আজ আমি আপনাদের একটি প্রেমের কাহিনী বলব।
আমার বন্ধু নাম হৃদয় (ছ্দ্ম নাম)। সে ভালোবাসতে নীলিমা (ছদ্মনাম) একটি মেয়েকে। বন্ধুটি মেয়েটিকে প্রচন্ড ভাবে ভালবাসতো। তার ভালবাসার গভীরতা বর্ণনার দেওয়ার ভাষা আমার জানা নেই। সে হয়তো নিজের জীবনের চেয়ে বেশী ভালবাসতো। সারাক্ষণ তার জন্য ভাবতো। আমার সাথে যখনি দেখা হতো তখনি নীলিমার কথা বলত। উল্লেখ্য- নীলিমাকে আমি কখনো দেখিনি। তার ভাস্য মতে নীলিমাও ওকে প্রচন্ড ভাবে ভালবাসতো। আমি শুধু শুনতাম। শুনতে ভাল লাগতো... খুব ভালো লাগতো। বিশেষ করে ওর কথা বলার ভঙ্গি দেখে! ও যখন নীলিমাকে নিয়ে কথা বলত। মনে হতো ও নীলিমাকেক ওর সামনে দেখতে পাচ্ছে।
কিন্তু একদিন .........
সকালবেলা হৃদয়ের মোবাইল ফোন বেজে ওঠলো! স্কীনে ভেসে ওঠলো মেয়েটির নাম্বার। হৃদয় খুব মনে ফোনটি রিসিভ করলো। বললো হ্যালো!!
-অপর প্রান্ত থেকে নীলিমা বললো- কি করছো তুমি?
-তোমার ফোন পেয়ে মাত্র ঘুম থেকে উঠলাম।
-তোমাকে বলেছি না! দেরি করে ঘুম থেকে উঠবে না! যাও তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করো! যাও!
-যাচ্ছি!!! সোনা!! যাচ্ছি!!! আমার জান!! যাচ্ছি।
বলেই হৃদয় ফোনটি রেখে দিল।
দুপুর ২.১০ মিনিট। আবার নীলিমা ফোন দিল হৃদয়কে।
উল্লেখ্য- এর মধ্যে আর যোগাযোগ হয়নি।
হৃদয় -হ্যালো! সোনা কি করছো তুমি?
নীলিমা-আমি! এই তো তোমার সাথে কথা বলছি।
হৃদয় -জানো! আমার না আজ মন কেমন জানি করছে। কেমন যেন অস্থিরতা কাজ করছে। তোমাকে ফোন দিতে গিয়েও দেয়নি।
নীলিমা- বাদ দাও! আমাকে নিয়ে তুমি বেশি চিন্তা করো; তাই না? আচ্ছা আমি যদি হারিয়ে যাই?
হৃদয়- আমাকে হারাবে এ পৃথিবী!
নীলিমা- অনেক হয়েছে। যাও দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুম দাও।
কথা শেষ।
বিকাল ৫.০০। নীলিমার ফোন।
হৃদয়- হ্যালো! বলো!
নীলিমা- শোনো! আমার বিয়ে হয়ে গেছে। আমি এখন শ্বশুর বাড়ী যাচ্ছি।
হৃদয়- যাও! দুষ্টমী করো না।
নীলিমা- আমাকে তুমি ক্ষমা কর হৃদয়। আমাকে তুমি ক্ষমা করো.............
হৃদয়- আবার দুষ্টমী করছো। একটা চটকনা লাগালে সব ভুত নেমে যেতো।
নীলিমা- বিশ্বাস করো! আমি তোমার সাথে দুষ্টমী করছি না। সত্যিই আমার বিয়ে হয়ে গেছে।
হৃদয়- বুঝেছি! তোমার মাথায় বিয়ের ভুত চড়েছে। দাড়াও আমিম আগামী কালই ঐ ভুত নামাবো।
বলেই ফোন রেখে দিল।
রাত ১১.০০ টা। হৃদয় বার বার নীলিমার মোবাইলে ফোন দিতে থাকে কিন্তু কেউ ধরে না। হঠাৎ মোবাইল বন্ধ।
হৃদয়ের মন ছটফট করতে থাকে। সারারাত ওর ঘুম হয় না। সকাল বেলা ও আমার চেষ্টা করে তবুও বন্ধ।
দুপুর বেলা মোবাইল খোলা। কল হচ্ছে.....
অজানা একজন- হ্যালো! কে? (পুরুষ)
হৃদয়- জ্বী, আমি...।
অজানা একজন- কাকে চাচ্ছেন?
হৃদয়- জ্বী, নীলিমা আছে? আমি ওর বন্ধু।
অজানা একজন- দেখুন মিষ্টার আমি ওর স্বামী। গতকাল আমার সাথে ওর বিয়ে হয়েছে। আমি চাইনা ওর কোন ছেলে বন্ধু থাকুব। খোদা হাফেজ।
বলে ফোন রেখে দিল।
তারপর.......
হৃদয় নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারচ্ছেনা।
নীলিমা এমন করতো পারে? যাকে সে প্রাণে চেয়েও বেশী ভালোবাসতো। সে নীলিমা কেন এরকম করলো? ওর কি এমন বাধ্যকতা ছিল যে আমাকে এভাবে ফেলে দিলে অজানা ভুবনে।
বগ্লার বন্ধুরা। ভাবুন এরপর হৃদয়ের পরিণতি কি হতে পারে?
আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন? যেসব মেয়েরা নিজের বিয়ের দিনও তার প্রেমিকার সাথে মিষ্টি মিষ্টি ও মন ভোলানো কথা বলতে পারে তাদের কি করা উচিত। এরা বড়ই স্বার্থপর।
আপনারা বলুন- কেন এরা এমন??????