আমি হয়ে ঊঠছি আমি-কেন্দ্রিক, ইন্ট্রোভার্ট
আগে থেকেই স্বার্থপর ছিলাম, খুব বেশি
যেন ভাবছি নিজেকে নিয়ে ইদানিং।
পৃথিবীতে সবাই স্বার্থপর- একথা
জপ করতে করতে আবার ডুব
দিই আমার কল্প-রাজ্যে
আমিই এককালীন চিরস্থায়ী সম্রাট।
কল্প-কাহিনী ১ (প্রিয়তমাকে)
জানি সে ভাবছে, অনেকদিন তার খোঁজ নিই না,
হয়ত গিয়েছি ভুলে আবার নতুন কোন স্তন দেখে
মাংসের স্রোতে মিশে আছি বেশ, তুলছি পরমানন্দে
ঢেক.।.।।।
বিশ্বাস করো- বিবি হাওয়ার রহস্যময়ী বংশধর
তুমি পাঠালে গন্ধম- আকন্ঠ খাবো, আসবো
তোমার কাছেই অতি দ্রুত, এই দুগ্ধ-ধবল
অমাবস্যা- দীর্ঘ দিনের হাতে পাশবিক
ধর্ষণ ও ভিখিরির সার্টিফিকেটের দুঃসহ
নরক ছেড়ে তোমার কাছেই আসবো
প্রিয়.।.।.।।
প্লিজ, একটু বিশ্বাস করো.।.।।।
কল্প-কাহিনী ২ (এক প্যাকেট খিচুড়ি মিক্স)
ছুটির দিনগুলো অদ্ভূত। সাইকো ছবিতে দেখেছিলাম
দ্বৈত স্বর- কী ভয়ানক কান্ড কারখানা।
খিচুড়ি কোন সময়ই ভাল হয় না আমার, ওটা কেন কোন কিছুই
পারিনা ভাল রাঁধতে- আজ আড়াই বছর হয়-
রান্নায় পরিমিত লবণ বা জলের আন্দাজ করতে পারি নি আজ অব্দি
একটা ভয় থেকেই যায়- এত খাই খাই স্বভাব পেলাম কই? মৃত্যু
আসন্ন কী?
জিহবাকে মাঝে মাঝে মানুষের মত মনে হয়
আর তাকে কিছুতেই বাগে রাখতে পারি না.।।।
কল্প-কাহিনী ৩(টমেটোর গাছ)
টবে লাগিয়েছি টমেটো, এত যত্ন নিজেরও
করি না আমি, তবু স্নেহ বোঝে না গাছটি
বামন হয়ে রয়েছে যেন স্নেহ নিম্নগামী বলে
শিকড় দিয়ে ফেলে দিচ্ছে তাবত সার, পানি
কোন নিঃসীম অতলে
কারো মচকানোর শব্দে তুমুল হাততালি দিচ্ছে
গাছটির ঝাঁঝালো সব পাতা।
গাছটি কি জেনে ফেলেছে একাকী থাকি আমি
নিঃসঙ্গ প্রিয় অথবা ব্যক্তি কেন্দ্রিক কোন? প্রকৃতি
হয়ত এমনই না বললেও সব বুঝে নেয়.।।।