এই ছবিটায় আল্লাহ্, মুহাম্মাদ- এসব শব্দ আছে, তাই না?
আর এই ছবিটা যেন কোন মসজিদের প্রবেশদ্বার...
এটা? খাঁটি মসজিদ... আল্লাহ্'র ঘর... আদি, অকৃত্রিম, অবিকৃত... সুমহান?
রহস্য এখানেই।
আসুন জেনে নিই কিছু অবগুন্ঠিত তথ্য:
১* ১৮৭০ সালে প্রতিষ্ঠা পায় সংগঠনটি, যার আওতায় আছে এসব বিল্ডিঙ। সংগঠনটি স্বঘোষিত সিক্রেট সোসাইটি- তথা গুপ্ত সংঘ।
২* তাদের নামগুলো শুনুন, আঁৎকে উঠবেন। শ্রাইনার্স= মাজারওয়ালা, মিস্টিক= দরবেশ, মেক্কা শ্রাইনার্স= মক্কার দরবেশ, অ্যানশিয়েন্ট অ্যারাবিক নোবলস= খাঁটি আরব দার্শনিক, মেডিনা অডিটোরিয়াম= মদিনার চত্ত্বর...
আর এটার নাম মেক্কা টেম্পল... মক্কার উপাসনালয়?
৩* এখন তাদের যে প্রতিষ্ঠানটার নাম ল্যান্ডমার্ক থিয়েটার, আগে সেটার নাম ছিল দ্য মস্ক... দ্য মস্ক? মসজিদ?
এই হল দ্য মস্ক... মসজিদ
৪* এখন যেটার নাম নিউ ইয়র্ক সিম্ফনি হল, আগে সেটার নাম ছিল সালাম টেম্পল...
৫* এই ভবনগুলো কোন মসজিদ নয়, বরং তারা নিজেরাই নাম দিয়েছে- টেম্পল তথা মন্দির। আগে, যখন তারা প্রকাশ্যে জানাত না যে, তারা অমুসলিম, তখন নাম দিত শ্রাইন অডিটোরিয়াম। পরে, মিডিয়ার যুগে প্রকাশিত হয়ে গেলে তারা ধরণ পাল্টায়নি, শুধু নামটা দিয়ে দিয়েছে টেম্পল।
৬* এমন টেম্পল আছে মোট ২০০ টিরও বেশি, সারা পৃথিবীতে।
৭* তাদের নথিবদ্ধ সদস্য সংখ্যা ৩ লাখ ৪০ হাজারের বেশি।
৮* তারা যে মুসলিম নয়, এবং তারা যে অন্য একটা বিশাল গুপ্ত সংঘের শাখা- এই কথাটুকু প্রকাশ করতে সময় নিয়েছে ১৮৭০ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত! গত শতকের মধ্য পর্যায় থেকে তারা প্রকাশ্যেই জানায়, যে তারা একটি বিশাল গুপ্তসংঘের শাখা মাত্র।
৯* এমন সব অঞ্চলে এই শ্রাইনারদের সাংগঠনিক শাখা রয়েছে, যেখানে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা ক্ষয়িষ্ণু অথবা বর্ধিষ্ণু অথবা প্রভাবান্বিত অবস্থায় রয়েছে- অর্থাৎ যেখানে মুসলিম বিষয়ক ব্যাপারগুলোকে প্রভাবিত করা যাবে। যেমন? মিন্দানাও, ফিলিপাইন।
১০* শ্রাইনার্স রহস্য প্রকাশিত হয়ে যাবার পর তারা বলে ওঠে, সংগঠনটা মূলত হাস্যরসাত্নক... হাস্যরস বিষয়ক একটা গুপ্তসংঘ? তাও আবার দেড়শ বছরের পুরনো? তাও যারা কাজ করে শুধুমাত্র ভবিষ্যতে যেখানে মুসলিম প্রভাব তৈরি হতে পারে, এমন সব ক্ষেত্রে? তাও আবার তাদের বেশিরভাগ কাজ শুধু শিশু নিয়ে? তাও আবার শিশুর চিকিৎসার মত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে?... প্রভু, কত দেখাবে?
১১* হ্যা, তাদের মূল বিচরণক্ষেত্র এমন সব অঞ্চল, যেখানে এখনো মুসলিম ধর্মটার পরিচয় সাধারণ্যে প্রকাশিত নয়- যেমন? তাদের মূল প্রভাব উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, পূর্ব এশিয়া, ওশেনিয়া, উত্তর আফ্রিকা...
১২* এই যে নানা নামে তারা কাজ করছে, মূলসূত্র কী? তাদের লোগো থেকে মূলসূত্র ধরতে পারার কথা...
মেক্কা শ্রাইনার্সের মূলসূত্র ধরার চেষ্টা করুন তো! আপনি পেরেছেন। নবী দ. কর্তৃক নির্ধারিত ইসলামের চিহ্ন নতুন চাঁদের ভিতর দিয়ে ভোজালি চালিয়ে দেয়া, আর চাঁদের গায়ে লেখা- মক্কা!
এবার চেষ্টা করুন তাদের বর্তমান আন্তর্জাতিক লোগো থেকে কিছু বের করার-
এখানে, একটা তলোয়ার শুরুতে- অর্থাৎ শক্তিমত্তা ও জোরজবরদস্তি দখল। তলোয়ারের গায়ে ডেভিলের মুখচ্ছবি। তার থেকে ঝুলছে উল্টো একফালি চাঁদ- অর্থাৎ ক্রাইস্টের যেমন অ্যান্টিক্রাইস্ট তেমনি ইসলামের উল্টো অ্যান্টি ইসলাম। চাঁদের গায়ে ফারাও এর চিহ্ন অর্থাৎ ফিরআউন, ফেরাউন, অ্যান্টি মোজেস- মুসা আ.'র অ্যান্টিতে যে শক্তি কাজ করেছিল সেটা। তারপর, সেখান থেকে ঝুলছে তারা। ঠিক হ্যায়। তারা তো ভাল ইসলামিক চিহ্ন। কিন্তু তারার মাঝখানে পিরামিড- ফারাও চিহ্ন। এবং বর্তমানের নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বলতে যা বোঝায়, সেটা। প্রাচীণ ধর্মবিরুদ্ধ শক্তির উত্থান। আরো আছে, অন্য পোস্টে আসবে আশা রাখি...
১৩* তাদের নাম Ancient Arabic Order of the Nobles of the Mystic Shrine, সংক্ষেপে, A.A.O.N.M.S. ! অক্ষরগুলোকে সাজান! এমএএসওএনএস এর রূপ! মেসনস... সুধী, ওরা গত অর্ধ শতাব্দী ধরে স্বীকার করে প্রকাশ্যে, যে ওরা মেসনের এক শাখা সংগঠন! পরিচয়... নিষ্প্রয়োজন।
লক্ষ্য করুন, এখানে তেরটা পয়েন্ট আকারে দেয়া হয়েছে রহস্যগুলো।
তের কার সংখ্যা?
অবগুন্ঠিত সিরিজ:
১. অবগুন্ঠিত ৫০ : ধর্মীয় ৫০টি তথ্যের প্রায় সবই অজানা হতে পারে
২. অবগুন্ঠিত আরো বারো: ধর্মীয় এই তথ্যগুলোর সবই অজানা হতে পারে
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:২৭