জাতীয় সংসদে উত্থাপিত টেলিযোগাযোগ (সংশোধিত) আইন-২০১০ বিলটি বর্তমান অবস্থায় পাস হলে আদালতে তা চ্যালেঞ্জ করবে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকল অপারেটর ইন বাংলাদেশ (অ্যামটব)। একই সঙ্গে এই বিলে যেকোনো অপরাধে সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা এবং বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের যে বিধান রয়েছে, সেটিসহ আরও কয়েকটি ধারার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে তারা।
দেশের ছয়টি মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব আজ মঙ্গলবার রাজধানী এক হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছে। ‘সংসদে উত্থাপিত বিল এবং বাজেটে টেলিযোগাযোগ খাতের শুল্ক কাঠামো’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রতিটি মোবাইল অপারেটরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা।
অ্যামটবের দাবি, সংশোধনের অপেক্ষায় থাকা আইনটি এ খাতে মারাত্মক অস্থ্থিরতা তৈরি করবে। ফলে বিদেশি বিনিয়োগেও বড় রকমের প্রভাব পড়বে। ভেঙে যাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন। অ্যামটব মনে করে, ২০০১ সালে প্রণীত বিদ্যমান টেলিযোগাযোগ আইনটিই যথেষ্ট কার্যকর। এটিই বহাল রাখার পক্ষে তারা। সরকারি মালিকানাধীন অপারেটর টেলিটকও অন্য অপারেটরের সঙ্গে প্রস্তাবিত বিলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ওডভার হেশজেদাল বলেন, প্রস্তাবিত এই আইনে টেলিযোগাযোগের অপরাধকে ফৌজদারি দণ্ডবিধির মধ্যে নিয়ে আসা অযৌক্তিক। এ ছাড়া যেকোনো অপরাধে তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন—বিলের এই বিধান দেশের প্রচলিত আইনের সঙ্গে অসামাঞ্জস্যপূর্ণ বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে বিনা পরোয়ানায় একটি কোম্পানির সর্বোচ্চ ব্যক্তিকে (সিইও) পর্যন্ত গ্রেপ্তারের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অপারেটরদের তদন্ত বা অন্য কোনো বিষয়ে বিন্দুমাত্র আপত্তি জানানোর সুযোগ পাবেন না। এতে করে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে আইনের অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে।
বিষয়টি আসলে ভিওআইপি এর টাকা ভাগাভাগি নিয়ে। বলদের দেহ কিন্তু শিয়ালের মত ধূর্ত টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছিলেন দুই মাসের মধ্যে ভিওআইপি ওপেন করে দেয়া হবে। এই তার নমুনা, নিচে আরও দেখুন ব্লগে এদের সম্পর্কে কি কি পাওয়া যায়।
আপডেটঃ আজ বাংলাদেশের ইন্টারনেট রপ্তানীর টেন্ডার আছিল। টেন্ডার পাইছে ভারতের কম্পানী। জটিল হিসাব নিকাশ সহজ করলে যা দাড়ায় তা হলো বাংলাদেশে ব্যান্ডউইথের মূল্যে তিন ভাগের এক ভাগ দামে এই রপ্তানী হচ্ছে। এদেরকে সব তথ্য পাবলিশ করতে বলেন তার পর দেখেন কোথায় কি হইল।
নিচের ছবিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগের তিন দালালকে দেখুন।

প্রথমটা ডিগ্রী (পাস) পাশ রাজিউদ্দিন আহাম্মে রাজু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, দ্বিতীয়টা মেজর জেনারেল অব জিয়া আহাম্মেদ পিএসপি বিটিআরসি চেয়ারম্যান, ইনসেটে সচিব সুনিল কান্তি বোস, সচিব ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়।
কেন ও কিভাবে দালাল দেখুনঃ

১. বাংলাদেশ ইন্টারনেট/ব্যান্ডউইথ রপ্তানী/লীজ দেয়ার টেন্ডার কল করেছে।
২. টেন্ডার নোটিশটির নিচের দিকে দেখুন আগামী কাল মানে ২০ জুন ২০১০ দরপত্র দাখিলের শেষ তারিখ।
৩. কেন এই রপ্তানীঃ অতিগোপনীয়তা বজায় রেখে (কোন মিডিয়াতে বা সরকারের কেউ আজও জনগনকে বলেনি) গত বছর ডিসেম্বরে ভারতকে টেলিকরিডোর দেয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতী এয়ারটেল ও রিলায়েন্স কমিউনিকেশন্স যৌথভাবে বিটিআরসির কাছে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কের টেলিকরিডোর স্থাপন করার অনুমতি চাওয়ায় সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি। তবে এ বিষয়ে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। এ করিডোর দিয়ে তারা ফাইবার অপটিক ক্যাবল স্থাপন করে উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭ রাজ্যের সঙ্গে টেলিযোগাযোগ সহজ ও সস্তা করতে চায়। বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলো ভিস্যাটের মাধ্যমে ভারতের কেন্দ্র ও বহির্বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত, যা খুবই ব্যয়বহুল। ঐ করিডোরে এই সাজানো টেন্ডারের ব্যাবন্ডউইথ দেয়া হবে অর্থাৎ ভারতে ইন্টারনেট রফতানী করা হবে। ওপেন টেন্ডার হলেও টেলিযোগাযোগ সচিব সুনিল কান্তি ভারতের অতি বিশ্বস্ত দালাল সব আয়োজন করে রেখেছে তার পৌত্রিক ভূমি ভারতে ব্যান্ডউইথ দেয়ার।
এই চক্রের কর্তাদের প্রফাইল।
১. জনাব রাজিউদ্দিন আহাম্মে রাজু, মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
২. জনাব সুনিল কান্তি বোস, সচিব ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়।
৩. মেজর জেনারেল অব জিয়া আহাম্মেদ পিএসপি চেয়ারম্যান বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরী কমিশন)
৪. জনাব সুনিল কান্তি বোস, চেয়ারম্যান টেলিটক বাংলাদেশ লিঃ।
৫. জনাব সুনিল কান্তি বোস চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সাবমেরিন কম্পানী লিঃ
৬. জনাব সুনিল কান্তি বোস, সভাপতি ন্যাশনাল ফ্রিকোয়েন্সি এলোকেশন কমিটি।
৭. জনাব সুনিল কান্তি বোস, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ক্যাবল শিল্প
৮. হাসানুল হক ইনু এমপি, চেয়ারম্যান সংসদীয় কমিটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়।
শেখ হাসিনা যেখানে জনগনকে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। যেখানে সরকারের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শতশত কোটি টাকা খরচ করে কম্পিউটার কিনছে ও ওয়েবসাই বানাচ্ছে সেখানে গত দুই বছর ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশের মেরুদন্ড বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের এই দালালগুলি কি করছে তার সংক্ষিপ্ত ফিরিস্তি নিচে দেয়া হলো।
১. বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা বিশ্বের সর্বনিম্ন গতিতে নেটে কাজ করতে হচ্ছে কারন এরা বিশ্বের সর্বোউচ্চ মূল্যে ব্যান্ডউইথ বিক্রি করার কারনে বাংলাদেশের আইএসপিগুলোকে প্রতি ইউজার ৫ কিলোবাইট হারে ব্যান্ডউইথ ডিস্ট্রিবিউশন প্লান করতে হচ্ছে অথচ ২০০৭ সাল থেকে দেশের সর্বপ্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে এরা ৪৫ মেগাবিট ব্যান্ডউইথের ৮০ ভাগ অব্যবহৃত রাখছে অর্থাৎ ব্যবহার হচ্ছে মাত্র ১০ গিগাবিট।
২. ভিওআইপি ওপেন করা নামে দুই বছর যাবৎ খালি কথাই দিয়ে যাচ্ছে এবং প্রতি মাসে শত কোটি টাকা ভাগাভাগি ক
রে খাচ্ছে। অথচ এ সংসদ অধিবেশনে ভিওআইপি ওপেন করার ঘোষনা মন্ত্রী দুই মাস আগে দিয়েছিল।
৩. উপজেলা পর্যন্ত অপটিক ফাইবার স্থাপনের কথা বললেও গত ২০০৯ জানুয়ারীতে সারাদেশে অপটিক ফাইবার স্থাপনের জন্য অপটিক এট হোম নামক একটি মাত্র কোম্পানীকে লাইসেন্স দিয়েছে। ckকি হাস্যকর একটি মাত্র লাইসেন্সসে শুধু ঢাকা শহরের ক্যাবল ঢুকাতেই বিশ বছর লাগবে, সারা দেশ আবার উপজেলা পর্যন্ত ৫০ বছর ?
৪. ভারতের কাছ থেকে হাজার কোটি টাকা খরচ করে স্যাটালাইট উৎক্ষেপনের পরিকল্পনা করছে।
৫. ঢাকায় অল্প একটু এলাকায় ওয়াইম্যাক্স নেটওয়ার্ক বাদ দিলে দেশে কোন ব্রডব্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচর, বা অপটিক ফাইবার না থাকর পরও এদেশে ব্রডব্যান্ডের সবচেয়ে উপযোগী মাধ্যম থ্রিজি ওপেন করার কোন উদ্দোগই নিচ্ছে না। কারন ওয়াইমেক্স থেকে টাকা খাইছে।
৬. মাত্র ১৮ টি আইপি ফোনের লাইসেন্স দিয়েছে।
৭. ঢাকায় এডিএসএল এর নামে শত কোটি টাকা খাচ্ছে।
৮. টেলিটক শেয়ার মার্কেটে আনার জন্য অর্থমন্ত্রী ছয় মাস সময় দিলেও ১৮ মাস চলছে আরও ১৮ বছরেও সম্ভাবনা নাই।
৯. ডিজিটাল বাংলাদেশে পানি বিদ্যুৎ গ্যাসের মত প্রতিটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে বিটিসিএল এর ইন্টারনেট থাকা উচিত থাকলেও সরকারকে একবার আইএসপিগুলির কাছে ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে আবার তাদের কাছ থেকেই ইন্টারনেট কিনে সরকারী অফিসগুলোতে ব্যবহার করতে হচ্ছে।
এছাড়াও আরও হাজারটা ক্ষেত্রে হাজার রকম দুর্নিতি করেছে হাজার কোটি টাকা। যেমন ওয়ারিদের শেয়ার বিক্রিতে কোম্পানীর মূল্য দেখানো হয়েছে ১ কোটি টাকা, রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার জন্য। দুইটা টিভি বন্ধ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সী এফএম সহ অসংখ্য উদাহরন না হয় নাই দিলাম।
এখন বলুন এদের কি করা উচিত ?
আমি বলি এরা মরার পরও কবর থেকে এদের হাড্ডি তুলে এনে ঐগুলিতে কুত্তা দিয়ে মুতানো উচিত।
শেখ হাসিনা যদি আর কখনও বলে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বানাই তাহলে তাঁকে কি বলা উচিত ?