় দালাল। দালালদের হৃদয় থাকে না, থাকে পকেট। সেই পকেট সময়ে-অসময়ে ঝমঝম করে।
আর ভক্তদের থাকে হৃদয়, সেই হৃদয়ে রক্ত ঝড়ে।
কেন জানি মনে হচ্ছে, শাহবাগ স্কয়ার দালালদের বধ্যভূমি হতে যাচ্ছে।