somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অবগুন্ঠিত ৫০ : ধর্মীয় ৫০টি তথ্যের প্রায় সবই অজানা হতে পারে

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
চমকপ্রদ তথ্য। সেইসাথে একটা সামগ্রিক যোগ-বিয়োগ...



ছবি: বর্তমানের বিরানভূমি। জান্নাতুল বাকী।

1. বৌদ্ধরাও মুসলমানদের মত চান্দ্রমাস অনুসরণ করেন।
2. শ্রীকৃষ্ণ, মূসা আ., মহামতি বুদ্ধ, ঈসা আ., রাসূল সা.- এঁরা সবাই নির্জনতায় বিশাল সময় নিয়ে ধ্যান করেছেন জীবনের প্রথমদিকে।
3. মহামতি গৌতম বুদ্ধ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন শেষ বুদ্ধের বিষয়ে, অশিতীবর্ষ সহস্রায়ুষ্ক পরে, মানে ঠিক এক হাজার আশি বৌদ্ধ বছর পর ঠিকই সেই শেষ বুদ্ধ রাসূল দ. আগমন করেন।



4. জিসাস ক্রাইস্ট তাঁর অজানা বছরগুলোয় ভারতে এসে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করে সেটার এক মূল শিক্ষার্থী ছিলেন। বৌদ্ধ প্রাচীণ গ্রন্থে তাঁকে ঈসা আ. ও একজন নবী নামে অভিহিত করা হয়। এমন একটা গ্রন্থ তিব্বতের এক মঠে আজো আছে। মূল ডকুমেন্টারি: দ্য লস্ট ইয়ার্স অভ জিসাস ক্রাইস্ট।
5. মহামতি গৌতম বুদ্ধ হিন্দুধর্মেও একজন মহামানব হিসেবে চিহ্নিত। এই কারণেই বুদ্ধদেব / রাহুল/ গৌতম নাম সনাতনে এত প্রচলিত।
6. এখনো অবিকৃত মূল বাইবেল এ মুহাম্মাদিম্ শব্দে রাসূল দ.’র আগমনের কথা আছে।
7. সেই বাইবেলটা আবার তোরা বা তৌরাতের অংশ, তাই ইহুদি ধর্মেও মুহাম্মাদিম্ শব্দে তাঁর মদিনায় যাবার ভবিষ্যতবাণি ও সেখানে তাঁকে গান গেয়ে গ্রহণের বরণনা করা হয়। চ্যাপ্টারের নাম সং অফ সংস বা গানের সেরা গান।




ছবি: সং অভ সংস এর একটি পাতা। বাইবেল ও তোরায়।


8. মূল উপনিষদে আল্লাহ্ শব্দ, রাসূল শব্দ, মুহাম্মাদ শব্দ সরাসরি বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে অসংখ্যবার।
9. অধুনা জাকির নায়েকের আগেই এই বাংলাদেশে প্রাচীণ হিন্দুধর্মে রাসূল দ.’র বিষয়ে লেখা লিখেছিলেন স্বয়ং লালন সাঁইজি, জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম ও বহুভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্।
10. লালন সাঁইজি, জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম ও বহুভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ তিনজনই ছিলেন সূফি ঘরানার।
11. এখনকার চিরশত্রু আরব ও ইহুদিরা মাত্র ২,৫০০ বছর আগে একই পুরুষ থেকে আসেন।
12. সমগ্র ভারত উপমহাদেশে কউ যুদ্ধ করে ইসলাম প্রচার করতে পারেননি। প্রথমদিকে একা খাজা মুঈনুদ্দিন হাসান সাঞ্জারি রা. ৯৭ লাখেরও বেশি সনাতনকে ইসলামে এনেছিলেন শুধু ভালবাসা দিয়ে। তাঁর জীবদ্দশাতেই।
13. ক্রুসেডের সময় এমনও হয়েছে, এক বেলায় যুদ্ধ করে পরের বেলায় যুদ্ধবিরতির সময় বিশাল সংখ্যক মুসলিম সৈন্য ও খ্রিস্টান সৈন্য একত্রে মদ্যপান ও আমোদ করেছে। পরদিন আবার যুদ্ধ। এই হল যুদ্ধকালীন ইউনিভার্সাল আদর্শের নমুনা।
14. এই যুদ্ধে খ্রিস্টান শিবিরের এক মূল নিয়ামক ছিল নারী, মদ ও ঘুষ! স্বীকৃত সত্য। মুসলিম ও খ্রিস্টান- দু জগতেই পরস্পরকে পাশবিক হিসাবে উপস্থাপন করা হত।
15. মজার ব্যাপার, সব ইহুদি রবাই বা হুজুর রা একবাক্যে স্বীকার করেন যে রাসূল দ. সত্য নবী!
16. আরো মজার ব্যাপার, আমাদের শাস্ত্রজ্ঞ হিন্দু পন্ডিতরাও একবাক্যে তা স্বীকার করেন।
17. প্রাচীণ আরবি ভাষা শিক্ষা কঠিন ছিল, কারণ তার কোন আলাদা অক্ষর রূপ ছিল না! ইসলাম ধর্মের শুরুর দিকেও রূপ ছিল না, অথচ সেই অক্ষর ছিল। পরপর চার অক্ষর পাশাপাশি লিখলে উচ্চারণ অনুমানে বোঝা যেত কোনটা কোন অক্ষর। তারা অক্ষরজ্ঞানও নিতেন চার অক্ষর পরপর সাজিয়ে, ফলে সময় লাগত অকল্পনীয় বেশি। ওই শিক্ষা ব্যবস্থার নাম আবজাদিয়া। যেমন, জিম-হা-খা এই তিনটা ছিল হুবহু একই রকম। বা-তা-নুন-সা ও এক। সামান্য খাটো।



ছবি: প্রাচীণ আবজাদিয়ায় লেখা কুরআন।

18. প্রাচীণ আবজাদিয়া আরবিতে কোন নোকতা বা ফোঁটা ছিল না, কোন জের-জবর-পেশ বা আকার-উকারের চিহ্ন ছিল না, এমনকি অক্ষরের মাঝখানে এখন যে টেরিকাটা খাঁজকাটা ব্যাপারটা আছে, সেটাও ছিল না! ওই অবস্থাতেই কুরআন ও হাদিস লিখিত হয়েছে এবং মাত্র দেড়শ-দুশ বছরের মধ্যে বর্তমান রূপ নিয়েছে।
19. অ্যালেক্সান্ডার= আল ইস্কান্দার, আইনস্টাইন= আইনস্তাইন (দিবসের নাম), জিব্রাল্টার= জাবাল আত তারিক, অ্যালজেব্রা= আল জাবুরা, অ্যালকেমি/ কেমিস্ট্রি= আল কেমি।
20. আমেরিকা মহাদেশে আমেরিগো ভেসপুচি এবং কলম্বাসের আগে যান আরবরা। সুপ্রমাণিত বিষয়। এলডোরাডো বা ইনকাদের সোনার নগরীর কথাও আরবরা রেখে গেছে, শুধু সেই স্বর্ণের লোভে স্প্যানিশদের আমেরিকা আক্রমণ এবং ইনকা-রেড ইন্ডিয়ান নিধন।
21. সৌদি আরব আরবের নাম নয়, একটা এক বংশপতির নাম। যেমন, যদি বাংলাদেশের নাম দেয়া হত গোলাম-আজম-দেশ বা গোআদেশ, তেমন একটা ব্যাপার।
22. সৌদি ওই সামান্য গোত্রীয়বংশকে সরাসরি কাজে লাগায় ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিস। কলোনিয়াল ব্রিটেনের গুপ্তকর্মকান্ড প্রতিনিধি, বহুভাষাবিদ হামফ্রের সাথে কাজ করেন ইসলাম ধর্মে এক সম্পূর্ণ আনকোরা ধারণার প্রবর্তক বিন আবদুল ওহাব নজদী। সৌদ পরিবার ও ওহাব পরিবার একত্রিত হয় বিবাহ বন্ধনে। তারপর ইসলামে সাঙ্ঘাতিক রাডিক্যাল চেঞ্জ আসে যাকে ডাকা হয় ওয়াহাবিজম বা ওহাবি মতবাদ হিসাবে। আজো এই দুই পরিবারের হাতেই ক্ষমতা। সৌদ পরিবার রাজনীতি আর ওহাব পরিবার ধর্ম বিষয় দেখে এবং সারা পৃথিবীতে তা প্রচার করে।
23. হিটলার খারাপ- কথা সত্যি। এ নিয়ে দ্বিরুক্তি নেই। কিন্তু হিটলার ছিলেন ক্ল্যাসিক্যাল ইসলাম এর তখনকার শাসন ব্যবস্থার সাথে একজোট। তথা তুর্কি খিলাফত। আর মার্কিন-ইঙ্গরা ছিল ওহাবি ইসলামের প্রতিনিধির সাথে তথা সৌদি রাজবংশ। যদি হিটলার জিতে যেতেন, তাহলে ইসরায়েল নামক জোর জবরদস্তির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পেত না। মধ্যপ্রাচ্যর কৃত্রিম বানানো ক্রাইসিস জন্মাতো না। রাসূলের জাজিরাতুল আরবকে সৌদি আরব নাম দিয়ে সৌদ-ওহাবরাও মক্কা-মদিনার দখলদার হিসাবে নিজেদের উপস্থাপন করে আদর্শের এক্সপোর্ট করতে পারত না।
24. প্রায় ১৪০০ বছরের খিলাফত পতন হয় মহাযুদ্ধের মাধ্যমে। জানেন কি, এক তুরষ্ককেই ইসলাম মুক্ত করার জন্য লেখার ভাষার হরফ পর্যন্ত বদলে দেয়া হয়! হাত কেটে ফেলা হয় প্রত্যেক ধর্মীয় আলিমের, জিহ্বা কেটে নেয়া হয় প্রত্যেক বক্তার, আউটডোর আবরণী পোশাক তথা বোরখা কেড়ে নেয়া হয় প্রতিটা মেয়ের। কামাল আতাতুর্কের ধর্মনিরপেক্ষতার নমুনা- আবদুল্লাহ্ নাম রাখা যাবে না। যে নাম আল্লাহ্’র বান্দা, সেটা ধর্মনিরপেক্ষ না! বিশ্বাস না হলে নিরপেক্ষ উৎসে যাচাই করুন।
25. অসহিষ্ণু যুদ্ধ, ধর্মযুদ্ধের নামে পরমত দলন- এই বিষয়গুলো ইসলামের মোড়কে এসেছে ওহাবি থেকেই। আরবের পূণ্যস্থানগুলোর কী দশা করেছে তারা!
26. আরো মজা পাবেন, অধুনা আল ক্বায়িদাহ্ নেটওয়ার্ক সরাসরি ওহাবি মতাদর্শী। হিজবুত তাহ্রীর, হিজবুত তাওহীদ, জামায়াতে ইসলামী, জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ, আল্লাহ্’র দল- সরাসরি এই একই নব্য মতাদর্শী। তারপর?
27. লিস্ট শেষ হয়ে যায়নি। তালেবান মুভমেন্ট এসেছে দেওবন্দী মুভমেন্ট থেকে। দেওবন্দী মুভমেন্ট কী? সৌদআরব থেকে ওহাবি মুভমেন্ট শুরু হওয়ার আমলে ভারত উপমহাদেশে তা আমদানি করেন সৈয়্যদ আহমদ বেরলভী। তখন, সৈয়্যদ আহমদ বেরলভীর এই অতি নতুন ওহাবী ইসলামের সাথে কিছুটা ক্ল্যাসিক ইসলাম ঝাঁকিয়ে মিশিয়ে যে বস্তু প্রস্তুত করা হল, তার নাম দেওবন্দী ইসলাম। এই দেওবন্দীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মাদ্রাসা, পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্তের হাক্কানিয়া মাদ্রাসা থেকে তালেবানের প্রতিটা শিক্ষক পাশ করে বেরিয়েছিল তারাই অন্যান্য মাদ্র্রাসায় তালেবান বানিয়েছিল।
28. শুধু তাই না, এই মাদ্রাসার আবার নাম আছে, ক্বওমি। জানেন তো? যত সন্ত্রাসের অভিযোগ, সব ক্বওমীতে। বাকিটা আলিয়ায় থাকলে আছে শিবিরের নামে। চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার ভিতরে যেতেই পারবেন না। এক অ্যাটম বোমা ছাড়া সবই থাকার কথা।
29. এমনকি হাক্কানী নেটওয়ার্কও তাদের।
30. এই ওহাবী মুভমেন্টে পরমতঅসহিষ্ণুতার কোন এক ভয়ানক বীজ আছে- যেখানে বিজয়ের সম্ভাবনাও নেই, সেখানেও সশস্ত্র সংঘর্ষ করা তাদের ধরণ। আমরা কোনকালেও বিদেশি শাসন চাইনি। কিন্তু তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে স্রেফ বাঁশ দিয়ে কেল্লা বানিয়ে মারা যাওয়া কোন সুবুদ্ধির কাজ নয়। আমরা প্রচন্ড আবেগাক্রান্ত হয়ে তাদের বীর উপাধি দিব, কিন্তু তার কাজের ফল স্রেফ নিজের প্রাণটাকে খোয়ানো। সমাজে উত্থান নয়, শিক্ষায় উত্থান নয়, সাম্প্রদায়িক সম্পর্কে উন্নতি, এমনকি নিজের ধর্মেও উন্নতি নয়।
31. একটা বিষয় কি খেয়াল করেছেন? গত ৩০০ বছর ধরে ইসলামকে যতটুকু সাংঘর্ষিক রিলিজিয়ন আকারে উপস্থাপন করেছে তারা, ইসলামের আমন্ত্রণকে যতটা দু:সাধ্য করে তুলেছে, পরধর্ম এমনকি নিজের ধর্মের ভিতরও ক্ল্যাসিক ও বহমান মতাদর্শকে যেভাবে দলিত করেছে, মুসলিমের ভিতরে অন্যধর্মজিঘাংসা যেভাবে পুঁতে দিয়েছে, ফলশ্রুতিতে অন্যধর্মাচারীদের মনে যেভাবে মুসলিম বিদ্বেষ পুতে দিয়েছে- তার ফলে আমাদের মুসলিমদের কতখানি মাশুল গুণতে হল? এক খাজা মুঈনুদ্দিন চিশতী শুধু ভালবাসা দিয়ে এক কোটি মুসলিম বানিয়েছিলেন, আর তারা সংঘর্ষ দিয়ে গত ৩০০ বছরে যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে, তাতে শুধু বাংলাতেই মারা গেছে ৩০ লাখ মানুষ! ১৯৭১ সালেই! আজো সেই সাংঘর্ষিক ধর্মের জের বয়ে চলছে... ইরাকে বিশ লাখ, আফগানে পনেরো... হিসাব বাড়ছে তো বাড়ছেই।
32. বাংলাদেশের বেশিরভাগ ক্বওমী মাদ্রাসায় ছাত্রদের মার্শাল আর্ট শেখানো হয়, তারা হরতালে পুলিশের উপর তা প্রয়োগও করে।



33. মার্শাল আর্ট শুরুই হয়েছিল বৌদ্ধ ভিক্ষুদের খালিহাতে আত্মরক্ষার জন্য।
34. জানেন কি, ক্বুরআনের কোন সূরার নাম ছিল না? পরে সুবিধার জন্য নামকরণ করা হয়, কিন্তু এখনো নামটাকে মূল ক্বুরআনের অংশ ধরা হয় না।
35. ইমাম বুখারি-মুসলিম কেউই শুধু সহীহ্ হাদিসের পূর্ণাঙ্গ সংকলন করতে চাননি, বরং তাঁদের হাতে থাকা সামান্য সহীহ্ হাদিস এই গ্রন্থ দুটায় উঠে এসেছিল।
36. বর্তমান পৃথিবীতে সবচে বেশি জনসংখ্যা মুসলিমদের!
37. কিন্তু এখনো সবচে বেশি সংখ্যায় কনভার্শন চলে খ্রিস্টধর্মে।
38. শিখ ধর্মপ্রণেতা গুরু নানক অন্ততপক্ষে ইসলামে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি গ্রন্থসাহেবে নির্দেশ দিয়েছেন- মক্কায় যাবার জন্য।
39. খ্রিস্টধর্মকে জাতিগত ধর্ম থেকে সার্বজনীন করেন পল ও পিটার। জিসাস ক্রাইস্ট নন!
40. মৌলবাদ শব্দটা এসেছে খ্রিষ্টধর্ম থেকে, ইসলাম নয়।
41. মুসলিমরা কখনোই রাজ্য জয় করেনি ইসলামের জন্য, বরং আত্মরক্ষার্থে, সংঘাত এড়াতে অধবা ধর্ম প্রচারের অধিকারের জন্য। রাজনৈতিক বা রাজবংশীয় ব্যাপার হলে ভিন্নকথা-উচ্চাভিলাষীরা ধর্মের ধার খুব কমই ধারে।
42. রাসূল দ. এতটাই পরধর্মসহিষ্ণু ছিলেন, যে তিনি খ্রিস্টানদের মসজিদে নববীতে রিলিজিয়াস প্রে করার অনুমতি দিতেন!
43. তিনি ইহুদিদের মসজিদে রাত্রিযাপন করতে দিতেন।
44. তিনি একজন অমুসলিমের সামান্য লাশটাকেও সম্মান করে উঠে দাঁড়াতে বলতেন। ব্যক্তির সম্মান তো আরো অনেক উর্দ্ধে।
45. তিনি যে কোন ধর্মাবলম্বীর আগমনেই নিজের দেহের পবিত্র চাদর বিছিয়ে বসতে দিতেন।
46. ঈসা আ. সাধারণ মানুষ ও নবী নন। তিনি আল্লাহ্’র পুত্রও নন। ইসলাম তাঁকে বলে রূহুল্লাহ্।
47. সালাহ উদ্দিন আইউবী এতটাই শ্রদ্ধাবান ছিলেন, যে ক্রুশকেও মাটিতে পড়তে দিতেন না।
48. জানেন কি, রাসূল দ.’র ইসলাম আসার আগেও মক্কায় প্রকৃত মুসলিম ছিলেন, যাদের তখনকার ধর্মীয় নাম ছিল হানিফ বা মিল্লাতে ইব্রাহিমি।
49. তাঁর পিতা, পিতামহ, প্রপিতামহ কেউই মূর্তিপূজারী ছিলেন না, বরং ছিলেন হানিফ। এমনকি দু একজন চাচাও হানিফ ছিলেন।
50. তোরা-বা তৌরাতে তাঁর নাম দেখে মদিনার ৫০% ইহুদি রাবাই মুসলিম হয়ে গিয়েছিলেন।

জানেন কি? পৃথিবীতে কোন একক বিষয়ে সবচে বেশি মানুষ মারা গেছে? আমরা সবাই জানি। মহান সৃষ্টিকর্তার নামে! অথচ কী দারুণভাবে ধর্মগুলো পরস্পর যুক্ত! যার যার ধর্ম গর্বের সাথে পালন করে পাশাপাশি হাঁটতে চাই পুরো পৃথিবীর মানুষ। মাত্র ৩০০ বছরের পুরনো সাংঘর্ষিক রূপরেখায় ইসলাম বিবেচ্য নয়। বিবেচ্য মূলধারায়- শান্তি ও কল্যাণ। যার ভাল মনে হবে, গ্রহণ করুক না ইসলাম! মানুষকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়িত করা হোক।

অবগুন্ঠিত সিরিজ:

অবগুন্ঠিত আরো বারো: ধর্মীয় এই তথ্যগুলোর সবই অজানা হতে পারে

অবগুন্ঠিত তেরো: একটি ভয়ানক সত্যি, যা ঢেকে ছিল আমাদের চোখে

ফ্রিম্যাসন্স ওপেন সিক্রেটস- অপসৃত ২৬ অবগুন্ঠন
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৩৩
১৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×