সেদিনের কথা আমি কখনও ভুলবো না। চাইলেও ভোলা সম্ভব না, এবং আমি কখনও চাইবোও না। শুধু আমি না, আমার সাথে যারা ছিলো, আমার ঘনিষ্ঠতম বন্ধুদ্বয়-পলাশ এবং আসিফ- তারাও ভুলতে চাইবে না নিশ্চিত। এমন গর্বের একটি ব্যাপার, যাতে মিশে রয়েছে আমাদের সাহসিকতা, পুঞ্জীভুত ক্ষোভ এবং সুদৃঢ় নৈতিক অবস্থান, যাতে রয়েছে প্রতিবন্ধক ভাঙার প্রলয় উল্লাস, সেই ঘটনাটির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ মনে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। ঘটনাটির মাঝে নৃশংসতা মিশে রয়েছে,প্রচুর পরিমাণে সহিংসতা আছে। হয়তোবা এতকিছুর দরকার ছিলো না, কিন্তু চোখের সামনে দুজন বিকৃতমনা অনাচারীকে বাগাড়ম্বর করতে দেখে আমাদের সদাজাগ্রত নির্লিপ্ততা উপযাচক হয়ে জাগিয়ে দেয় অন্তরালে ঘুমিয়ে থাকা বিবেক এবং রাগকে। বিবেক, নৈতিকতা, রাগ, ক্ষোভ এবং প্রতিবাদের সমন্বয়ে আমরা তেজস্বী হয়ে উঠি। আমরা হিংসাপ্রবণ এবং নিষ্ঠুর আচরণ করতে থাকি অপরাধী ব্যক্তিটির ওপরে। সযত্নে আগলে রাখি আক্রান্ত ভিকটিমকে। "আইন নিজের হাতে" তুলে নেবার জন্যে অবশ্য আমাদের বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়েছিলো। তার জন্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা বোধ করব না কখনও। পলাশ আর আসিফ ও করবে না।
-কী রে, তোদের কি আফসোস হয় হিরোইজম দেখাতে গিয়ে চৌদ্দশিকের ভেতর চৌদ্দমাস থাকার জন্যে?
-কী বলিস! ওটা হিরোইজম দেখানোর প্রবণতা ছিলো? ওই সময় আমার মাথায় আদিম-বুনো রাগ ছাড়া কিচ্ছু ছিলো না। কার সামনে কী করছি, কে দেখছে কাকে দেখাচ্ছি এসবের কোন বালাই ছিলো না।
-তুই তো ভালো করেই জানিস এসব, খামোখা আমাদের রাগানোর জন্যে বক্রোক্তি করছিস তাই না?
আসিফের উত্তেজিত কথাবার্তার সাথে বুদ্ধিদীপ্ত বাক্য যোগ করে যথাযথ উপসংহার টানে পলাশ।
-হাহা! তা ঠিকই ধরেছিস। শুয়োরের বাচ্চাদের গায়ে মানুষের মত লাল টকটকা রক্ত থাকে জানতাম না। সেই রক্তাভ স্মৃতি আমাকে বেঁচে থাকতে অনুপ্রেরণা যোগায় এখনও...
সেদিন ছিলো রবিবার। ৬ই জানুয়ারি, ২০১৩ সাল। ২২শে পৌষ, ১৪১৯ বঙ্গাব্দ। আমার পরনে ছিলো একটা সাদা রঙের হুডওলা জ্যাকেট আর নিল জিন্স। পলাশ আর আসিফ সোয়েটার পরেছিলো। যথাক্রমে লাল এবং নীল-হলুদ স্ট্রাইপের। সেদিন সান্ধ্যকালীন আড্ডা এবং চা চক্রের পর করার কিছু খুঁজে পাচ্ছিলাম না বলে হাঁটছিলাম শহরের রাস্তায় উদ্দেশ্যবিহীন। কুয়াশায় ঘেরা জবুথবু শহরের পথে হাঁটতে হাঁটতে আমাদের মন বিষণ্ণ হয়েছিলো। আমরা আলোচনা করছিলাম রাজনীতি নিয়ে। কিছুক্ষণ আলোচনা করার পর আবিস্কার করি যে এই ব্যাপারে যথেষ্ট প্রজ্ঞা, দূরদর্শীতা এবং ইতিহাস জ্ঞানের ঘাটতির কারণে দেশের মানোন্নয়নে আমরা খুব বেশি দূর অগ্রসর হতে পারবো না। নিজেদের এই ব্যর্থতা এবং অক্ষমতা উপলদ্ধি করতে পেরে আমরা বিষণ্ণতর হই। প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে যখন দেশের সাম্প্রতিক অপরাধপ্রবণতার কথা টেনে আনি, এবং ক্রমবর্ধমান খুন এবং ধর্ষণের ব্যাপারে আমাদের উদ্বিগ্নতা একজোট হয়ে একটি মীমাংসায় উপনীত হবার চেষ্টা করি, ব্যাপারটা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে এগুতে থাকে। কারণ দেশে সংঘটিত সাম্প্রতিক অপরাধকর্মের হালনাগাদ পরিসংখ্যান আমাদের আয়ত্তে ছিলো। দেশজুড়ে অনাচার, অযাচিত রক্তপাত এবং যৌনসহিংসতার অসংখ্য উদাহরণ প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা এই দেশের নৈতিকতার মানদন্ডের ভঙ্গুরতা সম্পর্কে নিশ্চিত হই, এবং এ সম্পর্কে হতাশা ব্যক্ত করি। রাত বাড়তে থাকলে আমাদের অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পায়, এবং কোন এক পাপাচারীকে ধরে শাস্তি দেবার স্পৃহাটা প্রবল থেকে প্রবলতর হতে থাকে। আমাদের মধ্যে কেউ একজন, সুন্দর এবং শক্তিশালী শব্দের নিখুঁত ব্যবহারে একটি জ্বালাময়ী ভাষণ দেয়, দেশে সংঘটিত অপরাধের বিপরীতে আমাদের কাপুরুষোচিত নীরবতার পরিপ্রেক্ষিতে। কেউ একজনটা হল আসিফ।নীল-হলুদ স্ট্রাইপের সোয়েটার পরিহিত আসিফ। সেদিনের কথা ভুলিনি কিছুই। তার ভাষণ আমাদের ভীষণভাবে উজ্জীবিত করে তোলে। রাষ্টযন্ত্রের উদাসীনতা, জং ধরে পড়ে থাকা সেকেলে আইন, আর আমাদের নিস্পৃহতার সম্মিলনে গড়ে ওঠে এক মহৎ চেতনার। শীতরাত্রির হিমকাঁটা আমাদের পথচলায় অন্তরায় হতে পারিনি। আমরা উষ্ণ এবং সাহসী হয়ে উঠি। হাঁটতে হাঁটতে চলে যাই শহরের অপরাধপ্রবণ নির্জন এক স্থানে, অন্য কোন রাত হলে সে জায়গায় সেই সময়ে তিনজন জোয়ান পুরুষও একসাথে হাঁটতে দ্বিধা করত, কিন্তু রাতটা ছিলো অন্যরকম...
অস্বাভাবিক রকম নির্জনতা আর চারিদিকে ঝোপ-ঝাড়, অর্ধনির্মিত দালানকোঠায় বস্ত্রখন্ড এবং ছোপ ছোপ রক্তের উপস্থিতি জানিয়ে দেয়, রাত হলে এখানকার দেয়ালগুলোতে রচিত হতে থাকে পৈশাচিক বিনোদনের অনেক অপ্রকাশিত অধ্যায়। এসব দেখে আমরা ভয় পাই না, উপরন্তু আমাদের চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা দৃঢ়তর হয়। কোন বিকৃত রুচির অপরাধী, ধর্ষক, বা খুনী কে পেলে জানে মেরে ফেলবো। রাত তখন নয়টা একচল্লিশ। আমাদের প্রস্থানপর্ব ঘনিয়ে আসছে, ঠিক তখনই শুনতে পেলাম সেই চিৎকার। পনের/ষোল বছর বয়সী একটা মেয়ের কাতর কাকুতি-মিনতি, এবং কান্না। দুজন লোকের খিস্তি এবং অট্টহাসি শোনা যাচ্ছিলো। শুওরের বাচ্চাদের রাত্তিরের মৌজ শুরু হয়েছে একদম যথাসময়ে! দূরত্ব এবং স্থান আন্দাজ করে পলাশ সবার আগে দৌড় শুরু করল অনুমেয় গন্তব্যের দিকে। হাতে তুলে নিলো রাস্তায় পড়ে থাকা একটা বাঁকানো, ধারালো রড। আমরাও তাকে অনুসরণ করলাম। ত্রিশ সেকেন্ডের মধ্যে যথাস্থানে পৌঁছে গেলাম। ঠিক পচানব্বই কদম দৌড়েছিলাম। আমার সব মনে আছে সেদিনের কথা। যা মনে রাখা অসম্ভব, তাও। এমন দিন যে আর কখনও আসেনি আমাদের জীবনে। হলদেটে দাঁতের টাক মাথা এক শুয়োরের বাচ্চা, আর খাবলানো বিদঘুটে চুলের এক জারজ সন্তান সবুজ পোষাক পরিহিতা মেয়েটিকে শুইয়ে ফেলে বেদম হাসছিলো। তারা মাতাল ছিলো। আমাদের দেখে তাদের দলের কেউ ভেবেছিলো। মৌজমাস্তিতে বিঘ্ন ঘটায় তারা বিরক্ত চোখে তাকিয়ে গালি দিয়ে ওঠে,
-কী রে হাউয়ার পুলারা, তরা এইখানে আইছোস ক্যান? আইজকা আমগো ডিউটি। যা ভাগ খানকির পোলারা। তোগো মায়েরে...
এমনিতেই আমরা ভীষণ ফুঁসছিলাম রাগে। হন্টনকালীন আলোচনা এবং প্রতিজ্ঞা, চোখের সামনে সেই প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়নের সুযোগ, সেই সাথে মুফতে পাওয়া কিছু গালি, আর কী লাগে! আমরা ঝাঁপিয়ে পড়লাম নরপশুগুলোর ওপর। খুব বেশি কিছু করতে হয়নি। এমনিতেই তারা ছিলো দুর্বল শরীরের, তার ওপর মদের প্রভাবে রিফ্লেক্স কাজ করছিলো না ঠিকমত। রডের কয়েকটা বাড়িতেই তাদের অচেতন অবস্থা নিশ্চিত হয়। সচেতন হলে যেন পুনরায় তারা এহেন অপকর্ম করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে আমরা তাদের অন্ডকোষে যত্নের সাথে গুঁতো দিয়ে ভেঙে দেই। সেসময় তারা বেধড়ক চিৎকার শুরু করলে তাদেরই পকেট থেকে ক্ষুর বের করে আলতো করে গলায় বুলিয়ে দেই। কণ্ঠনালী ছিড়ে গিয়ে যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুর অপেক্ষা করতে থাকে তারা। তাদের কন্ঠনিঃসৃত ঘরঘর শব্দ আমাদের কাছে স্বর্গীয় সঙ্গীতের মত মধুর মনে হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। রক্তের রঙ এত টকটকে লাল হতে পারে আমি জানতাম না। আমরা হত্যার তান্ডবলীলায় মত্ত হয়ে ভুলে যাইনি আরো কর্তব্য বাকি রয়েছে। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকা মেয়েটিকে সাহস যোগাতে হবে, পৌঁছে দিতে হবে নিরাপদ গন্তব্যে এবার...
তো যা বলছিলাম, আইন নিজের হাতে তুলে নেবার অপরাধে আমাদের চৌদ্দমাস জেলে থাকতে হয়। হয়তো আরো অনেকদিন থাকতে হত, কিন্তু দেশজুড়ে আমাদের পক্ষে আন্দোলন গড়ে তোলে সচেতন এবং প্রতিবাদী নাগরিকেরা।পত্রিকার পাতায় বড় বড় সম্পাদকীয় ছাপা হয়। বিবিধ দ্রষ্টব্য স্থাপনার সামনে আমাদের মুক্তির দাবীতে মানব বন্ধন জাগ্রত মানুষেরা। জনদাবীর মুখে আমরা দ্রুত বেকসুর খালাস পেয়ে যাই।
জাতির চোখে আমরা হিরো হয়ে গিয়েছিলাম, এবং তা নিয়ে পরবর্তীতে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তোলার অবকাশ ছিলো, কিন্তু সত্যি কথা বলতে কী, অন্তত আমার কাছে, মেয়েটিকে রক্ষা করা এবং অপরাধীকে যথাযথ শাস্তি দেয়াটাই মূল সন্তুষ্টির ব্যাপার ছিলো। জাতি আমাদের কদর করছে এটাও তৃপ্তিদায়ক, তবে আমাদের সেদিনের অভিযানের সফলতার চেয়ে বেশি না। এখনও তরতাজা আছে সেই স্মৃতি। যেন মিনিট পাঁচেক আগেই ঘটে গেল! স্পষ্ট মনে আছে সব! এই রোমন্থন বড়ই সুখকর...
আমরা তিনজন ছিলাম। আমার পরনে পায়জামা পাঞ্জাবী। আসিফ পরে ছিলো লুঙ্গি-গেঞ্জি, আর পলাশ আজিজ মার্কেটের ১৬০ টাকা দামের টি শার্ট। ভুল বকছি নাকি? তারিখটা কত ছিলো যেন? জানুয়ারি মাস না? এই পলাশ... আছিস? ধুরো শালা কেউ'ই নেই, কখন সটকে পড়েছে কোন ধান্দায় কে জানে! আমার মনে পড়ে, মনে পড়ে নির্জন রাত, অপরাধপ্রবণ স্থান, প্রবল আঘাত...এইতো মিলে যাচ্ছে সব...তারপর বেগুনী রঙের রক্ত, আর দুটো বিষধর সাপ, না ভুল বললাম, একটা সাপ আর একটা ক্যাঙ্গারু। হ্যাঁ, এবার ঠিক হয়েছে। আমি ১৯৫ কদম দৌড়ে গিয়ে বেলচা দিয়ে মাটি খুড়ে বের করেছিলাম দুই দুর্বৃত্তকে। তারপর তাদেরকে বেদম পিটিয়েছিলাম। আমি একাই ছিলাম বোধ হয়। আসিফ আর পলাশ সটকে পড়েছিলো এখনকার মতই। পুলিসের কাছে আমাকে দীর্ঘ জবানবন্দী দিতে হয়েছিলো স্পষ্ট মনে আছে। কীভাবে ভুলি সেদিনের কথা? পুলিসটা আমাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলো। ধুর ছাই, কী সব আবোল তাবোল বলছি! পুলিস ফাঁসি দিতে যাবে কেন? তার কি সেই ক্ষমতা আছে?
ভুল হচ্ছে কোথাও। একটু আগের ঘটনা, আমি ভুলে যাব কেন? একটু আগের? নাকি দেড় বছর আগের? মাথা ঠান্ডা করে ভাবি আবার। হ্যাঁ, এইতো... এইতো মনে পড়ছে সব। সাদাকালো পোষাক পড়ে ছিলাম আমরা সবাই। অপরাধী এক হাজার মানুষরূপী পশুকে পিটিয়েছিলাম। তারা সবাই ছিলো নগ্ন। তাদের শরীর থেকে সাদা কালো রক্ত বেরুচ্ছিলো, আর আমাদের লাল রক্তগুলো সর্বোচ্চ স্ফুটনাঙ্কে উন্নীত হয়ে দগ্ধ হবার যন্ত্রণা দিচ্ছিলো অঢেল...আমি দৌড়ুতে চেয়েছিলাম পঞ্চান্ন হাজার পাঁচশ আটানব্বই বর্গমাইল। কিন্তু বারবার হুমড়ি খেয়ে পড়ছিলাম। আমার দম ফুরিয়ে আসছিলো। আসিফ আর পলাশ এসব দেখে নাখোশ হয়ে আমাকে সাবধান করে দেয়ার পরেও আমি কর্ণপাত না করলে তারা পুলিসের ইউনিফর্ম পরে আমাকে গ্রেপ্তার করতে ছুটছিলো...
না......
আমি জেগে উঠবো না। জেগে উঠলেই সব ভণ্ডুল হয়ে যাবে। বিগত অতীতের লাল অক্ষরে লেখা গৌরবগাথা, দ্রোহের মিনার সাদাকালো চক আর স্লেট হয়ে লুটিয়ে পড়বে মেঝেতে। কেউ কুড়িয়ে নেবে না। কেউ নেই ক্লাশরুমে, প্রার্থনালয়ে, মিছিলে। সবাই টেলিভিশন দেখছে আর পত্রিকা পড়ছে। আর কিছু লোক চায়ের দোকানে। বাকিরা সব দরাজ দর্জি, সাদাকালো পোষাক বানিয়ে দিচ্ছে ফ্রি। তাদের ভাষ্যমতে এই পোষাকের স্বচ্ছতা আমাদের দেহের অভ্যন্তরের হালকা লাল রঙের রক্তকে প্রকটভাবে প্রকাশিত করবে। রক্তিম অক্ষমতার সান্ত্বনার পূর্ণ নিশ্চয়তা দেয় তারা। আমাকে ঝাঁকিয়োনা প্লিজ, আমি নিজের নপুংশকতা দেখে ভীত, লজ্জিত, কুন্ঠিত। আমায় ঘুমুতে দাও, আর একটু ঘুমোই? আর এক বছর? বেশি হয়ে গেল? পাঁচ মিনিট?
চারিদিকে ভীষণ শোরগোল হচ্ছে। শোরগোল করছে প্রতিবাদী মানুষ। হুমকি দিচ্ছে দুস্কৃতিকারীরা। চোখ না খুলে আর পারা যাবে না। ঠিক আছে, আমি আর কিছুক্ষনের মধ্যেই চোখ মেলবো, আমার দুটো শর্ত পূরণ করতে পারলে, ওকে?
১/ একজন পেইন্টারকে এনে দিতে হবে, যে সাদাকালো মানুষদের লালে রাঙিয়ে দিতে পারবে।
২/আমার সমাধিস্থ স্বপ্নকে কবর থেকে উঠিয়ে অন্য কারো কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
এই শর্তগুলোতে রাজি? লোক কোথায়? লিখে নিতে হবে না? আমার আবার ভীষণ ভুলে যাবার রোগ। পরে মনে থাকবে না কিছুই...
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬