somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জিয়াউর রহমানের বায়োগ্রাফি আনটিল ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭১

১৮ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জিয়াউর রহমানের জন্ম ১৯৩৬ সালে ১৯ শে জানুয়ারী কোলকাতায় সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে কেমিস্ট হিসেবে কর্মরত মনসুর রহমানের ঘরে।

১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মনসুর রহমান পরিবারকে বগুরা বাঘবাড়ি গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কিছুদিন পর মনসুর রহমান তার পরিবারকে পুনরায় কোলকাতা নিয়ে যায় এবং জিয়াকে কোলকাতার হেয়ার স্কুলে ভর্তী করেন।

এই স্কুলে তিনি ১৯৪৭ এর দেশ বিভাগ পর্যন্ত পরাশুনা করেন অথার্ৎ পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। উল্লেখ্য অনেক লেখক জিয়ার কথা লিখতে গিয়ে প্রায়ই লিখে ফেলেন এই হেয়ার স্কুলেই জিয়া দেশি চেতনার উন্মেষ ঘটে। সে দিনের কোলকাতার তরুন সমাজের উত্তাল ঢেউকে নেতৃত্ব দেন হেয়ার স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর একজন ছাত্রর। তার ভিতর সেদিনই রাজনৈতিক আদর্শ প্রকাশ পায়। সুভাষ বসু গান্ধীর মত নেতাদের সংস্পর্শে এসে তাদের আদর্র্শে অনুপ্রাণীত হয়ে সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির পক্ষে ছাত্র সমাজকে নেতৃত্ব দেন।

১৯৪৭ এর আগষ্টে মনসুর রহমান চাকুরীতে সরকারের দেয়া অপশন নিয়ে নব গঠিত মুসলিম স্ট্যেইট পাকিস্তানের করাচি চলে আসেন আরও অনেক বাঙালী মুসলমানের মত। করাচিতে এসে মনসুর রহমহন তার ছেলেকে পঞ্চম শ্রেণীতে করাচি একাডেমী স্কুলে ভর্তী করেন। এখানেই কাটে জিয়ার কৌশর ও যৌবনের সূচনা লগ্ন। এাখান থেকেই পাঁচ বছর পর জিয়া ১৯৫২ সালে ম্যাট্রিকুলেশন করে ১৯৫৩ সালে ডি.জে. কলেজে ভর্তী হন। জিয়ার উত্তাল কৈশরের সবটুকুই কাটে করাচির রাজপথে সমাজে।

এবং একই সালে পাকিস্তান সেনাবাহীনিতে যোগদান করেন। পাকিস্তান জাতীয়তাবাদের বদ্ধ ভুমি কাকুল সামরিক একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসাবে দুই বছরের কঠোর অধ্যবসয় পরিশ্রম আর দেশ প্রেমে হাই লেভেল মটিভেশন নিয়ে ১৯৫৫ সালে সাফল্যের সাথে কমিশন প্রাপ্ত হন।

পরবর্তী দুই বছর করাচিতে পোষ্টেড থেকে ১৯৫৭ সালে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে বদলী হন। দুই বছর পর পুনরায় করাচি গিয়ে ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত পাঁচ বছর পাকিস্তান সামরীক গোয়েন্দা ডিপার্টম্যান্ট আইএসআই এ নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

এর মধ্যে ১৯৬০ সালে জিয়া বিবাহ করেন খালেদাকে। বিয়ের কয়েক বছর পর ১৯৬৫ সালে দিনাজপুর থেকে করাচি স্বমীর কাছে চলে যান খালেদা জিয়া।

১৯৬৫ সালে পাক ভারত যুদ্ধে পাঞ্জাবের Khemkaran সেক্টরে একটি কোম্পানীর নেতৃত্ব দিয়ে সাহসীকতা ও দেশপ্রেমের পুরষ্কার হিসাবে জিয়ার কোম্পানী সর্বাধিক বীরত্বের মেডেল পায়। নিজে (Hilal-e-Jurat) হাইলালল-ই-জুরাত খেতাব পান যা আমাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উপাধী বীর উত্তমের সমতুল্য।

জিয়া ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান মিলিটারী একাডেমীতে ইনস্ট্রাকটার হিসাবে যোগদান করেন। এসময়ে তিনি কোয়েটায় Command and Staff College এ উচ্চতর প্রশিক্ষন নেন এবং ১৯৬৯ সালে জার্মানীতে উচ্চতর মিলিটারি প্রশিক্ষনে যান।

পরবর্তীতে ১৯৭০ সালের শেষ দিকে তিনি ৮ম ব্যাটালিয়ানে প্রথমে জয়দেবপুর পরে চিটাগাংয়ে পোষ্টেড হন। এবং ২৫ মার্চের ক্রাকডাউনের একদিন পর ২৭ তারিখ সন্ধায় প্রথমে নিজের নামে নিজেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্র প্রধান ও সর্বাধীনায়ক পরিচয় দিয়ে পরে শেখ মুজিবের পক্ষে অবশ্য অস্থায়ী রাষ্ট্র প্রধান পরিচয় দিয়ে কালুরঘাটে রেডিও স্টেশন থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন।

কারও কোন কনফিউশ থাকলে কইয়েন। দ্বিতীয় খন্ডে দেখানো হবে কি ভাবে তিনি ৩ বছরে মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলেন এবং দশ বছরের মাথায় নিহত হলেন।
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশ, চীন ও ভারত: বিনিয়োগ, কূটনীতি ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:১০


প্রতিকী ছবি

বাংলাদেশের বর্তমান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সমীকরণ নতুন মাত্রা পেয়েছে। চীন সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ও আর্থিক প্রতিশ্রুতি নিয়ে ফিরছেন, যা দেশের অর্থনীতির জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

অদৃশ্য দোলনায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৮:৩৮



ভোরের রোদ্র এসে ঘাসের শিশিরে মেঘের দেশে চলে যেতে বলে
শিশির মেঘের দেশে গিয়ে বৃষ্টি হয়ে ঘাসের মাঝে ফিরে আসে-
বৃষ্টি হাসে শিশিরের কথায়। তাহলে আমরা দু’জন কেন প্রিয়?
এক জুটিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪

ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....

বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে। শনিবার (২৯ মার্চ) এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্রঋণ ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনুস: এক নতুন স্টেটসম্যানের উত্থান

লিখেছেন মুনতাসির রাসেল, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ড. মুহাম্মদ ইউনুস ধীরে ধীরে রাজনীতির এক নতুন স্তরে পদার্পণ করছেন—একজন স্টেটসম্যান হিসেবে। তার রাজনৈতিক যাত্রা হয়তো এখনও পূর্ণতা পায়নি, তবে গতিপথ অত্যন্ত সুস্পষ্ট। তার প্রতিটি পদক্ষেপ মেপে মেপে নেয়া,... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর কেমন হলো ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৮


প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এখনো চীন সফরে রয়েছেন। চীন সফর কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে এক শ্রেনীর মানুষের মধ্যে ব্যাপক হাইপ দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন সাসেক্সফুল সফর আর কোনো দলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×