স্পটিফাই (Spottify) ঘাঁটতে ঘাঁটতে কিভাবে যেন শিমুল মুস্তাফা'র পুরনো কিছু কবিতা পেয়ে গেলাম। নূরুলদিন শুনছিলাম। আমরা যারা প্রবাসে দিনমান দেশের কথা ভাবি, তখন এভাবে দেশের স্মৃতি জাগানিয়া কবিতা, গান শুনতে পেয়ে গায়ের রোম খাড়া হয়ে গিয়েছে।
তখন মনে হলো, দেশের সকল প্রাচীন ও নতুন সংগীত এভাবে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অজস্র বাঙালীর জন্য 'উঠিয়ে' দেয়ার কাজটা যারা করছেন, এবং যারা করতে আগ্রহী তারা আরেকটু বেশি উদ্যোগী হলে সকলেরই সুসংবাদ।
গান কিভাবে স্পটিফাই কিংবা সম-কাতারের 'মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিস'গুলিতে গিয়ে ঠাঁই পায়? ভাবতে ভাবতে গুগল মামাকে একটু প্রশ্ন করতেই কয়েকটা বিষয় বের হয়ে এলো।
মিউজিক বা ডিজিটাল অডিও প্রস্তুত, বিতরন এবং উপভোগে জড়িত আছে কয়েকধরনের ব্যবসা। প্রথমতঃ যদি গান/কবিতা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে প্রস্তুত এবং বিতরন হয়ে থাকে, তবে তা স্পটিফাই পর্যন্ত পৌঁছানোর দায়িত্ব সেই বিতরন প্রতিষ্ঠানের। এই ধরনের বিতরন সিডি / ক্যাসেট ভিত্তিক বিতরন থেকে একটু ভিন্ন। কারন ভোক্তা সরাসরি প্রতিটা এলবামের জন্য পয়সা দিয়ে থাকে না। 'ক্লাউড' নাম্নী এই সেবাগুলি একধরনের বিশাল মিউজিক জুকবক্স। মানে গানের আড়ত। ভোক্তা আড়তের 'সাবস্ক্রিপশন' কিনে নেন মাসকাবারিতে। সংগীত বিতরন প্রতিষ্ঠান উক্ত আড়তের (এখানে স্পটিফাই) নিকন এলবামটি পৌঁছে দেন। বিনিময়ে রয়্যালটি পেয়ে যান নিয়মিত।
এখন প্রশ্ন করতে পারেন, বিতরন প্রতিষ্ঠান, যেমন সংগীতা কিভাবে স্পটিফাইয়ের কাছে সেটি পৌঁছাবে? উত্তর হলো, সরাসরি শুধু স্পটিফাইয়ের কাছে গেলে বরং ক্ষতি। এর চে, 'এগ্রিগেটর' জাতীয় এক জাতের ফড়িয়া'র মাধ্যম হয়ে গেলে অন্যান্য আড়তদারের কাছেও পৌঁছে যাবে।
এমন কিছু এগ্রিগেটর সার্ভিস হলো, ফাইনটিউনস, অর্ডিস, জেব্রালুশন ইত্যাদি ইত্যাদি। এরা নেটোয়ার্ক রাখে অসংখ্য মিউজিক রিটেইলার, বা গানের ডিজিটাল মুদি'র সাথে।
কাজেই আপনি যদি আমার মতো প্রবাসী, কিংবা দেশী ডিজিটাল স্ট্রিমিং মিউজিক সার্ভিসের ভোক্তা হয়ে থাকেন, এবং কোন শুনতে চাওয়া এলবাম খুঁজে না পান, তবে ওই এলবামের ডিস্ট্রিবিউটরকে পারলে একটু খোঁচা দিন। তাদের একটু আধুনিক হতে বলুন এবং ডিজিটাল মিউজিক ডিস্ট্রিবিউশনের নতুন যুগে ঢুকতে বলুন।
আমি জানি বাংলাদেশে ইন্টারনেট এখনো এতোটা উন্নত হয় নাই, যে অনলাইন মিউজিক সার্ভিস জনপ্রিয় হবে। কিন্তু এই চক্রটা শুরু হয় ভালো মিউজিকের বিপুল আড়তের সৃষ্টির ভেতর দিয়ে। কাজেই বাংলা যতো গান আছ, সঅঅঅঅব উঠিয়ে ফেলতে হবে ক্লাউডে। তখন হয়তো বাংলাদেশী অনলাইন রিটেইলারই চালু হয়ে যাবে শ্রেফ বাংলা মিউজিকের জন্য।
আশা করি খুব বেশি পেঁচিয়ে বলিনাই যা বলতে চেয়েছি।
এখানে কিছু অনলাইন রিটেইলার পাওয়া যাবে: http://www.zebralution.com/retailers_music
এরা হলো স্পটিফাই বান্ধব ডিস্ট্রিবিউটর / এগ্রিগেটার: Click This Link