somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেন এরা এরকম? বগ্লারদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন?

১৬ ই আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ আমি আপনাদের একটি প্রেমের কাহিনী বলব।
আমার বন্ধু নাম হৃদয় (ছ্দ্ম নাম)। সে ভালোবাসতে নীলিমা (ছদ্মনাম) একটি মেয়েকে। বন্ধুটি মেয়েটিকে প্রচন্ড ভাবে ভালবাসতো। তার ভালবাসার গভীরতা বর্ণনার দেওয়ার ভাষা আমার জানা নেই। সে হয়তো নিজের জীবনের চেয়ে বেশী ভালবাসতো। সারাক্ষণ তার জন্য ভাবতো। আমার সাথে যখনি দেখা হতো তখনি নীলিমার কথা বলত। উল্লেখ্য- নীলিমাকে আমি কখনো দেখিনি। তার ভাস্য মতে নীলিমাও ওকে প্রচন্ড ভাবে ভালবাসতো। আমি শুধু শুনতাম। শুনতে ভাল লাগতো... খুব ভালো লাগতো। বিশেষ করে ওর কথা বলার ভঙ্গি দেখে! ও যখন নীলিমাকে নিয়ে কথা বলত। মনে হতো ও নীলিমাকেক ওর সামনে দেখতে পাচ্ছে।
কিন্তু একদিন .........
সকালবেলা হৃদয়ের মোবাইল ফোন বেজে ওঠলো! স্কীনে ভেসে ওঠলো মেয়েটির নাম্বার। হৃদয় খুব মনে ফোনটি রিসিভ করলো। বললো হ্যালো!!
-অপর প্রান্ত থেকে নীলিমা বললো- কি করছো তুমি?
-তোমার ফোন পেয়ে মাত্র ঘুম থেকে উঠলাম।
-তোমাকে বলেছি না! দেরি করে ঘুম থেকে উঠবে না! যাও তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করো! যাও!
-যাচ্ছি!!! সোনা!! যাচ্ছি!!! আমার জান!! যাচ্ছি।
বলেই হৃদয় ফোনটি রেখে দিল।
দুপুর ২.১০ মিনিট। আবার নীলিমা ফোন দিল হৃদয়কে।
উল্লেখ্য- এর মধ্যে আর যোগাযোগ হয়নি।
হৃদয় -হ্যালো! সোনা কি করছো তুমি?
নীলিমা-আমি! এই তো তোমার সাথে কথা বলছি।
হৃদয় -জানো! আমার না আজ মন কেমন জানি করছে। কেমন যেন অস্থিরতা কাজ করছে। তোমাকে ফোন দিতে গিয়েও দেয়নি।
নীলিমা- বাদ দাও! আমাকে নিয়ে তুমি বেশি চিন্তা করো; তাই না? আচ্ছা আমি যদি হারিয়ে যাই?
হৃদয়- আমাকে হারাবে এ পৃথিবী!
নীলিমা- অনেক হয়েছে। যাও দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুম দাও।

কথা শেষ।

বিকাল ৫.০০। নীলিমার ফোন।
হৃদয়- হ্যালো! বলো!
নীলিমা- শোনো! আমার বিয়ে হয়ে গেছে। আমি এখন শ্বশুর বাড়ী যাচ্ছি।
হৃদয়- যাও! দুষ্টমী করো না।
নীলিমা- আমাকে তুমি ক্ষমা কর হৃদয়। আমাকে তুমি ক্ষমা করো.............
হৃদয়- আবার দুষ্টমী করছো। একটা চটকনা লাগালে সব ভুত নেমে যেতো।
নীলিমা- বিশ্বাস করো! আমি তোমার সাথে দুষ্টমী করছি না। সত্যিই আমার বিয়ে হয়ে গেছে।
হৃদয়- বুঝেছি! তোমার মাথায় বিয়ের ভুত চড়েছে। দাড়াও আমিম আগামী কালই ঐ ভুত নামাবো।
বলেই ফোন রেখে দিল।

রাত ১১.০০ টা। হৃদয় বার বার নীলিমার মোবাইলে ফোন দিতে থাকে কিন্তু কেউ ধরে না। হঠাৎ মোবাইল বন্ধ।
হৃদয়ের মন ছটফট করতে থাকে। সারারাত ওর ঘুম হয় না। সকাল বেলা ও আমার চেষ্টা করে তবুও বন্ধ।
দুপুর বেলা মোবাইল খোলা। কল হচ্ছে.....
অজানা একজন- হ্যালো! কে? (পুরুষ)
হৃদয়- জ্বী, আমি...।
অজানা একজন- কাকে চাচ্ছেন?
হৃদয়- জ্বী, নীলিমা আছে? আমি ওর বন্ধু।
অজানা একজন- দেখুন মিষ্টার আমি ওর স্বামী। গতকাল আমার সাথে ওর বিয়ে হয়েছে। আমি চাইনা ওর কোন ছেলে বন্ধু থাকুব। খোদা হাফেজ।
বলে ফোন রেখে দিল।
তারপর.......
হৃদয় নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারচ্ছেনা।
নীলিমা এমন করতো পারে? যাকে সে প্রাণে চেয়েও বেশী ভালোবাসতো। সে নীলিমা কেন এরকম করলো? ওর কি এমন বাধ্যকতা ছিল যে আমাকে এভাবে ফেলে দিলে অজানা ভুবনে।
বগ্লার বন্ধুরা। ভাবুন এরপর হৃদয়ের পরিণতি কি হতে পারে?

আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন? যেসব মেয়েরা নিজের বিয়ের দিনও তার প্রেমিকার সাথে মিষ্টি মিষ্টি ও মন ভোলানো কথা বলতে পারে তাদের কি করা উচিত। এরা বড়ই স্বার্থপর।
আপনারা বলুন- কেন এরা এমন??????
১৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ট্রাম্প ভাইয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের সদস্য এর মধ্যে এই তিন জন সদস্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

লিখেছেন অতনু কুমার সেন , ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

প্রথম জন হলো: জেডি ভান্স, উনি মেবি ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। ভদ্রলোকের বউ আবার ইন্ডিয়ান হিন্দু। ওনার নাম উষা ভান্স। পেশায় তিনি একজন অ্যাডভোকেট।

দ্বিতীয় জন হলো বিবেক রামাস্বামী। এই ভদ্রলোক আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসল 'আয়না ঘর' থাকতে রেপ্লিকা 'আয়না ঘর ' তৈরির প্রয়োজন নেই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৮


স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৫ই আগস্ট সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় নেমে এসে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসন আমলে অসংখ্য মানুষ কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×