ছোটবেলা থেকেই নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি ছিলো আমার তীব্র আকর্ষন।
কেউ বললো ওটা করা যাবেনা বা ঐদিকে যাওয়া যাবে না, তখনই আমার আগ্রহ আরও বেড়ে যেত আর মনে হত আচ্ছা করে দেখি বা গিয়ে দেখি কি হয়।
আর নিষিদ্ধ জিনিসগুলা যতদিননা সহজলভ্য হত ততদিনই আমার আগ্রহ থাকত। এক্টা ছোট্ট উদাহরন দেই : আমি তখন খুবই ছোট বয়স বড়জোর ৩/৪ বছর। বড় ফুফুর বাসায় বেড়াতে গেছি। ফুফুরা তখন রান্না করতো হিটারে। আর হিটারের কোন প্লাগ ছিলোনা, হিটারের তারে আংটার মত ছিলো, সেটা সুইচবোর্ডের দুইটা খোলা তার (একটা লাল আরেকটা কালো) এর মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হত। আমি, ছোট ফুফু এবং বড় ফুফু রান্না ঘরে । ছোট ফুফু সব্জি কাটছেন আর বড় ফুফু হিটারে রান্না করছিলেন আর আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে হিটারের কয়েল যে লাল হয়ে যায় এটা দেখছি। রান্না শেষ করে বড় ফুফু হিটারের জন্য সুইসবোর্ডে খোলা যে তার সেটা দেখিয়ে বললো খবর্দার এটা ধরবিনা। এটা শুনে হটাৎ করে আমার আকর্ষন আরও বেড়ে গেল। তাই অপেক্ষা করছিলাম কখন বড়ফুফু রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে যায়। বড় ফুফু রান্নাঘর থেকে বেড়িয়ে গেলে আমি আর দেরী না করে লাল তারটা ধরে ফেল্লাম আর বেরসিক ইলেক্ট্রিসিটি আমাকে এমন এক্টা ধাক্কা দিলো যে চৌকখে লালা নীল বাত্তি দেক্লাম । ছিটকেই পড়ে যেতাম ভাগ্যিস বাহাত দিয়ে ছোট ফুফুর শাড়ি ধরে রেখেছিলাম। সেই থেকে বিদ্যুৎ জিনিসটার প্রতি আমার আগ্রহ এবং সমীহ আর বেড়ে গেল। এরপরেও আগ্রহ দেখাইছি তবে সেইফমুডে থেকে। আর এই কারনেই হয়তো আমি আজকে ইলেকট্রিক্যাল মিস্ত্রি ।
শুধু আমার না, প্রায় সবারই মনে হয় নিষিদ্ধের প্রতি কিছুটা আকর্ষন আছে। যেই বই নিষিদ্ধ বা ব্যানড হয় সেটাই হয় বাজারের বেষ্ট সেলার।
আমি অনেকেরই সাথে গল্প করে দেখেছি যে তার পাঠ্য বই পড়তে ভালো লাগে না তবে গল্পের বই পড়তে খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে মনে হয় এক্টা নিষিদ্ধ থেরাপি প্রয়োগ করলে কেমন হয়। যেমন ক্লাস সেভেন স্টুডেন্টদের জন্য ক্লাস সেভেনের পাঠ্য বই নিষিদ্ধ তাহলে মনে হয় আমার মত অনেকেই অল্প কয়দিনেই সবগুলা বই গিলে ফেলবে
এরপরে বড়বেলায়ও অনেক নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আগ্রহ দেখাইছি, সেগুলা শেয়ার কার যাইতো না, টপ সিক্রেট
কিন্তু কেউ যদি তার টপ সিক্রেট " নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আগ্রহ" শেয়ার করে তবে শুনতে খুবই আগ্রহী ।
তো শেয়ার কইর্যা ফালান আপনার ছোট বা বড়বেলার নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আগ্রহ। আলোচনা হইলে আমিও হয়তোবা দুএকটা টপসিক্রেট জিনিস শেয়ার কইর্যা ফালাইতেও পারি