রোল নং-৮১৬৬৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
-আসতে পারি স্যার?
-এসো। তোমার রোল নম্বর মিলিয়ে নিয়ে সিটে বসে পড়ো।
আজ আমার বিশেষ একটি পরীক্ষা। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার জন্যে প্রস্তুতির অভাব নেই। রঙিন মার্কার পেন এনেছি রচনামূলক প্রশ্নের উত্তর লিখতে গিয়ে প্রশ্নটিকে আন্ডারলাইন করে পরীক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে। অংক এবং বিজ্ঞানের জন্যে ক্যালকুলেটর এবং জ্যামিতি বক্স তো আছেই। সবগুলো অধ্যায় বারবার করে রিভাইজ দিয়েছি, গাণিতিক সমস্যাগুলো অনুশীলন করেছি সযত্নে। প্রস্তুতিতে কোন ঘাটতি নেই। নীল রঙের চমৎকার একটা ফাইল কিনেছি এ্যাডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন কার্ড সযত্নে রাখার জন্যে। সাবধানের মার নেই, তাই সেগুলো লেমিনেটিং করে সুরক্ষিত করার পাশাপাশি ফটোকপিও করে রেখেছি। ফাইল থেকে এ্যাডমিট কার্ড বের করে আবারও রোল নাম্বারটা দেখে নিলাম ৮১৬৬৬। এত বড় হলরুম, এত ছাত্র-ছাত্রী এসেছে পরীক্ষা দিতে, নিজের আসনটা খুঁজে পাওয়া কিছুটা মুশকিলই হবে। তাই পরীক্ষা পরিদর্শকের দ্বারস্থ হতে হয় আমাকে।
-স্যার, আমার রোল নম্বর ৮১৬৬৬, কোনদিকে সিটটা হতে পারে একটু বলবেন প্লিজ?
-৮১৬৬৬...উমম পেছনের সারিতে দেখো।
-ধন্যবাদ স্যার।
ততক্ষণে পরীক্ষা শুরুর ঘন্টা পড়ে গেছে। এত সতর্ক প্রস্তুতি স্বত্তেও সবকিছু সুচারূভাবে শুরু না হওয়ায় কিছুটা বিরক্ত হই আমি নিজের প্রতি। অবশ্য এমন আশঙ্কা আগে থেকেই আঁচ করে দ্রুতলিখনের ব্যাপারে সজাগ ছিলাম যথেষ্ট। তাই যদি দশ মিনিট সময়ও নষ্ট হয় এখানে, তারপরেও বিশ মিনিট উদ্বৃত্ত থাকবে, এই আত্মবিশ্বাস আমার আছে। দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাই আমি পেছনের সারির দিকে। আশেপাশেও নজর রাখি রোল নম্বরের ক্রম ঠিকঠাক চলছে নাকি বোঝার জন্যে। ৮১৬৫৫...৮১৬৫৬...৮১৬৫৭... এইতো এসে গেছি একদম পেছনের সারিতে। ওখানে একটা আসন ফাঁকা আছে। ওটাই আমার হবে।
-এক্সকিউজ মি, একটু ভেতরে ঢুকতে দেবেন? আমার সিট ওখানে।
পেছনের সারির সামনের ছাত্রটিকে বলি আমি। বলতে গিয়ে খেয়াল করি ৮১৬৬৪ এর পর আর কোন রোল নং সেখানে সাঁটানো নেই। নিশ্চয়ই কোন গড়বড় আছে এখানে। সবখানে শুধু অবব্যস্থাপনা! বিরক্তি চেপে পরিদর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম,
-এখানে তো সেরকম কোন রোল নেই স্যার। সম্ভবত কোন ভুল হয়েছে। আমি কি বসে পড়বো?
-না। তার মানে তোমার সিট অন্য রুমে পড়েছে। তুমি পাশের রুমে চলে যাও। ওখানে পাবে। এ্যাই ছেলেমেয়েরা, তোমরা কেউ কথা বললে কিন্তু খাতা কেড়ে নেবো।
তিনি আমার দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিলেন।
-কিন্তু সিট প্ল্যানিংয়ে তো দেখলাম এই রুমেই আমার রোল আছে।
গোঁ ধরে থাকি আমি।
-আহ! দেখতেই তো পাচ্ছো নেই। বকবক না করে পাশের রুমে গিয়ে দেখো না!
বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি।
আমি রাগে গজগজ করতে করতে পাশের রুমের দিকে রওনা দেই। ইচ্ছে ছিলো ঠান্ডা মাথায় ভেবে চিন্তে সব প্রশ্নের উত্তর লিখবো। তা বোধ হয় আর হবার জো নেই। দ্রুত পা চালিয়ে আমি পাশের রুমে চলে যাই।
এই কক্ষের পরীক্ষার্থীদের দেখে আমার একটু খটকা লাগলো। তারা সবাই বয়সে আমার চেয়ে বেশ বড়। দেখে মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেরিয়েছে অথবা ইতিমধ্যেই কর্মজীবনে প্রবেশ করেছে।
-আপনি কি পরীক্ষার্থী?
দরজার সামনে আমাকে ইতস্তত দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পরিদর্শক জিজ্ঞেস করলেন।
-জ্বী, আমার রোল নং ৮১৬৬৬।
-কোথা থেকে এসেছেন?
অদ্ভুত তো! আমি কোথা থেকে এসেছি তা জেনে সে কী করবে! মেজাজ চড়ে যায় আমার। রাগজনিত নীরবতায় যতি টানেন তিনিই,
-পাশের রুম থেকে এসেছেন তো? হু, তাই হবার কথা। যান রোল খুঁজে নিয়ে বসে পড়ুন।
-কোনদিকে হবে সিটটা স্যার?
-আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কেন? আপনি একজন ম্যাচিওরড গ্রাজুয়েট যুবক, সবকিছু জেনে আসাই কি ভালো না? এমনভাবে প্রশ্ন করছেন যেন আপনি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী!
-কিন্তু আমি তো তাই!
পরীক্ষার হলের কাঙ্খিত নীরবতা বিঘ্নিত হয় আমার চিৎকারে।
-ওটা পাশের রুমের ব্যাপার স্যাপার। পাশের রুম থেকে এখানে এলে সবাই বড় হয়ে যায়, পরীক্ষাটাও পাল্টে যায়। যান, খুঁজে নিয়ে বসে পড়ুন। সবাইকে ম্যালা বিরক্ত করেছেন।
লোকটা কী বলছে এসব! পাশের রুম থেকে এখানে এলে বয়স বেড়ে যাবে কেন! পরীক্ষা পাল্টে যাবে কেন? তবে ব্যাপারটা একটু ইতিবাচকভাবেও ভাবা যায়, এখানে এখন সরকারী কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছে, আর ওখানে হচ্ছিলো সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট এক্সাম। এখানে যেহেতু বিসিএস পরীক্ষার্থী হিসেবে আমাকে দেখা হচ্ছে, তার মানে এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয়ে গেছি ইতিমধ্যেই! নাকি আমি পাশের রুমে চলে গেলে আবারও এসএসসি পরীক্ষার্থী হয়ে যাবো? ব্যাপারটা একটু খতিয়ে দেখা দরকার!
-স্যার আমি একটু আসছি পাশের রুম থেকে, আমার সিট মনে হয় সেখানেই, খেয়াল করি নি।
কোনকিছুই পরিবর্তিত হয় নি। ছাত্রছাত্রীরা গভীর মনোযোগের সাথে পরীক্ষা দিচ্ছে। পরিদর্শক শিক্ষক চা খেতে খেতে গল্প করছেন নতুন একজনের সাথে।
-কী চাই এখানে?
আমাকে দেখে তিনি প্রশ্ন করলেন। তার বোলচাল আমার পছন্দ হলো না মোটেও। স্কেলটাকে ছুরির মতো বাগিয়ে ধরে তার সামনে তেড়ে গেলাম। আমাকে দেখে সে আর্তনাদ করে উঠলো আতঙ্কে।
-ছুরিটা সরাও, ছুরিটা সরাও!
আমি অবাক হয়ে আবিষ্কার করলাম যে সত্যিই আমার হাতে স্কেলের বদলে ছুরি, জ্যামিতি বক্সের বদলে পিস্তলের খাপ, এ্যাডমিট কার্ডের ফাইলটা খুলে দেখি সেখানে ছোট ছোট কাগজে প্রশ্নের উত্তর লিখে রাখা। প্রশ্নগুলোর উত্তর দেখে বুঝতে পারি, এগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার না, উচ্চমাধ্যমিকের। চুলে সিঁথি কেটে, বাবার হাত ধরে ফাইল পত্র, জ্যামিতি বক্স বুকে আগলে ধরা ছেলেটা মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়ার দুই বছর পরে উচ্চমাধ্যমিক দিতে গিয়ে তাহলে এভাবে পরিবর্তিত হয়েছিলো! স্কেলের বদলে ছুরি, এ্যাডমিট কার্ডের ফাইলে নকল, শিক্ষককে হুমকি। এসেই যখন পড়েছি, পরীক্ষাটা দিয়েই যাই! অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, মাধ্যমিকের মতো উচ্চমাধ্যমিকেও আমার রোল ৮১৬৬৬। অবিশ্বাস্য কোন কাকতাল? হয়তো বা! তবে এবারও আমার রোল খুঁজে পেলাম না কোথাও। আবারও আমার ভেতর শঙ্কা কাজ করতে লাগলো। রিলাক্স ভাবটা কেন যে এসেছিলো! মিনিট বিশেক নষ্ট হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আধা ঘন্টা পার হয়ে গেলে রুমেই ঢুকতে দিবে না আমি যদ্দুর জানি। আমি হন্তদন্ত হয়ে পাশের রুমে চলে যাই আবার।
-কী, রোল পান নি এখনও?
-না! কোথায় পাই বলেন তো?
-ঈশ্বরই জানেন।
-ঈশ্বর? তিনি এখন কোথায় আছে বলতে পারবেন?
-তিনি? আপাতত এই পরীক্ষার জন্যে ঈশ্বরের শরণাপন্ন হতে আপনি বিভিন্ন মন্ত্রনালয়গুলোতে খুঁজে দেখতে পারেন।
-কিন্তু সে সময় কোথায় আমার! অতদূর গিয়ে আবার ফিরে আসতে আসতে পরীক্ষাই তো শেষ হয়ে যাবে।
-কী যে বলেন! ঈশ্বর দয়ালু। তার অধম বান্দাকে এত ঝামেলা পোহাতে হোক তা তিনি বা তারা নিশ্চয়ই চাইবেন না! আপনি পাশের রুমে গিয়ে দেখুন কোন না কোন ঈশ্বর নিশ্চয়ই বসে আছেন।
ফাইলের ভেতর জ্যামিতি বক্স আর এ্যাডমিট কার্ড ঠিকমতো আছে কী না নিরীখ করতে গিয়ে দেখি সেখানে এখন অন্য কিছু! কাড়ি কাড়ি টাকা। ঈশ্বরের জন্যে অর্ঘ্য নিবেদনের নিমিত্তে আমি ছুটে যাই পাশের ঘরে।
পাশের ঘরটা অনেক বড়। দিগন্তবিস্তৃত তার সীমারেখা, সেখানে ঘরের ভেতর আরো ঘর, ছাদে যাবার জন্যে প্যাচানো সিঁড়ি কোথায় যাবো থই না পেয়ে আমি দিকশূন্য হয়ে ঘুরতে থাকি। চিৎকার করে ডাকতে থাকি ঈশ্বরের বিভিন্ন নাম ধরে। এই ঈশ্বরেরা নিরাকার নয়। তারা কদাকার এবং ক্রীড়াপ্রিয়। তারা আমাকে দেখা দিতে গিয়েও দেন না। লুকিয়ে যান। এত বড় ঘর, এত এত খোপ খোপ উপকক্ষ, রক্তে প্লাবিত মেঝে, ধোঁয়াকূন্ডলিত সিঁড়ি, আমি কোথায় যাই! হুমড়ি খেয়ে পড়ি রক্তাপ্লুত মেঝের ওপর। রক্তের ঘ্রাণটা খুব চেনা কারুর মনে হয়, কিন্তু ওসবে তোয়াক্কা করে কে! আমি ধর্মভীরু, বিশ্বাসী মানুষ। ঈশ্বরকে খুঁজে ফিরছি। আর কে না জানে ঈশ্বরের আরাধনা করতে রক্ত বলি দেয়া অতি পূন্যের কাজ! আমার সামনে আরেকজনকে দেখছি, সেও ঈশ্বরকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। দৌড়ে গিয়ে তাকে ধরে ফেলতে গিয়ে খেয়াল করলাম সেও আমার দিকে তেড়ে আসছে। আমাদের দুজনের মুখেই হিংস্রতা, রক্তের লোভ, প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিকেষ করার রোখ! এ খেলা দেখতে ঈশ্বর এবং তার অনুচরেরা কুয়াশাপর্দা, রক্তসিঁড়ি আর বীর্যকক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন। আমাদের দুজনের মধ্যে প্রবল লড়াই হতে থাকে। সে আমার গলা চেপে ধরে লৌহদৃঢ় আঙ্গুলে। আমি তার মুখে বেদম ঘুষি মারি। সে আমার ঠোঁট থেতলে দিতে চায়, আমি তার মাথা সজোরে ঠুকে দেই দেয়ালে। সে দম হারিয়ে হাঁপাতে থাকে জিভ বের করে, আমি ছুরি দিয়ে তার জিভ কেটে নিয়ে তাকে উবু করে চতুষ্পদ প্রাণীদের মত করে হাঁটিয়ে নিয়ে ব্যক্তিগত ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যাই বলিদানের উদ্দেশ্যে। তার গলায় ছুরিটা চালিয়ে দিলে ঘরের রক্তাক্ত মেঝের রঙ আরো গাঢ় হয়। তবে ঈশ্বরেরা বরাবরই খেয়ালী। তারা খেলা এবং বলিদান সাঙ্গ হলে অন্যান্য পুজারীদের দিকে চলে যান। কেউ হয়তো ডাকছে তাদেরকে আরো বেশি পরিমাণ ভক্তি এবং অর্ঘ্যের সমন্বয়ে। আমি আবারও ছুটতে থাকি বিশাল ঘরটাতে, এলোমেলো। ঈশ্বরের দেখা পাওয়া কী সোজা কথা! এ ঘর যাই, ও ঘর যাই, সিঁড়ি বেয়ে ক্লান্ত হই, ঈশ্বরেরা বড় ব্যস্ত। তারপরেও এত ছোটাছুটি করলাম, তার কি কোন মূল্য নেই তাদের কাছে? নিশ্চয়ই তারা দয়ালু!
পরীক্ষা শেষের সতর্ক ঘন্টা বেজে ওঠে। আর মাত্র ত্রিশ মিনিট আছে। আবার দৌড়ুতে হবে। আমি খুব দ্রুত লিখতে পারি। পরীক্ষাতে কিছু একটা লিখে পাশমার্ক যোগানো যাবে অন্তত! কিন্তু কী বিশাল এ ঘর! কী জটিল বিন্যাসে সাজানো! গোলকধাঁধার মতো। আমি বেড়ুনোর পথ খুঁজে পাই না। বারবার পথ ভুলে এ দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে সে ঘরের দরজায় হোঁচট খেয়ে হঠাৎ দেখা পাওয়া ঈশ্বরের পা না মাড়িয়ে তার কাছে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করতে গিয়ে দেখি সে সরোষে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। কী ভয়ংকর সে মুখ! আবারও ঘন্টা বাজে। পরীক্ষা শেষ হতে মাত্র দশ মিনিট বাকি আছে আর। আমার হাত থেকে টাকা ভরা ব্যাগটা পড়ে যায়। ঈশ্বরের শকুন হয়ে ওঠার উপভোগ্য দৃশ্যটা আমার দৃষ্টিসীমা থেকে ফসকে যায় পরীক্ষা দেবার তাড়ায়।
হাঁপাতে হাঁপাতে আমি উপস্থিত হই পরীক্ষাকক্ষে। উদভ্রান্তের মতো খুঁজতে থাকি রোল নম্বর। শেষ ঘন্টা বেজে ওঠে। পরীক্ষা শেষ। হতাশ হয়ে মাথা গুঁজে বসে পড়ি আমি।
কেউ নেই পরীক্ষাকক্ষে। গুমোট নিস্তব্ধতা। এর মাঝেই হঠাৎ হল্লা করে কিছু কাগজপত্র নিয়ে এসে দেয়ালে সেঁটে দেয় আর্দালিরা।
-কি ওটা?
-আপনার পরীক্ষার রেজাল্ট!
-কিন্তু আমি তো পরীক্ষাই দিতে পারি নি...
হতাশ অভিব্যক্তিটা নিমিষেই মুছে যায় ট্যাবুলেশন শিটের দিকে তাকিয়ে।
এসএসসি থেকে বিসিএস সবগুলো পরীক্ষায় রোল নাম্বার ৮১৬৬৬ সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ।
ঈশ্বর দয়া করলেন অবশেষে! ঈশ্বরের মিরাকল দেখে আমার চোখে জল আসে। পরীক্ষার সিট খুঁজে না পেয়ে পরীক্ষা দিতে না পেরেও আমি উত্তীর্ণ! অবশ্য আমার রোল নাম্বারের প্রতি কিছুটা দুর্বলতা থাকবে হয়তো ঈশ্বরের। ৮১ আমার জন্মসাল। ৬৬৬ শয়তানকে সংখ্যায় প্রকাশ করে। আর কে না জানে আজকালকার ঈশ্বরদের সাথে শয়তানের গোপন সখ্যতার কথা! আমি হাসিমুখে ট্যাবুলেশন শিটটার দিকে তাকিয়ে থাকি।
১০৬টি মন্তব্য ১০৬টি উত্তর
পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন
আলোচিত ব্লগ
ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।
ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন
কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী
ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন