ছাপান্নো হাজার বর্গমাইলে জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কয়েক শত গণকবরের ধারে আজ ভোরে অসংখ্য পবিত্র আত্মা এসেছিলেন। তাঁদের চোখে ছিল প্রত্যাশা, মুখে স্বর্গীয় হাসি। তাঁদের মাঝে পুরুষ, রমণী, শিশু, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা সবাই ছিল। তাঁরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন কোন একটা খবরের জন্য।
সূর্য উঠার আগেই এই ছোট্ট ভুখন্ড টা আলোকিত হয়ে উঠেছিল এই পবিত্র আত্মাদের আগমনের কারণে। কান পেতে ছিলেন তাঁরা খবর টা শোনার জন্য। যেই খবর শোনার জন্য তাঁরা এসেছিলেন সেই খবর টা ফিসফিস করে দু;খিতভাবে তাঁদেরকে জানিয়ে দিয়ে গেল চরম দুঃখিনী ছোট্ট সেই ভূখন্ডের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাতাস আর পাখিরা।
খবরটা শোনার পর আর তাঁরা বেশিক্ষণ অপেক্ষা করেন নি। সবাই চলে গেছেন। দ্বিতীয়বার আর ফিরে তাকাননি তাঁরা। অবশ্য যাওয়ার আগে কয়েকজন তরুণীর আত্মা একবার বেদনাভরে আহত দৃষ্টিতে কয়েক মুহূর্ত তাকিয়েছিলেন সেই ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের দিকে।
তাঁদের চলে যাওয়ার সাথে সাথে আবার অন্ধকার নেমে আসে সেই গণকবরগুলার উপর। হালকা ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায় সেই কবরগুলার উপর দিয়ে। হয়ত ঠান্ডা বাতাসও তাঁদের ঋদয়ের ক্ষত উপশমের চেষ্টা চালাচ্ছে তার নিজের মত করে।
-
-
-
অনেক দূরে কান পাতলে অসংখ্য দীর্ঘশ্বাস এর শব্দ হাল্কা ভাবে শোনা যাচ্ছিল, একসময় তাও মিলিয়ে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৫