১।
বহুবার এই পথে হেঁটে গেছি নিরিবিলি। কলারে লেগেছে হাওয়া। রঙ্গিন প্রজাপতি কত উড়ে গেছে পাশে আর চোখ দুটো পিকাসোর মতন তুখোড় চিত্রকর সেজেছে। অনেক অনেক বার এই পথে গেছি বহুদূর। তোমাকে ভাবতে ভাবতে বা তোমার মায়ায়। কী ঘোর না তন্দ্রায় বুঝিনি কিছুই- উদ্ভ্রান্ত দিশেহারা শ্লোক ঘন ঘন কেউ আওড়ায় হয়ত দূর নক্ষত্র থেকে। শুনতে পাইনা বলে আজ পথ আর হাঁটে না- স্থানু, জড়বৎ হয়ে যায়।
২।
ছুঁয়েছি তৃষ্ণার জল, তাতেই মায়া। পাইনি কিছু তবু চিত্রল ছায়া। কথা ছিল সমান্তরাল জীবন হবে কিন্নরী তানের। সেতার আছে, আছে বেহালা, তবু গান আজ বিপ্রতীপ হয়েছে। সেই গান শুনি বারবার অনন্ত ক্ষুধায় যেন জল মগ্ন মাছ, দিলে ঘাই বুঝি হায় ঈশ্বর বকলম- আমাকেই বুঝে নাই। এত প্রেম, এত চাওয়া-র ঘন কালো বনে, নিভৃতে কতকাল দোটানার প্রলেতারিয়েত দিন-যাপন?
৩।
রাত গভীর হলে নদীও বাউলের মত উদাস স্রোতে চলে, এগুতে থাকে ঢিমে তালে এক অনন্য ভঙ্গিমায়। অথচ নদী তো প্রবহমান-আজীবন এ-ই জানা, তবে কী রাতে নদী গভীর অব্যয় হয়ে যায়? তবে কী রাতে নদী ধূসর বালিয়াড়িতে মাথা ঠোকরায়? আমরা জানিনা বলে পূর্ণিমা তিথিতে বা আলোকোজ্জ্বল জোছনায় নদীকে বাউল বা রুপসীর প্রেমিক ভেবে ভুল করি সহসাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:০৮